শীতের রাতে চেকপোস্টে পুলিশকে সজাগ থাকার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি চুরি-ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা বেড়ে গেছে। রাতে পুলিশের টহল ও চেকপোস্ট থাকার পরও এ ধরনের অপরাধ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে থানা পুলিশকে নিজ নিজ এলাকায় রাতে টহল জোরদার এবং চেকপোস্টগুলোতে সক্রিয় দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মাসিক ক্রাইম কনফারেন্স (অপরাধ পর্যালোচনা সভা) থেকে রাজধানীর ৫০ থানাকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রোববার সকালে রাজারবাগে পুলিশ অডিটরিয়ামে এ কনফারেন্স হয়। এতে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

ডিএমপির বিভিন্ন ক্রাইম জোন, গোয়েন্দা বিভাগ, ৫০ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা এ কনফারেন্সে অংশ নেন। সেখানে গত ডিসেম্বর মাসে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ পর্যালোচনা করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ ঠেকাতে নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীতে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি ব্যবহার করে ছিনতাই ও ডাকাতি ঘটছে। এ ছাড়া যাত্রীবাহী বাসে তুলেও লোকজনের সব ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা আলোচনা হয়। এসব অপরাধ সংঘটনের কারণ বিশ্লেষণে বেরিয়ে আসে শীতের রাতে বিভিন্ন এলাকায় টহল দল কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে। চেকপোস্টগুলোতে দায়িত্বরত সদস্যরাও সর্তক থাকেন না। এ সুযোগ নিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ঘটনাগুলো ঘটছে। তা ছাড়া বাসাবাড়ি ও অফিসে চুরির ঘটনাও ঘটছে। তা বন্ধ করতে নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার। যাতে রাত ১২টার পর থেকে টহল দল ও চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের সদস্যরা সর্তক থাকেন, সেই নির্দেশনাও দেন তিনি।

অপরাধ পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের পুরস্কার নিচ্ছেন ডিসি মশিউর রহমান। ছবি: সমকাল

ঢাকা মহানগর পুলিশের অপর এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত যে এলাকাতে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি হবে-সেই এলাকার সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডিসি ও সংশ্লিষ্ট থানার ওসিরা এসব অপরাধের জন্য দায়ী থাকবেন। তাদের জবাবদিহি করতে হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়। চুরি ঠেকাতে তালিকাভুক্ত চোর চক্রের অবস্থান শনাক্ত করতে গোয়েন্দা বিভাগকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ক্রাইম কনফারেন্সে ঢাকা মহানগরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধান এবং ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার। গত ডিসেম্বরের কাজের মূল্যায়নে শ্রেষ্ঠ ক্রাইম বিভাগের পুরস্কার পেয়েছে মিরপুর বিভাগ ও শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে পল্লবী থানা। গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) মধ্যে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ ও গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। এ ছাড়া গত ডিসেম্বরে ভালো কাজের জন্য ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পিআর বিভাগসহ ১১টি বিভিন্ন বিভাগ ও বিভিন্ন মর্যাদার ১০৮ জন কর্মকর্তা ও ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার তুলে দেন কমিশনার।

অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামানসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title