ঢাকা ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জয়পুরহাটে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে, দুই বিষয়ে ফেল আমার স্বামীকে কেন এমন নির্মমভাবে মেরে ফেলল, প্রশ্ন নিহত সোহাগের স্ত্রীর সাকিবের জন্য দরজা খোলা বলছে বিসিবি বিক্ষোভে উত্তাল রংপুর, খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান এর পর নতুন খেলায় লেদা জমি জিপ গোপন তহবিল পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আজকের আবহাওয়া: বিকেলে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা, গরম থাকবে দিনভর নাহিদ ইসলাম খুলনা: এনসিপির সভায় চাঁদাবাজ-সন্ত্রাস বিরোধী বার্তা লিড নিয়েও জাপানকে হারাতে পারল না বাংলাদেশ তিস্তায় পানি বাড়ছে, কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা

যারা শারিরিক পরিশ্রম করে তাদের করোনা হচ্ছে না: মতিয়া চৌধুরী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৩৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১ ১৯ বার পড়া হয়েছে

শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: কৃষি মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, যারা  পরিশ্রম করেন, গায়ে রোদ লাগান তাদের করোনা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, কৃষক, শ্রমিক মাঠে প্রচন্ড রোদে ধান কাটছেন, গৃহকর্মীরা কাজ করছেন তাদের কিন্তু করোনা নেই। আজ (৭ মে) দুপুরে শেরপুরের নকলা উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রের মুক্তমঞ্চে দরিদ্র মানুষের মধ্যে প্রীতি উপহার , করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন- করোনা শুরু হওয়ার পর গুজব উঠে পত্রিকা ধরলে করোনা হয়। কিন্তু  কোভিড বিশেষজ্ঞরা  যখন বললেন পত্রিকাতে করোনা নেই তখন কিন্তু মানুষ ফের পত্রিকা পড়া শুরু করেন । আজ পর্যন্ত পত্রিকা পড়ে  কারোরই  কিন্তু  করোনা হয়নি। এসসময় তিনি প্রত্যেক কে কমপক্ষে ১৫ মিনিটে গায়ে রোদ লাগাতে এবং লবন জলে গারগিল অথবা ভাপ নিতে অনুরোধ করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন,  কোভিড বিশেষজ্ঞদের উদাহরণ টেনে বলেন, চিকিৎসকরা বলছেন- রোদে  ভিটামিন ডি আছে। এটা করোনা প্রতিশোধকের কাজ করে। আর গরম লবন পানি করোনা ভাইরাস মেরে ফেলে। তাই আপনারা রোদ লাগাবেন, ভাপ নিবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশে করোনা পরিস্থিতি  নিয়ন্ত্রণে রয়েছে উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশে যেভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে সেই তুলনায় আমরা অনেক ভাল আছি। আল্লাহর রহমতে এবং প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে।  তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মানুষকে  আহবান জানান।

বিতরণ অনুষ্ঠানে নকলার ইউএনও  মো. জাহিদুর রহমান, পৌর মেয়র  মো. হাফিজুর রহমান লিটন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহসহ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিন মতিয়া চৌধুরী উপজেলার ১৮৩ মুক্তিযোদ্ধাকে তার নিজস্ব তহবিল ঈদের প্রীতি উপহার  হিসেবে ৩ হাজার করে টাকা, ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ২ হাজার  ২০০ দরিদ্র মানুষ কে একটি করে শাড়ী ও মাস্ক, নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ হাজার মাস্ক, ২০০ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, নকলা থানা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কর্মচারীকে শাড়ী ও ঈদ উপহার প্রদান করেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

যারা শারিরিক পরিশ্রম করে তাদের করোনা হচ্ছে না: মতিয়া চৌধুরী

আপডেট সময় : ০২:৩৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১

শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: কৃষি মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, যারা  পরিশ্রম করেন, গায়ে রোদ লাগান তাদের করোনা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, কৃষক, শ্রমিক মাঠে প্রচন্ড রোদে ধান কাটছেন, গৃহকর্মীরা কাজ করছেন তাদের কিন্তু করোনা নেই। আজ (৭ মে) দুপুরে শেরপুরের নকলা উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রের মুক্তমঞ্চে দরিদ্র মানুষের মধ্যে প্রীতি উপহার , করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন- করোনা শুরু হওয়ার পর গুজব উঠে পত্রিকা ধরলে করোনা হয়। কিন্তু  কোভিড বিশেষজ্ঞরা  যখন বললেন পত্রিকাতে করোনা নেই তখন কিন্তু মানুষ ফের পত্রিকা পড়া শুরু করেন । আজ পর্যন্ত পত্রিকা পড়ে  কারোরই  কিন্তু  করোনা হয়নি। এসসময় তিনি প্রত্যেক কে কমপক্ষে ১৫ মিনিটে গায়ে রোদ লাগাতে এবং লবন জলে গারগিল অথবা ভাপ নিতে অনুরোধ করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন,  কোভিড বিশেষজ্ঞদের উদাহরণ টেনে বলেন, চিকিৎসকরা বলছেন- রোদে  ভিটামিন ডি আছে। এটা করোনা প্রতিশোধকের কাজ করে। আর গরম লবন পানি করোনা ভাইরাস মেরে ফেলে। তাই আপনারা রোদ লাগাবেন, ভাপ নিবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশে করোনা পরিস্থিতি  নিয়ন্ত্রণে রয়েছে উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশে যেভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে সেই তুলনায় আমরা অনেক ভাল আছি। আল্লাহর রহমতে এবং প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে।  তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মানুষকে  আহবান জানান।

বিতরণ অনুষ্ঠানে নকলার ইউএনও  মো. জাহিদুর রহমান, পৌর মেয়র  মো. হাফিজুর রহমান লিটন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহসহ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিন মতিয়া চৌধুরী উপজেলার ১৮৩ মুক্তিযোদ্ধাকে তার নিজস্ব তহবিল ঈদের প্রীতি উপহার  হিসেবে ৩ হাজার করে টাকা, ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ২ হাজার  ২০০ দরিদ্র মানুষ কে একটি করে শাড়ী ও মাস্ক, নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ হাজার মাস্ক, ২০০ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, নকলা থানা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কর্মচারীকে শাড়ী ও ঈদ উপহার প্রদান করেন।