ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ছক্কার রেকর্ড তামিমের, এক বছরে এত ছয় মারেনি বাংলাদেশও জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, ২০ ফুট জায়গাজুড়ে গর্ত উত্তর সিটির প্রশাসক এজাজকে ঘুষের প্রস্তাব, কর্মকর্তা বরখাস্ত পাঁচ ব্যাংক চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে, বসছে প্রশাসক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া ওজোনস্তর রক্ষা সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার মামলায় আমিই হয়তো শেষ সাক্ষী: নাহিদ ইসলাম কিছু আসনের লোভে পিআর চাইলে জাতীয় জীবনে ভয়ংকর পরিণতি আসবে : সালাহউদ্দিন ঝিনাইদহে শিশুদের জন্য পরিবেশ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সদরপুরে সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদ খানের বিদায় সংবর্ধনা

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার: দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • / 71

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার তদন্ত

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার: ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতে দুদকের তদন্ত

সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান শুরু করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ও তাঁর স্বামী তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড ও আরও ১২টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন।

দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই অর্থ মূলত বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার নামে তোলা হয় এবং ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, এনবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক এবং সাউথইস্ট ব্যাংক।

এটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত অর্থ পাচারের ঘটনা। সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার মামলাটি শুধু আর্থিক অপরাধ নয়, এটি একটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও বিশ্বাসের অপব্যবহার বলেও অনেকে মনে করছেন।

দুদক সূত্র বলছে, এই মামলায় এখনো প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে, তবে প্রয়োজন হলে বিদেশে তদন্ত সহায়তার জন্য মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স (MLA) ব্যবহার করা হতে পারে। এছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ অনুসন্ধান করতে ইন্টারপোল ও বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা চাওয়া হবে।

তদন্তের মূল পয়েন্ট:

  • ১২টি ভুয়া কোম্পানি তৈরি

  • ব্যাংক থেকে ভুয়া কাগজে ঋণ নেওয়া

  • ২০০০ কোটি টাকার বেশি পাচার

  • ভুক্তভোগী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান: ৯টি

  • নেতৃত্বে ছিলেন: সাঈদা মুনা তাসনিম ও তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী

বিশেষ পর্যবেক্ষণ:

এই ধরনের অর্থ পাচার কেলেঙ্কারি শুধু অর্থনীতিকে দুর্বল করে না, বরং দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করে। তাই দুদকের এই তদন্তকে দেশবাসী গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। অনেকেই বলছেন, এই মামলার যথাযথ বিচার হলে ভবিষ্যতে এমন অপরাধে যুক্ত ব্যক্তিরা সতর্ক হবেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার: দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার

আপডেট সময় : ০৮:১৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার তদন্ত

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার: ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতে দুদকের তদন্ত

সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান শুরু করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ও তাঁর স্বামী তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড ও আরও ১২টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন।

দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই অর্থ মূলত বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার নামে তোলা হয় এবং ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, এনবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক এবং সাউথইস্ট ব্যাংক।

এটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত অর্থ পাচারের ঘটনা। সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার মামলাটি শুধু আর্থিক অপরাধ নয়, এটি একটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও বিশ্বাসের অপব্যবহার বলেও অনেকে মনে করছেন।

দুদক সূত্র বলছে, এই মামলায় এখনো প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে, তবে প্রয়োজন হলে বিদেশে তদন্ত সহায়তার জন্য মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স (MLA) ব্যবহার করা হতে পারে। এছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ অনুসন্ধান করতে ইন্টারপোল ও বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা চাওয়া হবে।

তদন্তের মূল পয়েন্ট:

  • ১২টি ভুয়া কোম্পানি তৈরি

  • ব্যাংক থেকে ভুয়া কাগজে ঋণ নেওয়া

  • ২০০০ কোটি টাকার বেশি পাচার

  • ভুক্তভোগী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান: ৯টি

  • নেতৃত্বে ছিলেন: সাঈদা মুনা তাসনিম ও তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী

বিশেষ পর্যবেক্ষণ:

এই ধরনের অর্থ পাচার কেলেঙ্কারি শুধু অর্থনীতিকে দুর্বল করে না, বরং দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করে। তাই দুদকের এই তদন্তকে দেশবাসী গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। অনেকেই বলছেন, এই মামলার যথাযথ বিচার হলে ভবিষ্যতে এমন অপরাধে যুক্ত ব্যক্তিরা সতর্ক হবেন।