ঢাকা ০২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সারাবিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মতো ঈদ উদযাপন করছেন কারাবন্দিরাও

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৫:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ আগস্ট ২০২০ ১০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাবিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মতো ঈদ উদযাপন করছেন কারাবন্দিরাও। প্রতি বছরের মতো এবারও কারাবন্দিদের জন্য নানা আয়োজন করেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও।

কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে জেলার মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, ঈদের দিন কারাবন্দিদের বিশেষ খাবার দেওয়া হবে। এবার খাবারের সঙ্গে সালাত, পানীয় জাতীয় খাবার এমনকি পানও রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রায় ১০ হাজারের মতো বন্দি আছে। বন্দিরা যার যার ভবনের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঈদ জামাত আদায় করেছেন। করোনা মহামারীতে কারাগারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছুই করা হচ্ছে। সকালে পায়েস ও মুড়ি দেয়া হয়েছে বন্দিদের। দুপুর বেলায় বন্দিদের জন্য থাকবে সাদা ভাত, আলুর দম ও রুই মাছ। রাতে থাকবে পোলাও, মুরগী, গরুর মাংস, মিষ্টি ও সর্বশেষ পান সুপারি। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে বন্দিদের ৩০০ গ্রাম করে মাংস দেয়া হবে। প্রতি সপ্তাহে বন্দিদের যে মাংস দেয়া হয় সেটা থেকে ঈদ উপলক্ষে তার পরিমাণ দ্বিগুণ।

মাহাবুবুল ইসলাম আরও জানান, ঈদুল ফিতরের মতো এবারও স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ আছে। তবে আগের নিয়মেই বন্দিরা তাদের স্বজনদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে পারবে।

কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শুধু ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার নয়, সারা দেশের ৬৮টি কারাগারে একই ধরনের খাবার খাবেন বন্দিরা। শুধুমাত্র ঈদের দিন তারা এ খাবার পাবেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সারাবিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মতো ঈদ উদযাপন করছেন কারাবন্দিরাও

আপডেট সময় : ০৮:৫৫:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ আগস্ট ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাবিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মতো ঈদ উদযাপন করছেন কারাবন্দিরাও। প্রতি বছরের মতো এবারও কারাবন্দিদের জন্য নানা আয়োজন করেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও।

কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে জেলার মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, ঈদের দিন কারাবন্দিদের বিশেষ খাবার দেওয়া হবে। এবার খাবারের সঙ্গে সালাত, পানীয় জাতীয় খাবার এমনকি পানও রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রায় ১০ হাজারের মতো বন্দি আছে। বন্দিরা যার যার ভবনের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঈদ জামাত আদায় করেছেন। করোনা মহামারীতে কারাগারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছুই করা হচ্ছে। সকালে পায়েস ও মুড়ি দেয়া হয়েছে বন্দিদের। দুপুর বেলায় বন্দিদের জন্য থাকবে সাদা ভাত, আলুর দম ও রুই মাছ। রাতে থাকবে পোলাও, মুরগী, গরুর মাংস, মিষ্টি ও সর্বশেষ পান সুপারি। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে বন্দিদের ৩০০ গ্রাম করে মাংস দেয়া হবে। প্রতি সপ্তাহে বন্দিদের যে মাংস দেয়া হয় সেটা থেকে ঈদ উপলক্ষে তার পরিমাণ দ্বিগুণ।

মাহাবুবুল ইসলাম আরও জানান, ঈদুল ফিতরের মতো এবারও স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ আছে। তবে আগের নিয়মেই বন্দিরা তাদের স্বজনদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে পারবে।

কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শুধু ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার নয়, সারা দেশের ৬৮টি কারাগারে একই ধরনের খাবার খাবেন বন্দিরা। শুধুমাত্র ঈদের দিন তারা এ খাবার পাবেন।