ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে আঞ্চলিক কর্মশালা25 ইরান-ইসরায়েল সংকটে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে পুতিন25 খামেনিকে হত্যা করলে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে হিজবুল্লাহ25 ভারি বর্ষণ-সমুদ্রের জোয়ারে বাঁশখালীর বেড়িবাঁধে ভাঙন25 ৩টি দিক থেকে ভাঙ্গায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন ইশরাক ইশরাক স্লোগান: নগর ভবনের ৫টি উত্তপ্ত বাস্তবতা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত: ইসরায়েলের ৩ গোপন সামরিক ঘাঁটিতে ধ্বংস জ্বালানি নিরাপত্তা ও বায়ু দূষণ কমাতে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন নিউইয়র্কে ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন রুনা খান25 যশোরে করোনায় আক্রান্ত আরেকজনের মৃত্যু25

মানুষের রুটি-রুজি-গণতন্ত্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধের মতো গণজাগরণ প্রয়োজন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:০৮:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার এবং বাকস্বাধীনতা রক্ষায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতো গণজাগরণ ঘটাতে হবে। মানুষের রুটি-রুজি-গণতন্ত্রের জন্য আজ প্রয়োজন গণজাগরণ।

শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনের সামনে সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্মেলন উদ্বোধনকালে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজ দেশ যেমন দুই ভাগে ভাগ হয়েছে, তেমনি ঢাকা শহরও দুই ভাগে ভাগ হয়ে রয়েছে। একদিকে রয়েছে ৯৯ শতাংশ মানুষ- যারা মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক, রিকশা শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষ। অন্যদিকে ১ শতাংশ বিত্তবান- যারা লুটেরা।

তিনি আরও বলেন, একাত্তরে যে ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিলেন, তারা ছিলেন কারখানার শ্রমিক, গ্রামের কৃষক, ক্ষেতমজুর, ছাত্র-যুবক, মেহনতি মানুষ এবং অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধারা। অথচ অল্প কিছু মানুষ আজ ধনী হয়েছে, লুটপাট করছে। তারা দেশের মানুষকে বিভিন্ন কায়দায় নির্যাতন করছে। মুক্তিযুদ্ধের পর ‘কেউ খাবে তো, কেউ খাবে না’- এ স্লোগানকে জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে। ১৯৭১ সালে গণমানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তির জন্য মুক্তিযুদ্ধ ন্যায়সংগত হয়ে থাকলে আজ ৯৯ শতাংশ মানুষের মুক্তির সংগ্রাম করাও যুক্তিসংগত।

এর আগে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্মেলন উদ্বোধন করেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। এ সময় সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান হীরা দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দনের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, জলি তালুকদার প্রমুখ। উদ্বোধনী সমাবেশ শেষে মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশন হয়।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মানুষের রুটি-রুজি-গণতন্ত্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধের মতো গণজাগরণ প্রয়োজন

আপডেট সময় : ০৬:০৮:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জানুয়ারি ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার এবং বাকস্বাধীনতা রক্ষায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতো গণজাগরণ ঘটাতে হবে। মানুষের রুটি-রুজি-গণতন্ত্রের জন্য আজ প্রয়োজন গণজাগরণ।

শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনের সামনে সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্মেলন উদ্বোধনকালে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজ দেশ যেমন দুই ভাগে ভাগ হয়েছে, তেমনি ঢাকা শহরও দুই ভাগে ভাগ হয়ে রয়েছে। একদিকে রয়েছে ৯৯ শতাংশ মানুষ- যারা মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক, রিকশা শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষ। অন্যদিকে ১ শতাংশ বিত্তবান- যারা লুটেরা।

তিনি আরও বলেন, একাত্তরে যে ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিলেন, তারা ছিলেন কারখানার শ্রমিক, গ্রামের কৃষক, ক্ষেতমজুর, ছাত্র-যুবক, মেহনতি মানুষ এবং অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধারা। অথচ অল্প কিছু মানুষ আজ ধনী হয়েছে, লুটপাট করছে। তারা দেশের মানুষকে বিভিন্ন কায়দায় নির্যাতন করছে। মুক্তিযুদ্ধের পর ‘কেউ খাবে তো, কেউ খাবে না’- এ স্লোগানকে জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে। ১৯৭১ সালে গণমানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তির জন্য মুক্তিযুদ্ধ ন্যায়সংগত হয়ে থাকলে আজ ৯৯ শতাংশ মানুষের মুক্তির সংগ্রাম করাও যুক্তিসংগত।

এর আগে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্মেলন উদ্বোধন করেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। এ সময় সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান হীরা দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দনের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, জলি তালুকদার প্রমুখ। উদ্বোধনী সমাবেশ শেষে মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশন হয়।