ঢাকা ১২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জয়পুরহাটে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে, দুই বিষয়ে ফেল আমার স্বামীকে কেন এমন নির্মমভাবে মেরে ফেলল, প্রশ্ন নিহত সোহাগের স্ত্রীর সাকিবের জন্য দরজা খোলা বলছে বিসিবি বিক্ষোভে উত্তাল রংপুর, খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান এর পর নতুন খেলায় লেদা জমি জিপ গোপন তহবিল পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আজকের আবহাওয়া: বিকেলে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা, গরম থাকবে দিনভর নাহিদ ইসলাম খুলনা: এনসিপির সভায় চাঁদাবাজ-সন্ত্রাস বিরোধী বার্তা লিড নিয়েও জাপানকে হারাতে পারল না বাংলাদেশ তিস্তায় পানি বাড়ছে, কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা

কেউ যদি নবী করিম (সা.) বিরুদ্ধে কিছু লিখে নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে……প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:১০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৯ ১৮ বার পড়া হয়েছে

ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ যদি আমাদের নবী করিম (সা.) বিরুদ্ধে কিছু লিখে থাকে নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভোলায় ফেসবুক হ্যাকিং করে যারা নবী সম্পর্কে কূটক্তি করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে যুব লীগের সপ্তম কংগ্রেসকে সামনে রেখে সংগঠনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।  

তিনি বলেন, কেউ যদি সত্যিকার ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে। যদি নবী করিম (সা.) প্রতি এতটুকু সম্মান থাকে তাহলে আরেকজনের ক্ষতি করার জন্য এ ধরনের জঘন্য কথা কীভাবে লেখে? এটাও আমার একটা প্রশ্ন। কাজেই আমি এ ব্যাপারে দেশবাসীকে বলব, সবাইকে ধৈর্য ধরতে। আর যারা এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় আমরা অন্তত তাদের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করব এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশে একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য এ সমস্ত ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হয়। যখনই দেখা যায় দেশটা একটু ভালোভাবে চলছে, অগ্রগতি হচ্ছে, তখনই একটা শ্রেণি আছে নানাভাবে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। এইটা যেন কোনোভাবে করতে না পারে সেই জন্য আমি সাধারণ মানুষ তাদের কাছে সহযোগিতা চাই। দেশবাসীর কাছে আমার একটাই আহ্বান থাকবে, সকলের ধৈর্য ধরতে হবে। কেউ যদি আমাদের নবী করিম (সা.) বিরুদ্ধে কিছু লিখে থাকে নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যের ক্ষতি করার জন্য যারা এ ধরনের কথা লিখবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ব্যবস্থা নেব। টেকনোলজি মানুষ যেমন ব্যবহার করতে পারে আবার কেউ অপকর্ম করলে সেটা ধরার টেকনোলজিও আছে, এটা ধরা পড়বে। কারণ, ওই ছেলে যদি টেলিফোন করে টাকাটা না চাইতো তাহলে তাকে খুঁজে বের করা মুশকিল হতো। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেছে। আরও যারা আছে আমরা তাদেরকে গ্রেফতার করব। আমরা ফেসবুক অথরিটির সঙ্গে যোগাযোগও করেছি। আরও তথ্য আমরা বের করতে পারব।

শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশের ওপর চড়াও হলে পুলিশ নিজেদের বাঁচানোর জন্য একটা ঘরে আশ্রয় নেয়। আশ্রয় নেয়ার পরও তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। সেখানে একজন এসআইয়ের গায়ে গুলি পর্যন্ত লাগে। সেই সময় সেখানে এসপি, ডিসি সবাই পৌঁছে যান। পুলিশকে রক্ষা করা এবং অন্যান্য সাধারণ মানুষ যারা ছিল সেখানে, যারা তাদের বোঝাতে গিয়েছিল তাদের রক্ষার জন্য গুলি ছোড়ে, ফলে বেশ অনেকজন আহত হয়। এর মধ্যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে আরেকজনের অবস্থা মুমূর্ষ বলে নিশ্চিত করা হয়।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কেউ যদি নবী করিম (সা.) বিরুদ্ধে কিছু লিখে নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে……প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:১০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৯

ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ যদি আমাদের নবী করিম (সা.) বিরুদ্ধে কিছু লিখে থাকে নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভোলায় ফেসবুক হ্যাকিং করে যারা নবী সম্পর্কে কূটক্তি করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে যুব লীগের সপ্তম কংগ্রেসকে সামনে রেখে সংগঠনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।  

তিনি বলেন, কেউ যদি সত্যিকার ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে। যদি নবী করিম (সা.) প্রতি এতটুকু সম্মান থাকে তাহলে আরেকজনের ক্ষতি করার জন্য এ ধরনের জঘন্য কথা কীভাবে লেখে? এটাও আমার একটা প্রশ্ন। কাজেই আমি এ ব্যাপারে দেশবাসীকে বলব, সবাইকে ধৈর্য ধরতে। আর যারা এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় আমরা অন্তত তাদের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করব এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশে একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য এ সমস্ত ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হয়। যখনই দেখা যায় দেশটা একটু ভালোভাবে চলছে, অগ্রগতি হচ্ছে, তখনই একটা শ্রেণি আছে নানাভাবে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। এইটা যেন কোনোভাবে করতে না পারে সেই জন্য আমি সাধারণ মানুষ তাদের কাছে সহযোগিতা চাই। দেশবাসীর কাছে আমার একটাই আহ্বান থাকবে, সকলের ধৈর্য ধরতে হবে। কেউ যদি আমাদের নবী করিম (সা.) বিরুদ্ধে কিছু লিখে থাকে নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যের ক্ষতি করার জন্য যারা এ ধরনের কথা লিখবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ব্যবস্থা নেব। টেকনোলজি মানুষ যেমন ব্যবহার করতে পারে আবার কেউ অপকর্ম করলে সেটা ধরার টেকনোলজিও আছে, এটা ধরা পড়বে। কারণ, ওই ছেলে যদি টেলিফোন করে টাকাটা না চাইতো তাহলে তাকে খুঁজে বের করা মুশকিল হতো। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেছে। আরও যারা আছে আমরা তাদেরকে গ্রেফতার করব। আমরা ফেসবুক অথরিটির সঙ্গে যোগাযোগও করেছি। আরও তথ্য আমরা বের করতে পারব।

শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশের ওপর চড়াও হলে পুলিশ নিজেদের বাঁচানোর জন্য একটা ঘরে আশ্রয় নেয়। আশ্রয় নেয়ার পরও তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। সেখানে একজন এসআইয়ের গায়ে গুলি পর্যন্ত লাগে। সেই সময় সেখানে এসপি, ডিসি সবাই পৌঁছে যান। পুলিশকে রক্ষা করা এবং অন্যান্য সাধারণ মানুষ যারা ছিল সেখানে, যারা তাদের বোঝাতে গিয়েছিল তাদের রক্ষার জন্য গুলি ছোড়ে, ফলে বেশ অনেকজন আহত হয়। এর মধ্যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে আরেকজনের অবস্থা মুমূর্ষ বলে নিশ্চিত করা হয়।