ঢাকা ১০:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারি বর্ষণ-সমুদ্রের জোয়ারে বাঁশখালীর বেড়িবাঁধে ভাঙন25 ৩টি দিক থেকে ভাঙ্গায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন ইশরাক ইশরাক স্লোগান: নগর ভবনের ৫টি উত্তপ্ত বাস্তবতা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত: ইসরায়েলের ৩ গোপন সামরিক ঘাঁটিতে ধ্বংস জ্বালানি নিরাপত্তা ও বায়ু দূষণ কমাতে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন নিউইয়র্কে ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন রুনা খান25 যশোরে করোনায় আক্রান্ত আরেকজনের মৃত্যু25 টানা বৃষ্টিতে পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় জনজীবন বিপর্যস্ত25 কুমারখালীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে শেখ সাদীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখার অভিযোগে বীরগঞ্জে ৪টি ফার্মেসীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা25

নির্বাচন নিয়ে যা বললেন এমপি হারুন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:১৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচনে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ। এ সময় পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তবে সদ্য সমাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন বিএনপি দলীয় এই সদস্য।

সোমবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে তিনিনিজের নির্বাচনী এলাকার পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রপতির সংলাপ প্রসঙ্গে কথা বলেন।

এসময় হৈ চৈ শুরু করেন সরকারি দলের সদস্যরা। এই নিয়ে সংসদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মো. হারুনুর রশীদ স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকার দলীয় সংসদের উদ্দেশ্যে বলেন, এত অধৈর্য হইয়েন না প্লিজ। এত অধৈর্য হচ্ছেন কেন? যা সত্য, তা বলার অন্তত সুযোগ স্পিকার আমাকে দিয়েছেন।

এর আগে তিনি বলেন, গত সংসদ অধিবেশনের পর আমার নির্বাচনী এলাকায় গত ৩০ নভেম্বর চাপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে। তার আগে ৫ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমি গত সংসদে আবেদন রেখেছিলাম, আমরা এই সংসদে আছি, অন্তত পক্ষে আমার নির্বাচনী এলাকায় যেন জনগণ ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করেন।

মো. হারুনুর রশীদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছিলাম। কিন্তু আমার এলাকায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। সেই দিন ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। ইভিএমে ভোট হয়েছে। ইভিএম কেন্দ্রগুলোতে অনেকে ব্যাচ লাগিয়ে ঘুরেছে, কেউ বলছে আমি ইভিএমের মনিটর করছি, কেউ বলছে ইভিএমের টেকনেশিয়ান। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু কোনো উত্তর পাইনি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ হচ্ছে। আসলে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে জনগণের আগ্রহ, উৎসাহ একেবারেই নাই। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন। আমি বাংলাদেশের নির্বাচনের কথা বলব না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করবো। আমার এলাকায় পৌরসভা নির্বাচনে যে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে কেন সংসদে থাকব?

মো. হারুনুর রশীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় মেয়াদ পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন দুর্নীতিবাজ যেই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না। অসৎ উপায় অবলম্বন করাও দুর্নীতি। আপনি অসৎ উপায়ে নির্বাচন করেন ও নির্বাচিত হন। অসৎ উপায় অবলম্বন করে ভর্তি হন,নিয়োগ পান। অসৎ উপায়ে যেকোনো কর্ম বাস্তবায়ন ইসলামে নিষিদ্ধ রয়েছে। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নির্বাচন নিয়ে যা বললেন এমপি হারুন

আপডেট সময় : ০৩:১৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচনে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ। এ সময় পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তবে সদ্য সমাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন বিএনপি দলীয় এই সদস্য।

সোমবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে তিনিনিজের নির্বাচনী এলাকার পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রপতির সংলাপ প্রসঙ্গে কথা বলেন।

এসময় হৈ চৈ শুরু করেন সরকারি দলের সদস্যরা। এই নিয়ে সংসদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মো. হারুনুর রশীদ স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকার দলীয় সংসদের উদ্দেশ্যে বলেন, এত অধৈর্য হইয়েন না প্লিজ। এত অধৈর্য হচ্ছেন কেন? যা সত্য, তা বলার অন্তত সুযোগ স্পিকার আমাকে দিয়েছেন।

এর আগে তিনি বলেন, গত সংসদ অধিবেশনের পর আমার নির্বাচনী এলাকায় গত ৩০ নভেম্বর চাপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে। তার আগে ৫ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমি গত সংসদে আবেদন রেখেছিলাম, আমরা এই সংসদে আছি, অন্তত পক্ষে আমার নির্বাচনী এলাকায় যেন জনগণ ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করেন।

মো. হারুনুর রশীদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছিলাম। কিন্তু আমার এলাকায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। সেই দিন ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। ইভিএমে ভোট হয়েছে। ইভিএম কেন্দ্রগুলোতে অনেকে ব্যাচ লাগিয়ে ঘুরেছে, কেউ বলছে আমি ইভিএমের মনিটর করছি, কেউ বলছে ইভিএমের টেকনেশিয়ান। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু কোনো উত্তর পাইনি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ হচ্ছে। আসলে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে জনগণের আগ্রহ, উৎসাহ একেবারেই নাই। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন। আমি বাংলাদেশের নির্বাচনের কথা বলব না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করবো। আমার এলাকায় পৌরসভা নির্বাচনে যে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে কেন সংসদে থাকব?

মো. হারুনুর রশীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় মেয়াদ পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন দুর্নীতিবাজ যেই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না। অসৎ উপায় অবলম্বন করাও দুর্নীতি। আপনি অসৎ উপায়ে নির্বাচন করেন ও নির্বাচিত হন। অসৎ উপায় অবলম্বন করে ভর্তি হন,নিয়োগ পান। অসৎ উপায়ে যেকোনো কর্ম বাস্তবায়ন ইসলামে নিষিদ্ধ রয়েছে। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।