ঢাকা ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কুড়িগ্রাম চিলমারীতে জোবায়ের হত্যার এক বছর, তদন্তে অগ্রগতি নেই

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:১৫:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে

ছেলে হত্যার এক বছর অতিবাহিত হলেও তদন্তে নেই অগ্রগতি। এখনো জানা যায়নি মৃত্যুর আসল কারণ। সেদিন কি ঘটেছিল জোবায়ের আমিনের সঙ্গে। সেই রাতে জোবায়ের স‌ঙ্গে ছিল তার দুই সহপাঠী। রাতে ঘুরতে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি জোবায়ের। তবে পরিবারের দাবি তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা ক‌রে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে সে সময় চিলমারী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এতে আসামি করা হয় সেই রাতে সঙ্গে থাকা জোবা‌য়ে‌র বন্ধু মো. সাইনান স্বচ্ছ (২১) ও মো. ইউসুফ আহম্মেদ জায়েদ (২১)। অজ্ঞাত আসা‌মি করা হয় আরও ছয়-সাতজন।

রোববার (২০ জুলাই) সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে মানববন্ধনে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন নিহত জোবায়ের আমিনের বাবা আব্দুল জলিল।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এক বছরে একটি হত্যা মামলায় আসামি গ্রেপ্তার হয় না। আগামী ৭ দিনের মধ্যে আসাসিদের গ্রেপ্তার না করা হলে ক‌ঠোর আন্দোলন করা হ‌বে।

জোবায়েরের বাবা আব্দুল জলিল ব‌লেন, সন্তান হত্যার বিচা‌রের জন্য আজ রাস্তায় নাম‌তে হ‌য়ে‌ছে। বাবা হি‌সে‌বে এটা আমার জন্য দুর্ভাগ্য। আমার সন্তান‌কে তারা প‌রিক‌ল্পিতভা‌বে হত্যো কর‌লো। এ ঘটনার এক বছর হ‌য়ে গে‌ল তবুও কোনো আসা‌মি গ্রেপ্তার হ‌লো না। দ্রুত দোষী‌দের গ্রেপ্তার ক‌রে দৃষ্টান্তমূলক শা‌স্তির দা‌বি ক‌রেন তি‌নি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৯ জুলাই ব্রহ্মপুত্র নদে পরে নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পর কলেজছাত্র জোবায়ের হোসেন আমিনের মর‌দেহ ভেসে ওঠে। বিকৃত লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়। এরপর ওই বছরের ২১ জুলাই চিলমারী মডেল থানায় মো. সাইনান স্বচ্ছ (২১) ও মো. ইউসুফ আহম্মেদ জায়েদের (২১) নামে ও আরও ছয়-সাত অজ্ঞাত আসামি করে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।

চিলমারী ম‌ডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) আশরাফুল ইসলাম ব‌লেন, মামলা‌টি ন‌থিভুক্ত হওয়ার পর থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত কর‌ছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কুড়িগ্রাম চিলমারীতে জোবায়ের হত্যার এক বছর, তদন্তে অগ্রগতি নেই

আপডেট সময় : ১১:১৫:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

ছেলে হত্যার এক বছর অতিবাহিত হলেও তদন্তে নেই অগ্রগতি। এখনো জানা যায়নি মৃত্যুর আসল কারণ। সেদিন কি ঘটেছিল জোবায়ের আমিনের সঙ্গে। সেই রাতে জোবায়ের স‌ঙ্গে ছিল তার দুই সহপাঠী। রাতে ঘুরতে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি জোবায়ের। তবে পরিবারের দাবি তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা ক‌রে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে সে সময় চিলমারী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এতে আসামি করা হয় সেই রাতে সঙ্গে থাকা জোবা‌য়ে‌র বন্ধু মো. সাইনান স্বচ্ছ (২১) ও মো. ইউসুফ আহম্মেদ জায়েদ (২১)। অজ্ঞাত আসা‌মি করা হয় আরও ছয়-সাতজন।

রোববার (২০ জুলাই) সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে মানববন্ধনে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন নিহত জোবায়ের আমিনের বাবা আব্দুল জলিল।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এক বছরে একটি হত্যা মামলায় আসামি গ্রেপ্তার হয় না। আগামী ৭ দিনের মধ্যে আসাসিদের গ্রেপ্তার না করা হলে ক‌ঠোর আন্দোলন করা হ‌বে।

জোবায়েরের বাবা আব্দুল জলিল ব‌লেন, সন্তান হত্যার বিচা‌রের জন্য আজ রাস্তায় নাম‌তে হ‌য়ে‌ছে। বাবা হি‌সে‌বে এটা আমার জন্য দুর্ভাগ্য। আমার সন্তান‌কে তারা প‌রিক‌ল্পিতভা‌বে হত্যো কর‌লো। এ ঘটনার এক বছর হ‌য়ে গে‌ল তবুও কোনো আসা‌মি গ্রেপ্তার হ‌লো না। দ্রুত দোষী‌দের গ্রেপ্তার ক‌রে দৃষ্টান্তমূলক শা‌স্তির দা‌বি ক‌রেন তি‌নি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৯ জুলাই ব্রহ্মপুত্র নদে পরে নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পর কলেজছাত্র জোবায়ের হোসেন আমিনের মর‌দেহ ভেসে ওঠে। বিকৃত লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়। এরপর ওই বছরের ২১ জুলাই চিলমারী মডেল থানায় মো. সাইনান স্বচ্ছ (২১) ও মো. ইউসুফ আহম্মেদ জায়েদের (২১) নামে ও আরও ছয়-সাত অজ্ঞাত আসামি করে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।

চিলমারী ম‌ডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) আশরাফুল ইসলাম ব‌লেন, মামলা‌টি ন‌থিভুক্ত হওয়ার পর থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত কর‌ছে।