ঢাকা ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়ক যেন মরন ফাঁদ কিশোরগঞ্জে সাংবাদিক সুরক্ষা আইনের দাবিতে সোচ্চার সকল বক্তা দুর্নীতির দায়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের এমডি অপসারণ এনসিপিসহ কোনো দলই প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি – ইসি ব্যবসায়ী সোহাগ হ/ত্যা/র অন্যতম আসামী নারায়ণগঞ্জ বন্দর থেকে গ্রেপ্তার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদারে আগ্রহী সৌদি আরব পুতিন সবাইকে ধোঁকা দিয়েছেন, কিন্তু আমাকে পারেননি : ট্রাম্প ময়মনসিংহে ২ শিশুসহ মাকে গলা কেটে হ‍ত‍্যা রাজশাহী-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী “ক্লিন ইমেজে”র প্রার্থী নুরুজ্জামান খাঁন মানিক। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যে ৫০% শুল্ক: পোশাকসহ রপ্তানি খাত পড়ছে চাপে

২৪ বছর ধরে বিনা বেতনে পাঠদান : বছরের পাঁচমাস জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকে আলিপুর দাখিল মাদরাসা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:০১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০ ১৭ বার পড়া হয়েছে

 

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: বছরের পাঁচমাস জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার আলিপুর দাখিল মাদ্রাসা। অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারনে মাদ্রাসার মাঠ পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এ বছর বন্যা ও ভারি বর্ষণের কারণে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না হলে মাদ্রাসাটির বেহাল দশা দূর হবেনা।
এদিকে বিনা বেতনে প্রায় ২৪ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। মাদ্রাসা ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ১৯৬৭ সালে উপজেলা সদর হতে ২৪ কিমি দূরে আলীপুর গ্রামে মরহুম আব্দুল কাদের মুন্সি ও তার ছোট ভাই মরহুম ইব্রাহীম আদ্হাম অবহেলিত এ জনপদে ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার ঘটাতে নিজেদের দান করা এক একর জমির ওপর মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমে এবতেদায়ী পরে দাখিল পর্যন্ত পাঠদান শুরু হয়। খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে চলতে ১৯৯৩ সালে বন্ধ হয়ে যায় ওই দাখিল মাদ্রাসা। এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এলে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আব্দুল কুদ্দুুসের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি আবার চালু হয়। বর্তমানে ওই মাদ্রাসায় ২০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ২৭০জন শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন এবং প্রতি বছরই ফলাফল ভাল হচ্ছে।
মাদরাসার সুপার মো. আশরাফুল আলম বলেন, বছরের ৫ মাস এই প্রতিষ্ঠানে পানি জমে থাকে। শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হয় কষ্টসাধ্য। মাঠে এখনও একমাজা পানি। আশা ছিলো গত বছর আমাদের মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত হবে কিন্তু হয়নি। স্থানীয় এমপি আব্দুল কুদ্দুস মাঝেমধ্যে টিআর এর অনুদান দিলেও তাতে মাদ্রাসা চালানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়। এভাবে বিনা বেতনে মাদ্রাসা চালাতে গিয়ে আমাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, মাদ্রাসাটির ফলাফল ভাল হলেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ২৪ বছর ধরে শিক্ষক কর্মচারীরা বেতন পান না। তারা বেকারগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। তারওপর বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতা। এতে মাদ্রাসা চালানো কঠিন হচ্ছে।
মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শাহ আলম মাস্টার জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন পায় না। অন্ততপক্ষে জলাবদ্ধতা দূর করে একটা বিল্ডিং করে দিলে প্রতিষ্ঠানটি টিকে রাখা সম্ভব হতো।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

২৪ বছর ধরে বিনা বেতনে পাঠদান : বছরের পাঁচমাস জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকে আলিপুর দাখিল মাদরাসা

আপডেট সময় : ০৬:০১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০

 

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: বছরের পাঁচমাস জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার আলিপুর দাখিল মাদ্রাসা। অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারনে মাদ্রাসার মাঠ পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এ বছর বন্যা ও ভারি বর্ষণের কারণে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না হলে মাদ্রাসাটির বেহাল দশা দূর হবেনা।
এদিকে বিনা বেতনে প্রায় ২৪ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। মাদ্রাসা ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ১৯৬৭ সালে উপজেলা সদর হতে ২৪ কিমি দূরে আলীপুর গ্রামে মরহুম আব্দুল কাদের মুন্সি ও তার ছোট ভাই মরহুম ইব্রাহীম আদ্হাম অবহেলিত এ জনপদে ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার ঘটাতে নিজেদের দান করা এক একর জমির ওপর মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমে এবতেদায়ী পরে দাখিল পর্যন্ত পাঠদান শুরু হয়। খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে চলতে ১৯৯৩ সালে বন্ধ হয়ে যায় ওই দাখিল মাদ্রাসা। এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এলে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আব্দুল কুদ্দুুসের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি আবার চালু হয়। বর্তমানে ওই মাদ্রাসায় ২০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ২৭০জন শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন এবং প্রতি বছরই ফলাফল ভাল হচ্ছে।
মাদরাসার সুপার মো. আশরাফুল আলম বলেন, বছরের ৫ মাস এই প্রতিষ্ঠানে পানি জমে থাকে। শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হয় কষ্টসাধ্য। মাঠে এখনও একমাজা পানি। আশা ছিলো গত বছর আমাদের মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত হবে কিন্তু হয়নি। স্থানীয় এমপি আব্দুল কুদ্দুস মাঝেমধ্যে টিআর এর অনুদান দিলেও তাতে মাদ্রাসা চালানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়। এভাবে বিনা বেতনে মাদ্রাসা চালাতে গিয়ে আমাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, মাদ্রাসাটির ফলাফল ভাল হলেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ২৪ বছর ধরে শিক্ষক কর্মচারীরা বেতন পান না। তারা বেকারগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। তারওপর বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতা। এতে মাদ্রাসা চালানো কঠিন হচ্ছে।
মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শাহ আলম মাস্টার জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন পায় না। অন্ততপক্ষে জলাবদ্ধতা দূর করে একটা বিল্ডিং করে দিলে প্রতিষ্ঠানটি টিকে রাখা সম্ভব হতো।