নওগাঁয় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রতারণা করে দুই বছর যাবৎ ধর্ষণ

নওগাঁর রেজু মুনির বাড়ির পাশেই বয়লার বয়লারের ব্র্যান্ড গুড়া কেনার জন্য আসতো এমদাদুল হক। এমদাদুল হকের সঙ্গে পরিচয় হয় বয়লারে নওগাঁ সদর উপজেলার পিরেজপুর গ্রামের এজামুল হোসেন এর মেয়ে রেজু মুনির এরপর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন এমদাদুল হক কিছুদিন যেতেই বিয়ের জন্য চাপ দিলে পরিবারের কাছে গোপন রেখে নওগাঁ জেলা জজ কোর্টে মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজিয়ে বিয়ে করেন। রেজু মুনির বলেন, কোর্টের সামনে চায়ের দোকানে কোর্টের এক মহুরি দিয়ে ফাঁকা একশো টাকার দুইটা স্ট্যাম্পে একটি স্বাক্ষর নেয় এমদাদুল হক তারপর বলে বিয়ে হয়ে গেছে, আমি কাজীর কথা বললে এমদাদুল হক বলে কোন কাজী দিয়ে বিয়ে পড়াইতে হবে না আমরা কি কাজী অফিসে এসেছি স্ট্যাম্পে সই করেছো মানেই বিয়ে হয়ে গেছে। কয়দিন পর আমাকে স্ট্যাম্পে আমার ছবি লাগানো নোটারি পাবলিকের স্টিকার সহ ৩০হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ের এফিডেভিট কাগজ আমার হাতে দেয় এমদাদুল হক। পার নওগাঁ রেজিস্ট্রিপাড়া আমাকে বউ এর পরিচয়ে এনামুলের বাসা ভাড়া নিয়ে রাখেন, কিছুদিন যেতেই ব্যাবসার নাম করে আমার কাছে থাকা টাকা পয়সা ও সোনার কিছু জিনিশ সব নিয়ে বিক্রয় করে নেষা করে এবং আমাকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে বলে বাবা মায়ের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল কিনে দিতে আমার বাবা মা গরীব মানুষ চালের বয়লারে দিনমজুরির কাজ করে কোথায় পাবে এত টাকা এই কথা বললে আমাকে অমানুষের মত মারে ও নির্যাতন করে বালুশ চাপা দিয়ে গলা টিপে ধরে মেরে ফেলার জন্য। আমাকে বলেআমাকে দিনে-দিনে মারবে আঘাত দিয়ে। যতোই আমাকে নির্যাতন করুক আমি তার ঘরে বউ হয়ে ফিরতে চাই। মেয়ের মা মিনারা বেগম বলেন, আমি বয়লারে ও মানুষের বাড়ি, বাড়ি ঝিয়ের কাজ করে সংসার চলে এখন মেয়ে জামাই যৌতুক চাই ৪ লক্ষ টাকা। টাকা কোথায় থেকে দিব, টাকা না দিলে মেয়েকে ভাত দিবেনা। আমি গরিব মা হিসেবে আমার জামাইকে অনুরোধ করবো আমার মেয়েকে তার বাসায় যেন নিয়ে যায়। আগের মতো দুইজন মিলে সুখে-শান্তিতে সংসার করে খাই যেনো। আমরা গরিব লোক বিচার এর জন্য কোর্টে বা পুলিশের কাছে গেলে টাকা লাগবে এত টাকা আমরা কোথায় পাব, তাই আমরা কোন আইনের আশ্রয় নেয়নি, ছোট মানুষ ভুল করেছে ভুল ভাঙলে আমার মেয়েকে বাসায় নিয়ে যাবে।

এমদাদুল হক এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি কোর্টে বিয়ে করছি কিন্তু কাজী দিয়ে বিয়ে করি নাই, স্ত্রী হিসেবে দাবি করতেই পারে আমি সংসার করবো কি করবো না সেটা আমার বিষয় নওগাঁ পৌরসভায় একটা বিচার দিয়েছে বিচার বসার তারিখ ক,দিন পর তখন দেখা যাবে, এই বিষয়ে কোন কথা এই মুহুর্তে বলতে পারব না।

নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, এই বিষয়ে এখনো কোন লিখিত অভিয়োগ পাইনি অভিয়োগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

অন্তর আহম্মেদ
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title