নোয়াখালীতে ৩ জনের লাশ উদ্ধার

ইয়াকুব নবী ইমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীতে মাত্র ১৬ ঘন্টার ব্যবধানে খুনের শিকার স্কুল ছাত্রসহ তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেলার কোম্পানীগঞ্জে ডাকাত সর্দার, সোনাইমুড়ীতে স্কুল ছাত্র ও চাটখিল উপজেলায় বাক প্রতিবন্ধির লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জ উপকূলীয় এলাকার শীর্ষ ডাকাত সর্দার নিজাম উদ্দিন বৈজ্ঞার (৪০) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে পাশ^বর্তি সোনাগাজি থানা পুলিশ উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করে। নিজাম উদ্দিন বৈজ্ঞা মধ্যম মুছাপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল হক জানান, ডাকাত সর্দার নিজাম উদ্দিন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের একজন সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। কিছুদিন আগে সে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আবারো সোনাগাজী এবং কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার ডাকাত দলের সাথে সক্রিয় হয়। দুদিন আগে তার পরিবার অভিযোগ করেছিল তাকে এলাকা থেকে তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে অপহরনের পর হত্যা করে খুনিরা লাশ ঘটনাস্থলে ফেলে যায় বলে ধরনা করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে সোনাগাজী ও কোম্পানীগঞ্জ থানায় অবৈধ অস্ত্র ও ডাকাতির অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। নিজামের সহযোগী রামপুর গ্রামের ডাকাত শাহাদাত হোসেন কিছুদিন আগে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।
এদিকে সোনাইমুড়ী উপজেলায় ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্ধের জের ধরে ছুরিকাঘাতে এক মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা করা হয়। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আলোকপাড়া গ্রামে দুই বাড়ির মধ্যে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. সাইমন (১৩) ও গুরুত্বর আহত শিমুল সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের আলোকপাড়া গ্রামের বড় বাড়ীর শামছুদ্দিন’র ছেলে এবং নিহত সাইমন সোনাইমুড়ী আলিয়া মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।। এ ঘটনায় নিহতের ভাই শিমুল গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুস সামাদ জানান, মঙ্গলবার বিকেলে আলোকপাড়া গ্রামের বিলে বড় বাড়ি ও আশরাফ আলী বেপারী বাড়ির ছেলেদের মধ্যে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বড় বাড়ীর শামছুদ্দিনের ছেলে মো. সাইমন ও একই গ্রামের আশরাফ আলী বেপারী বাড়ির এছহাক মিয়ার ছেলে মীর হোসেনের (২০) সাথে ঝগড়া ও কথা কাটাকাটি হয়। পরে এর জের ধরে মাগরিবের নামাজের পর মীর হোসের ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে সাইমন ও তার ভাই শিমুল বাজারে যাওয়ার পথে গতি রোধ করে দুই ভাইকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আহত অবস্থায় সাইমনকে উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় শিমুল (১৬) কে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হামলাকারী মীর হোসেন (২০), একই ওয়ার্ডের এছাক মিয়া ছেলে। তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
অপরদিকে সোমবার বিকালে চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আহম্মদ কাজী ভ‚ঞা বাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে রুবেল প্রকাশ মায়া (২৫) নামের এক বাক প্রতিবন্ধির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মায়া নোয়াখলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পাইকের বাড়ির মৃত সৈয়দ আহম্মদের ছেলে। চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. দুলাল মিয়া লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মায়া পুকুর পাড়ে ঘাস কাটতে যায়। তবে কি ভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা বলা যাচ্ছেনা। নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায়, মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাই আপাতত থানায় ইউডি মামলা হবে। তবু আমরা তদন্ত করে দেখবো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title