জীবনযাপন ডেস্ক: আধুনিক জীবনযাপন ও অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের ফলে আমার স্বাস্থ্য দিন দিন খারাপ দিকে যাচ্ছে। এর ফলে পেটে মেদ, ওজন বাড়াসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। আজকের প্রতিবেদনে জানবেন অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের ফলে হওয়া মেদ কমানোর কিছু উপায় সম্পর্কে। কিভাবে কমাবেন পেটের মেদ, চলুন জেনে নেওয়া যাক—
বেশি পানি পান
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইনের মতে, প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করলে পেটের মেদ কমতে সাহায্য করে।
খাওয়ার আগে পানি খেলে ক্ষুধা কমে যায়, ফলে ক্যালরি ইনটেকও কম হয়। দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা ভালো।
সুষম ও হালকা খাবার
পেটের মেদ কমাতে হলে ডায়েটে তাজা ফল, সবজি, প্রোটিন ও ভালো ফ্যাট রাখুন। প্রক্রিয়াজাত ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
ফাইবারযুক্ত খাবার যেমন ওটস, কুইনোয়া ও সবজি খেলে পেট ভরা থাকে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে।
নিয়মিত ব্যায়াম
পেটের মেদ কমাতে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হলো ব্যায়াম। প্রতিদিন ৩০-৪৫ মিনিট পেটের ব্যায়াম—যেমন ক্রাঞ্চেস, প্ল্যাঙ্কস, লেগ রেইজ করলে মেদ গলে যায়। এর ফলে মেটাবলিজম বাড়ে ও মাংসপেশি শক্তিশালী হয়।
সবুজ শাক-সবজি
পালং, মেথি, সরিষা ও বথুয়ার মতো হালকা শাক-সবজি ফাইবার ও মিনারেলসমৃদ্ধ, যা হজম ভালো রাখে এবং শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে দেয় না। এগুলো পেটের চর্বি কমাতে বিশেষ উপযোগী।
পর্যাপ্ত ঘুম ও স্ট্রেস কমানো
রাতে ভালো ঘুম না হলে শরীরে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা পেটে চর্বি জমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো আবশ্যক। স্ট্রেস ও উদ্বেগ পেটের মেদ বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে।
চিকিৎসক ও ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের মতে, পেটের চর্বি শুধু চেহারারই নয়, স্বাস্থ্যঝুঁকিরও প্রতীক। দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় ছোট ছোট পরিবর্তন আনলেই মেদ কমতে শুরু করে। পানি পান, ঘুম, স্ট্রেস কন্ট্রোল আর নিয়মিত ব্যায়াম—এই চারটি অভ্যাস সবচেয়ে বেশি কার্যকর।