ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেলো জামায়াতে ইসলামী কুমারখালীতে মিষ্টি তৈরির কারখানা ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা যুদ্ধবিরতিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘বিজয়’ হিসেবে দেখছে ইরান25 খাগড়াছড়িতে বাস খাদে পড়ে ৯ জন আহত25 গাইবান্ধায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে নারী গ্রেফতার25 বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ25 ইন্টারনেটে ছড়ানো হচ্ছে আপত্তিকর কনটেন্ট, টার্গেট নারী রাজনীতিবিদরা সিএসএস প্রতিষ্ঠাতা রেভা. পলমুন্সী স্মরণে ভেড়ামারাতে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত অস্ত্রোপচার করাবেন বেলিংহ্যাম – মাঠের বাইরে যাচ্ছেন কতদিন? যমুনায় বাড়ছে পানি, তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চল ও ফসলি জমি

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেলো জামায়াতে ইসলামী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫ ০ বার পড়া হয়েছে

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ সরকারি নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে জামায়াতে ইসলামী দল। এই পুনঃনিবন্ধন দলকে বৈধভাবে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছে। দলের ঐতিহ্যবাহী প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ব্যবহার করে আগামী জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

দলটির জন্য এটি একটি বড় জয় এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামী দলের পুনঃনিবন্ধনের পেছনের কারণ

বছর খানেক আগে জামায়াতে ইসলামী দলকে সরকারি নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল বিভিন্ন আইনি ও রাজনৈতিক কারণে। এর ফলে দল দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে দূরে ছিল। তবে দল পুনরায় আইনগত লড়াই চালিয়ে তাদের বৈধতা পুনঃপ্রাপ্তির জন্য আবেদন করে।

আদালত ও নির্বাচন কমিশনের মূল্যায়নের পরে জামায়াতে ইসলামী দলকে তাদের ঐতিহ্যবাহী দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ পুনঃনিবন্ধনের অনুমতি দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত দলটির পক্ষ থেকে বহুল প্রত্যাশিত ছিল এবং এর মাধ্যমে তারা আবারো ভোটের মাঠে ফিরে আসতে পারবে।

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের গুরুত্ব

বাংলাদেশের ভোটাররা ভোট দিতে গেলে দল চিনতে প্রতীক দেখে ভোট দেয়। জামায়াতে ইসলামী দলের দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটি তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের অন্যতম প্রধান অংশ। এই প্রতীকের মাধ্যমে গ্রামীণ ভোটাররা দলকে সহজে চিনতে পারে এবং সমর্থন করতে পারে।

এই প্রতীকের পুনঃপ্রাপ্তি দলের জনসংযোগ এবং ভোটের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করবে। বিশেষ করে গ্রামের ভোটারদের মধ্যে দলটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ

জামায়াতে ইসলামী দল পুনঃনিবন্ধনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দেশের রাজনৈতিক বহুমতকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

তবে দলের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। এই অবস্থায় সরকারের দায়িত্ব হবে দলের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেলো জামায়াতে ইসলামী

আপডেট সময় : ১২:১৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ সরকারি নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে জামায়াতে ইসলামী দল। এই পুনঃনিবন্ধন দলকে বৈধভাবে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছে। দলের ঐতিহ্যবাহী প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ব্যবহার করে আগামী জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

দলটির জন্য এটি একটি বড় জয় এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামী দলের পুনঃনিবন্ধনের পেছনের কারণ

বছর খানেক আগে জামায়াতে ইসলামী দলকে সরকারি নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল বিভিন্ন আইনি ও রাজনৈতিক কারণে। এর ফলে দল দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে দূরে ছিল। তবে দল পুনরায় আইনগত লড়াই চালিয়ে তাদের বৈধতা পুনঃপ্রাপ্তির জন্য আবেদন করে।

আদালত ও নির্বাচন কমিশনের মূল্যায়নের পরে জামায়াতে ইসলামী দলকে তাদের ঐতিহ্যবাহী দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ পুনঃনিবন্ধনের অনুমতি দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত দলটির পক্ষ থেকে বহুল প্রত্যাশিত ছিল এবং এর মাধ্যমে তারা আবারো ভোটের মাঠে ফিরে আসতে পারবে।

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের গুরুত্ব

বাংলাদেশের ভোটাররা ভোট দিতে গেলে দল চিনতে প্রতীক দেখে ভোট দেয়। জামায়াতে ইসলামী দলের দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটি তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের অন্যতম প্রধান অংশ। এই প্রতীকের মাধ্যমে গ্রামীণ ভোটাররা দলকে সহজে চিনতে পারে এবং সমর্থন করতে পারে।

এই প্রতীকের পুনঃপ্রাপ্তি দলের জনসংযোগ এবং ভোটের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করবে। বিশেষ করে গ্রামের ভোটারদের মধ্যে দলটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ

জামায়াতে ইসলামী দল পুনঃনিবন্ধনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দেশের রাজনৈতিক বহুমতকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

তবে দলের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। এই অবস্থায় সরকারের দায়িত্ব হবে দলের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।