ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত এজেন্ডা বাস্তবায়নে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বারবার হস্তক্ষেপ করে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • / 9

ভারত নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বারবার হস্তক্ষেপ করে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।  

তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতকে দেখেছি, যখনই নির্বাচন আসে, তখনই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীলতা এবং নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তারা বারবার হস্তক্ষেপ করে।’

রোববার (১৬ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারত মহাসাগরীয় আঞ্চলের পাঁচ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। সেই সফরকে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা জানেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ইন্ডিয়াতে সফর করছেন। সেই সফরটা কি জন্য? কেন করেছেন? আমরা সরকারকে আহ্বান জানাবো জাতির সামনে যেন এটা স্পষ্ট করা হয়। জনগণকে ব্যাখ্যা দেওয়া নৈতিক দায়িত্ব।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, এই সফর কি কোনো হস্তক্ষেপ নাকি বাংলাদেশকে নতুন একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য? সরকারকে এটা স্পষ্ট করতে হবে।

এনসিপির এই নেতা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হলো জননিরাপত্তা বিধান করা। আমরা আমাদের রাজনৈতিক যে অবস্থান রয়েছে, কর্মসূচি রয়েছে সেটা পালন করবো। কিন্তু আমাদের কাজ নিরাপত্তা বিধান করা না। এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে করতে হবে। এই সরকার যদি নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশনটা কিভাবে হবে? সেজন্য আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো, নিরাপত্তা বিধান করুন। কিন্তু আপনারা দেখেছেন পুলিশের পোশাক পরিবর্তন হয়েছে। অর্থাৎ কিছু জায়গায় আইনশৃঙ্খা বাহিনীকে গড়ে তোলা হচ্ছে। আমরা আশা করবো, পুরো পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করা হোক। আমরা তো র‍্যাবের কথা বিলুপ্তই বলেছিলাম। যদি তারা সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসতে পারে আমরা মনে করি, সুন্দর বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলা পাবো।

তিনি বলেন, আমাদের রাজপথে কর্মসূচি থাকবে। সরকার জনগণের কাছে আবেদন জানাতে পারে, যাতে সমাজে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তারা যাতে তা না করতে পারে। বিশৃঙ্খলাকারীরা কখনো ডাকাত হয়ে আসে, কখনো ককটেল সন্ত্রাস হয়ে আসে, কখনো তারা বাসে আগুন সন্ত্রাস হিসাবে আসে। আমরা জনগণ ঐক্যবদ্ধ আছি। ইনশাল্লাহ জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আর ফ্যাসিবাদী আচরণ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার রায় হচ্ছে, এটা বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে। বাংলাদেশে যে বিচার বিভাগ এখনো বিরাজমান আছে সেই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। আমরা ভারত সরকারকে আহ্বান জানাবো, বাংলাদেশে যে খুন করেছে, গুম করেছে, খুনি হাসিনাকে আপনারা দ্রুত ফেরত দিন। বাংলাদেশে আপনাদের সঙ্গে আমরা ন্যায্য সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক চাই। বাংলাদেশের কোনো খুনি আসামি, দাগি আসামিকে যদি আপনারা আশ্রয় দিয়ে রাখেন, এই আসামিকে ফেরত দেওয়া পর্যন্ত ন্যায্যতার সমতার ভিত্তি হতে পারে না। এজন্য আমরা ভারত সরকারকে আহ্বান জানাবো দ্রুত গতিতে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়া হোক।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভারত এজেন্ডা বাস্তবায়নে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বারবার হস্তক্ষেপ করে

আপডেট সময় : ০৯:৩২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

ভারত নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বারবার হস্তক্ষেপ করে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।  

তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতকে দেখেছি, যখনই নির্বাচন আসে, তখনই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীলতা এবং নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তারা বারবার হস্তক্ষেপ করে।’

রোববার (১৬ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারত মহাসাগরীয় আঞ্চলের পাঁচ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। সেই সফরকে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা জানেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ইন্ডিয়াতে সফর করছেন। সেই সফরটা কি জন্য? কেন করেছেন? আমরা সরকারকে আহ্বান জানাবো জাতির সামনে যেন এটা স্পষ্ট করা হয়। জনগণকে ব্যাখ্যা দেওয়া নৈতিক দায়িত্ব।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, এই সফর কি কোনো হস্তক্ষেপ নাকি বাংলাদেশকে নতুন একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য? সরকারকে এটা স্পষ্ট করতে হবে।

এনসিপির এই নেতা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হলো জননিরাপত্তা বিধান করা। আমরা আমাদের রাজনৈতিক যে অবস্থান রয়েছে, কর্মসূচি রয়েছে সেটা পালন করবো। কিন্তু আমাদের কাজ নিরাপত্তা বিধান করা না। এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে করতে হবে। এই সরকার যদি নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশনটা কিভাবে হবে? সেজন্য আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো, নিরাপত্তা বিধান করুন। কিন্তু আপনারা দেখেছেন পুলিশের পোশাক পরিবর্তন হয়েছে। অর্থাৎ কিছু জায়গায় আইনশৃঙ্খা বাহিনীকে গড়ে তোলা হচ্ছে। আমরা আশা করবো, পুরো পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করা হোক। আমরা তো র‍্যাবের কথা বিলুপ্তই বলেছিলাম। যদি তারা সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসতে পারে আমরা মনে করি, সুন্দর বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলা পাবো।

তিনি বলেন, আমাদের রাজপথে কর্মসূচি থাকবে। সরকার জনগণের কাছে আবেদন জানাতে পারে, যাতে সমাজে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তারা যাতে তা না করতে পারে। বিশৃঙ্খলাকারীরা কখনো ডাকাত হয়ে আসে, কখনো ককটেল সন্ত্রাস হয়ে আসে, কখনো তারা বাসে আগুন সন্ত্রাস হিসাবে আসে। আমরা জনগণ ঐক্যবদ্ধ আছি। ইনশাল্লাহ জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আর ফ্যাসিবাদী আচরণ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার রায় হচ্ছে, এটা বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে। বাংলাদেশে যে বিচার বিভাগ এখনো বিরাজমান আছে সেই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। আমরা ভারত সরকারকে আহ্বান জানাবো, বাংলাদেশে যে খুন করেছে, গুম করেছে, খুনি হাসিনাকে আপনারা দ্রুত ফেরত দিন। বাংলাদেশে আপনাদের সঙ্গে আমরা ন্যায্য সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক চাই। বাংলাদেশের কোনো খুনি আসামি, দাগি আসামিকে যদি আপনারা আশ্রয় দিয়ে রাখেন, এই আসামিকে ফেরত দেওয়া পর্যন্ত ন্যায্যতার সমতার ভিত্তি হতে পারে না। এজন্য আমরা ভারত সরকারকে আহ্বান জানাবো দ্রুত গতিতে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়া হোক।