ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু সেনা সদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধন করলেন, প্রধান উপদেষ্টা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত: গরু আনতে গিয়ে যুবক নিখোঁজ রাশিয়ার কামচাটকা ভূমিকম্প: ৭.৪ মাত্রার কম্পন, সুনামি সতর্কতা জারি প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন খালেদ মারা গেলেন ২০ বছর কোমায় থাকার পর জাতীয় সনদ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত করতে চায় ঐকমত্য কমিশন ২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদির, ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’ আলওয়ালিদ জুলাই গণহত্যার, সাবেক মন্ত্রী-আমলাসহ ৩৯ আসামি ট্রাইব্যুনালে গাজায় শিশুর মৃত্যু, ইসরায়েলের অবরোধে খাদ্য সংকট চরমে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৩০৬

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেলো জামায়াতে ইসলামী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫ ৩০ বার পড়া হয়েছে

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ সরকারি নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে জামায়াতে ইসলামী দল। এই পুনঃনিবন্ধন দলকে বৈধভাবে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছে। দলের ঐতিহ্যবাহী প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ব্যবহার করে আগামী জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

দলটির জন্য এটি একটি বড় জয় এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামী দলের পুনঃনিবন্ধনের পেছনের কারণ

বছর খানেক আগে জামায়াতে ইসলামী দলকে সরকারি নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল বিভিন্ন আইনি ও রাজনৈতিক কারণে। এর ফলে দল দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে দূরে ছিল। তবে দল পুনরায় আইনগত লড়াই চালিয়ে তাদের বৈধতা পুনঃপ্রাপ্তির জন্য আবেদন করে।

আদালত ও নির্বাচন কমিশনের মূল্যায়নের পরে জামায়াতে ইসলামী দলকে তাদের ঐতিহ্যবাহী দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ পুনঃনিবন্ধনের অনুমতি দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত দলটির পক্ষ থেকে বহুল প্রত্যাশিত ছিল এবং এর মাধ্যমে তারা আবারো ভোটের মাঠে ফিরে আসতে পারবে।

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের গুরুত্ব

বাংলাদেশের ভোটাররা ভোট দিতে গেলে দল চিনতে প্রতীক দেখে ভোট দেয়। জামায়াতে ইসলামী দলের দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটি তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের অন্যতম প্রধান অংশ। এই প্রতীকের মাধ্যমে গ্রামীণ ভোটাররা দলকে সহজে চিনতে পারে এবং সমর্থন করতে পারে।

এই প্রতীকের পুনঃপ্রাপ্তি দলের জনসংযোগ এবং ভোটের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করবে। বিশেষ করে গ্রামের ভোটারদের মধ্যে দলটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ

জামায়াতে ইসলামী দল পুনঃনিবন্ধনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দেশের রাজনৈতিক বহুমতকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

তবে দলের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। এই অবস্থায় সরকারের দায়িত্ব হবে দলের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেলো জামায়াতে ইসলামী

আপডেট সময় : ১২:১৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ সরকারি নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে জামায়াতে ইসলামী দল। এই পুনঃনিবন্ধন দলকে বৈধভাবে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছে। দলের ঐতিহ্যবাহী প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ব্যবহার করে আগামী জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

দলটির জন্য এটি একটি বড় জয় এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামী দলের পুনঃনিবন্ধনের পেছনের কারণ

বছর খানেক আগে জামায়াতে ইসলামী দলকে সরকারি নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল বিভিন্ন আইনি ও রাজনৈতিক কারণে। এর ফলে দল দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে দূরে ছিল। তবে দল পুনরায় আইনগত লড়াই চালিয়ে তাদের বৈধতা পুনঃপ্রাপ্তির জন্য আবেদন করে।

আদালত ও নির্বাচন কমিশনের মূল্যায়নের পরে জামায়াতে ইসলামী দলকে তাদের ঐতিহ্যবাহী দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ পুনঃনিবন্ধনের অনুমতি দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত দলটির পক্ষ থেকে বহুল প্রত্যাশিত ছিল এবং এর মাধ্যমে তারা আবারো ভোটের মাঠে ফিরে আসতে পারবে।

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের গুরুত্ব

বাংলাদেশের ভোটাররা ভোট দিতে গেলে দল চিনতে প্রতীক দেখে ভোট দেয়। জামায়াতে ইসলামী দলের দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটি তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের অন্যতম প্রধান অংশ। এই প্রতীকের মাধ্যমে গ্রামীণ ভোটাররা দলকে সহজে চিনতে পারে এবং সমর্থন করতে পারে।

এই প্রতীকের পুনঃপ্রাপ্তি দলের জনসংযোগ এবং ভোটের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করবে। বিশেষ করে গ্রামের ভোটারদের মধ্যে দলটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ

জামায়াতে ইসলামী দল পুনঃনিবন্ধনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দেশের রাজনৈতিক বহুমতকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

তবে দলের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। এই অবস্থায় সরকারের দায়িত্ব হবে দলের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।