ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ25 ইন্টারনেটে ছড়ানো হচ্ছে আপত্তিকর কনটেন্ট, টার্গেট নারী রাজনীতিবিদরা সিএসএস প্রতিষ্ঠাতা রেভা. পলমুন্সী স্মরণে ভেড়ামারাতে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত অস্ত্রোপচার করাবেন বেলিংহ্যাম – মাঠের বাইরে যাচ্ছেন কতদিন? যমুনায় বাড়ছে পানি, তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চল ও ফসলি জমি মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু ইরাকের ৩ সামরিক ঘাঁটি ও বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে হামলা25 দুর্নীতির পাহারাদার সামাদ-রিপন সাংবাদিক পরিচয়ে অপকর্মের অভিযোগ  কুমারখালীতে স্কাউটস কাব কার্নিভাল অনুষ্ঠিত

মির্জা ফখরুলের প্রশ্ন: রোজিনা ইসলামের পক্ষে সাংবাদিকদের ঐক্য কতক্ষণ টিকবে?

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১ ১৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের পক্ষে সাংবাদিকদের ঐক্য কতক্ষণ টিকবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার বিএনপির উদ্যোগে ‘অবরুদ্ধ গণতন্ত্র, শৃঙ্খলিত গণমাধ্যম, মুক্তি পথ কী?’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ শঙ্কা প্রকাশ করেন।

রোজিনা ইসলামের পক্ষে সব সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন শুনলাম উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি- এই ঐক্য কতক্ষণ টিকবে? কারণ সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের পর দুই পক্ষই তারা একসাথে রাস্তায় নেমেছিলেন। চার-পাঁচ দিনও যায়নি। আপনাদের মধ্যে একজন সাংবাদিক সরকারের উপদেষ্টা হয়ে গেছেন, আর কয়েকজনকে হালুয়া-রুটি দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার এই কথাগুলোর জন্য দুঃখিত।’

তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা হালুয়া-রুটির সন্ধানে থাকবো, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ফেভারের সন্ধানে থাকবো, ততক্ষণ পর্যন্ত যেসব সাংবাদিক নিজের জীবন বিপন্ন করে সত্য তথ্যগুলো তুলে ধরে তাদেরকে রক্ষা করতে পারবো না, এটাই বাস্তবতা।’

সরকার এখন কাজী জেবুন্নেসার মতো আমলা অথবা পুলিশ-র‌্যাব, এই ধরনের সম্প্রদায়কে নিয়ে তাদের টিকে থাকতে হচ্ছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘এটা একদিকে যেমন লজ্জার, ধিক্কার, আরেকদিকে তেমনি ভীতিরও।’

রোজিনা ইসলামের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের যে চেহারা, সেটারই একটা অংশ ‘সি ইজ নট অনলি দ্যা ভিকটিম’। এটা ধারাবাহিকভাবে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক সাংবাদিকের উপর নির্যাতন নেমে এসেছে। সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের দেশ চলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হয়েছে।’

এসময় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের অনুসন্ধানী ও সাহসী সাংবাদিকতার জন্য তাকে সাধুবাদ জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে বাহবা জানাই, শ্রদ্ধা করি। কারণ অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে সত্য প্রচার করাই তার উপর যে নির্যাতন হয়েছে- এর মধ্যেও তিনি নতি স্বীকার করেননি। তিনি বলেছেন, আমার প্রতি অন্যায় হয়েছে।’

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

এছাড়া সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।

সাংবাদিকদের মধ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সা্বেক সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, বর্তমান সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট এলিনা খান এই ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মির্জা ফখরুলের প্রশ্ন: রোজিনা ইসলামের পক্ষে সাংবাদিকদের ঐক্য কতক্ষণ টিকবে?

আপডেট সময় : ০৩:৪৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের পক্ষে সাংবাদিকদের ঐক্য কতক্ষণ টিকবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার বিএনপির উদ্যোগে ‘অবরুদ্ধ গণতন্ত্র, শৃঙ্খলিত গণমাধ্যম, মুক্তি পথ কী?’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ শঙ্কা প্রকাশ করেন।

রোজিনা ইসলামের পক্ষে সব সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন শুনলাম উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি- এই ঐক্য কতক্ষণ টিকবে? কারণ সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের পর দুই পক্ষই তারা একসাথে রাস্তায় নেমেছিলেন। চার-পাঁচ দিনও যায়নি। আপনাদের মধ্যে একজন সাংবাদিক সরকারের উপদেষ্টা হয়ে গেছেন, আর কয়েকজনকে হালুয়া-রুটি দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার এই কথাগুলোর জন্য দুঃখিত।’

তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা হালুয়া-রুটির সন্ধানে থাকবো, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ফেভারের সন্ধানে থাকবো, ততক্ষণ পর্যন্ত যেসব সাংবাদিক নিজের জীবন বিপন্ন করে সত্য তথ্যগুলো তুলে ধরে তাদেরকে রক্ষা করতে পারবো না, এটাই বাস্তবতা।’

সরকার এখন কাজী জেবুন্নেসার মতো আমলা অথবা পুলিশ-র‌্যাব, এই ধরনের সম্প্রদায়কে নিয়ে তাদের টিকে থাকতে হচ্ছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘এটা একদিকে যেমন লজ্জার, ধিক্কার, আরেকদিকে তেমনি ভীতিরও।’

রোজিনা ইসলামের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের যে চেহারা, সেটারই একটা অংশ ‘সি ইজ নট অনলি দ্যা ভিকটিম’। এটা ধারাবাহিকভাবে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক সাংবাদিকের উপর নির্যাতন নেমে এসেছে। সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের দেশ চলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হয়েছে।’

এসময় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের অনুসন্ধানী ও সাহসী সাংবাদিকতার জন্য তাকে সাধুবাদ জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে বাহবা জানাই, শ্রদ্ধা করি। কারণ অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে সত্য প্রচার করাই তার উপর যে নির্যাতন হয়েছে- এর মধ্যেও তিনি নতি স্বীকার করেননি। তিনি বলেছেন, আমার প্রতি অন্যায় হয়েছে।’

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

এছাড়া সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।

সাংবাদিকদের মধ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সা্বেক সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, বর্তমান সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট এলিনা খান এই ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন।