ঢাকা ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এনসিপির উদ্দেশ্যে আবুল কাউছার আশা “রাজনীতিতে শিষ্টাচার থাকাটা জরুরী” আদর্শে আঘাত সহ্য করবে না বিএনপির নেতাকর্মী ৫৪ কোটির সংস্কার, সেই নারায়ণগঞ্জ বন্দর সড়কই মৃত্যুফাঁদ! হলফনামায় মিথ্যা তথ্য: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না ইসি ঢাকার বাজারে সবজির দাম চড়া, কাঁচা মরিচ ৩২০ টাকা কেজি মুন্সীগঞ্জে এনসিপির পথসভায় নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান ইন্টারনেট বন্ধ : তদন্তে মিলেছে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনার প্রমাণ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সংঘর্ষে রিকশাচালক রমজান মুন্সীর মৃত্যু গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৫৮ হাজার ৬৭৭ ফিলিস্তিনি নারায়ণগঞ্জে জামায়াতের বিক্ষোভ, গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার প্রতিবাদ

চাকরি ছেড়ে মিশ্র ফল বাগান, সফল ফল চাষী তুষার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫ বার পড়া হয়েছে

খালিদ হোসেন মিলু বদলগাছী (নওগাঁ)প্রতিনিধি: শুধু চাকরি নয়, কৃষি কাজ করেও জীবনের পথ পরিবর্তন করা যায়। একজন সুশিক্ষিত যুবক ইঞ্জিনিয়ার কামরুল হাসান তুষার তা প্রমাণ করে দিলেন। করোনার বৈশ্বিক পরিবেশে চাকরি ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। তুষার নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা বালুভরা ইউপির প্রধানকুন্ডি গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আল এমরানের ছেলে। ৩ ভাই পরামর্শক্রমে ৪৫ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন মিশ্র ফলজ বাগান। নাম দেওয়া হয় রাইয়্যান এগ্রো ফার্ম। বাগান শুরু এখনও দু’বছর হয়নি। প্রথম বছরেই বড়ই বিক্রির সাফল্যে আশার আলো দেখতে পান ইঞ্জিনিয়ার তুষার। ১২ বিঘা জমিতে প্রায় ২০ লাখ টাকা বড়ই বিক্রি করেছেন।

চলতি মৌসুমে আড়াই শ ক্যারেজ মাল্টা বিক্রি করেন। প্রায় ৩ শ মণ পেয়ারা বিক্রি করেন। মাল্টা বেচা কেনা প্রায় শেষের দিকে। রয়েছে শুধু পেয়ারা।

তথ্য সংগ্রহকালে দেখা যায় খণ্ড খণ্ড অংশে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সবুজ বেষ্টনীতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এক বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক পরিবেশ। যা গ্রামের মেহনতী মানুষকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। উৎসাহ পেয়ে আশপাশের কয়েকজন বড়ই বাগান তৈরি করছে। বাগানে দেখা যায় কিছু জমিতে মাল্টা পেয়ারার গাছ বড় হয়ে গেছে। আবার কিছু জমিতে গাছ ছোট রয়েছে। এক দেড় ফিট লম্বা পেয়ারা গাছ হাফ কেজি থেকে ৬শ’, ৭শ’ গ্রাম ওজনের মিষ্টি পেয়ারা ধরে আছে।

তুষার জানান, বাগান তৈরিতে আমি ভবিষ্যতে আশার আলো দেখতে পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হও। তবে কেউ যদি সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে পারে অবশ্যই সফল হবে। শ্রমিকের সাথে নিজেকেও শ্রমিক হতে হবে। আমার বাগানের মাল্টা, পেয়ারা এলাকায় ব্যাপক চাহিদা। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে ফোনে ফলের অর্ডার করেন। সে মোতাবেক ডেলিভারি দেওয়া হয়।

কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী জানান, আমরা সব সময় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি। মাল্টা কমলা ও লেবু জাতীয় ফলে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। বিদেশি ফল পরিহার করে দেশীয় ফলে নির্ভরশীল হতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলপনা ইয়াসমিন জানান, আমি বাগানটি পরিদর্শন করেছি। সেখানে নানা প্রজাতির ফল রয়েছে। খেতেও খুব মিষ্টি। বাগান মালিকের উৎসাহ উদ্দীপনা এলাকাবাসীকে উদ্বুদ্ধ করবে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চাকরি ছেড়ে মিশ্র ফল বাগান, সফল ফল চাষী তুষার

আপডেট সময় : ১২:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

খালিদ হোসেন মিলু বদলগাছী (নওগাঁ)প্রতিনিধি: শুধু চাকরি নয়, কৃষি কাজ করেও জীবনের পথ পরিবর্তন করা যায়। একজন সুশিক্ষিত যুবক ইঞ্জিনিয়ার কামরুল হাসান তুষার তা প্রমাণ করে দিলেন। করোনার বৈশ্বিক পরিবেশে চাকরি ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। তুষার নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা বালুভরা ইউপির প্রধানকুন্ডি গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আল এমরানের ছেলে। ৩ ভাই পরামর্শক্রমে ৪৫ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন মিশ্র ফলজ বাগান। নাম দেওয়া হয় রাইয়্যান এগ্রো ফার্ম। বাগান শুরু এখনও দু’বছর হয়নি। প্রথম বছরেই বড়ই বিক্রির সাফল্যে আশার আলো দেখতে পান ইঞ্জিনিয়ার তুষার। ১২ বিঘা জমিতে প্রায় ২০ লাখ টাকা বড়ই বিক্রি করেছেন।

চলতি মৌসুমে আড়াই শ ক্যারেজ মাল্টা বিক্রি করেন। প্রায় ৩ শ মণ পেয়ারা বিক্রি করেন। মাল্টা বেচা কেনা প্রায় শেষের দিকে। রয়েছে শুধু পেয়ারা।

তথ্য সংগ্রহকালে দেখা যায় খণ্ড খণ্ড অংশে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সবুজ বেষ্টনীতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এক বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক পরিবেশ। যা গ্রামের মেহনতী মানুষকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। উৎসাহ পেয়ে আশপাশের কয়েকজন বড়ই বাগান তৈরি করছে। বাগানে দেখা যায় কিছু জমিতে মাল্টা পেয়ারার গাছ বড় হয়ে গেছে। আবার কিছু জমিতে গাছ ছোট রয়েছে। এক দেড় ফিট লম্বা পেয়ারা গাছ হাফ কেজি থেকে ৬শ’, ৭শ’ গ্রাম ওজনের মিষ্টি পেয়ারা ধরে আছে।

তুষার জানান, বাগান তৈরিতে আমি ভবিষ্যতে আশার আলো দেখতে পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হও। তবে কেউ যদি সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে পারে অবশ্যই সফল হবে। শ্রমিকের সাথে নিজেকেও শ্রমিক হতে হবে। আমার বাগানের মাল্টা, পেয়ারা এলাকায় ব্যাপক চাহিদা। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে ফোনে ফলের অর্ডার করেন। সে মোতাবেক ডেলিভারি দেওয়া হয়।

কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী জানান, আমরা সব সময় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি। মাল্টা কমলা ও লেবু জাতীয় ফলে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। বিদেশি ফল পরিহার করে দেশীয় ফলে নির্ভরশীল হতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলপনা ইয়াসমিন জানান, আমি বাগানটি পরিদর্শন করেছি। সেখানে নানা প্রজাতির ফল রয়েছে। খেতেও খুব মিষ্টি। বাগান মালিকের উৎসাহ উদ্দীপনা এলাকাবাসীকে উদ্বুদ্ধ করবে।