ব্রিকস কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, কারও বিরোধী নয়: পুতিন

অনলাইন ডেস্ক: ব্রিকস কারও সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না এবং কারও বিরোধী নয়। তবে বহুমুখী বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অপ্রতিরোধ্য প্রতিপক্ষ রয়েছে। জোহানেসবার্গে চলমান ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

পুতিন বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করতে চাই যে ব্রিকস কারও সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না, কারও বিরোধিতা করছে না। তবে এটাও পরিষ্কার, একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার এই উদ্দেশ্যকে থামিয়ে দিতে প্রতিপক্ষ রয়েছে। প্রতিপক্ষরা বিশ্বে উন্নয়ন ও প্রভাবের নতুন স্বাধীন কেন্দ্রের উত্থানকে আটকানোর চেষ্টা করছে।’

ভাষণ দেওয়ার সময় ব্রিকস প্লাস/আউটরিচ ফরম্যাটের গুরুত্বও উল্লেখ করেছেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সদস্য পাঁচ দেশ নিজেদের সঙ্গে সহযোগীতার মতো বিষয়গুলোকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। আমরা নিজেদের মত বিনিময়ের আরও ভাল সুযোগ পাব।’

ব্রিকস জোটে নতুন করে ছয় দেশকে সদস্যপদ দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বৃহস্পতিবার বলেছেন, আর্জেন্টিনা, মিসর, ইরান, ইথিওপিয়া, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সদস্যপদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ব্রিকসের সদস্যপদের আমন্ত্রণ পায়নি বাংলাদেশ। নতুন দেশগুলোর ব্রিকস সদস্যপদ ১ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

ব্রিকসের নেতারা তাদের জোট সম্প্রসারণ করার বিষয়ে সম্মত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালের পর এই প্রথম তারা কোনো সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিল। ২০০৯ সালের ১৬ জুন প্রথমে ব্রিক নামে জোটের যাত্রা শুরু হয়। পরে ২০১০ সালে জোটে দক্ষিণ আফ্রিকা শরিক হয়ে ব্রিকস নাম ধারণ করে। এরপর আর কোনো সদস্য নেয়নি তারা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title