ঢাকা ১০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নারায়ণগঞ্জে জামায়াতের বিক্ষোভ, গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার প্রতিবাদ কুষ্টিয়া কুমারখালীতে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩ জন নির্বাচন নিয়ে ভেতরে-ভেতরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : রিজভী লিটনের পারফরম্যান্স নিয়ে যা বললেন নাফিস হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ: রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার রুখবে সংগঠন গোপালগঞ্জের ঘটনায় কাউকে ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এনসিপি ফের গোপালগঞ্জ যাবে, প্রতিটি ঘরে গণঅভ্যুত্থানের পতাকা উড়বে: নাহিদ ইসলাম পদযাত্রা ও লংমার্চ: কোনটি কেমন ও কী পার্থক্য? নির্বাচন ঠেকাতে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে একটি মহল: বিএনপি শুটিংয়ে পাকিস্তানি পতাকা, তোপের মুখে রণবীর সিং

১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড ছিলো দেশী-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ : রাসেল

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট ২০২৩ ১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সাধারণ কোনো হত্যাকাণ্ড নয়, এই হত্যাকাণ্ড ছিলো সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে জন্মের পরেই মেরে ফেলার দেশি-বিদেশি চক্রান্তের অংশ। সুপরিকল্পিত এ হত্যাকান্ড বিশ্বের ইতিহাসে সব থেকে বর্বরতম ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল।

মঙ্গলবার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ বর্বরোচিত ঘটনায় যারা সরাসরি জড়িত ছিলেন শুধু তাদেরকে বিচারের আওতায় আনলে হবে না। যারা এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন, পর্দার আড়াল থেকে যাবতীয় কলকাঠি নেড়েছিলেন সেই কুশীলবদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, মেজর জিয়া ও তার দোসররা নির্মম এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিলো।বাংলাদেশ হতে চিরতরে রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বন্ধ করার জন্য এসকল কুশীলবদের মরোনোত্তর হলেও বিচার করতে হবে। যারা বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের সাজা
কার্যকর করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দেশি-বিদেশি অপশক্তি ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি এবং যারা বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল, তারাই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁকে হত্যা করেছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শৈশব থেকেই ছিলেন অত্যন্ত মানবদরদি কিন্তু অধিকার আদায়ে আপসহীন। চল্লিশের দশকে এই তরুণ ছাত্রনেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী’র সংস্পর্শে এসে সক্রিয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৪৮ সালে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’, ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮ এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬ এর ৬-দফা, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে সফলভাবে নেতৃত্ব দেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড ছিলো দেশী-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ : রাসেল

আপডেট সময় : ১১:৪০:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সাধারণ কোনো হত্যাকাণ্ড নয়, এই হত্যাকাণ্ড ছিলো সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে জন্মের পরেই মেরে ফেলার দেশি-বিদেশি চক্রান্তের অংশ। সুপরিকল্পিত এ হত্যাকান্ড বিশ্বের ইতিহাসে সব থেকে বর্বরতম ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল।

মঙ্গলবার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ বর্বরোচিত ঘটনায় যারা সরাসরি জড়িত ছিলেন শুধু তাদেরকে বিচারের আওতায় আনলে হবে না। যারা এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন, পর্দার আড়াল থেকে যাবতীয় কলকাঠি নেড়েছিলেন সেই কুশীলবদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, মেজর জিয়া ও তার দোসররা নির্মম এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিলো।বাংলাদেশ হতে চিরতরে রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বন্ধ করার জন্য এসকল কুশীলবদের মরোনোত্তর হলেও বিচার করতে হবে। যারা বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের সাজা
কার্যকর করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দেশি-বিদেশি অপশক্তি ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি এবং যারা বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল, তারাই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁকে হত্যা করেছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শৈশব থেকেই ছিলেন অত্যন্ত মানবদরদি কিন্তু অধিকার আদায়ে আপসহীন। চল্লিশের দশকে এই তরুণ ছাত্রনেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী’র সংস্পর্শে এসে সক্রিয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৪৮ সালে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’, ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮ এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬ এর ৬-দফা, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে সফলভাবে নেতৃত্ব দেন।