ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জয়পুরহাটে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে, দুই বিষয়ে ফেল আমার স্বামীকে কেন এমন নির্মমভাবে মেরে ফেলল, প্রশ্ন নিহত সোহাগের স্ত্রীর সাকিবের জন্য দরজা খোলা বলছে বিসিবি বিক্ষোভে উত্তাল রংপুর, খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান এর পর নতুন খেলায় লেদা জমি জিপ গোপন তহবিল পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আজকের আবহাওয়া: বিকেলে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা, গরম থাকবে দিনভর নাহিদ ইসলাম খুলনা: এনসিপির সভায় চাঁদাবাজ-সন্ত্রাস বিরোধী বার্তা লিড নিয়েও জাপানকে হারাতে পারল না বাংলাদেশ তিস্তায় পানি বাড়ছে, কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা

সারা দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

সারা দেশের এক হাজার ১৫টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে এই কর্মসূচি।

গতকাল শনিবার বা আজ যাঁদের মোবাইল ফোন নম্বরে টিকা নেওয়ার এসএমএস গেছে বা যাবে, তাঁরাই শুধু আজ টিকা নিতে পারছেন। মূলত স্বাস্থ্যকর্মীরাই বেশি টিকা নিচ্ছেন। সেই সঙ্গে কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি, তালিকাভুক্ত মনোনীত সম্মুখ সারির ব্যক্তি ও ৫৫ বছরের বেশি বয়সের কিছুসংখ্যক ব্যক্তি টিকা পাচ্ছেন।

জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় চার লাখ মানুষ টিকা দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৩৫ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম জানান, টিকা দেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোথাও যতটুকু ঘাটতি আছে, তাও প্রস্তুত হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকা ছাড়াও বিভিন্ন জেলা ও উপেজলায় কয়েকজন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা টিকা নেবেন এবং টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

গত ২০ জানুয়ারি দেশে প্রথম ২০ লাখ ডোজ টিকা আসে, যা ভারত সরকার বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে। পরে ২৫ জানুয়ারি সরকারের কেনা টিকা থেকে প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসে। সরকারের হাতে আছে প্রায় ৭০ লাখ টিকা। কোভিশিল্ড নামের এই টিকা অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা যৌথভাবে উদ্ভাবন করেছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এই টিকা উৎপাদন করছে। তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি করেছে। দেশে প্রথম টিকা দেওয়া হয় ২৭ জানুয়ারি, উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী দিনে টিকা নেন ২৬ জন। দেশে প্রথম টিকা নেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। পরদিন রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ পাঁচ শতাধিক কর্মীকে টিকা দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ সারা দেশে যেসব কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে, এর সবগুলোই সরকারি, আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এসব প্রতিষ্ঠানে মোট বুথ বা দল থাকছে এক হাজার ৪০২টি। অর্থাৎ একেকটি টিকাদানকারী দল একটি বুথ হিসেবে কাজ করছে। প্রতি বুথে থাকছেন দুজন টিকাদানকর্মী ও দুজন স্বেচ্ছাসেবক। টিকাদানকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন নার্স, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও উপসহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বা সেকমো। আর স্বেচ্ছসেবকের দায়িত্বে রয়েছেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ আরো কিছু সংগঠনের কর্মীরা। টিকাদানকেন্দ্রের নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সারা দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু

আপডেট সময় : ০৬:১৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

সারা দেশের এক হাজার ১৫টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে এই কর্মসূচি।

গতকাল শনিবার বা আজ যাঁদের মোবাইল ফোন নম্বরে টিকা নেওয়ার এসএমএস গেছে বা যাবে, তাঁরাই শুধু আজ টিকা নিতে পারছেন। মূলত স্বাস্থ্যকর্মীরাই বেশি টিকা নিচ্ছেন। সেই সঙ্গে কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি, তালিকাভুক্ত মনোনীত সম্মুখ সারির ব্যক্তি ও ৫৫ বছরের বেশি বয়সের কিছুসংখ্যক ব্যক্তি টিকা পাচ্ছেন।

জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় চার লাখ মানুষ টিকা দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৩৫ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম জানান, টিকা দেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোথাও যতটুকু ঘাটতি আছে, তাও প্রস্তুত হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকা ছাড়াও বিভিন্ন জেলা ও উপেজলায় কয়েকজন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা টিকা নেবেন এবং টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

গত ২০ জানুয়ারি দেশে প্রথম ২০ লাখ ডোজ টিকা আসে, যা ভারত সরকার বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে। পরে ২৫ জানুয়ারি সরকারের কেনা টিকা থেকে প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসে। সরকারের হাতে আছে প্রায় ৭০ লাখ টিকা। কোভিশিল্ড নামের এই টিকা অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা যৌথভাবে উদ্ভাবন করেছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এই টিকা উৎপাদন করছে। তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি করেছে। দেশে প্রথম টিকা দেওয়া হয় ২৭ জানুয়ারি, উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী দিনে টিকা নেন ২৬ জন। দেশে প্রথম টিকা নেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। পরদিন রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ পাঁচ শতাধিক কর্মীকে টিকা দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ সারা দেশে যেসব কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে, এর সবগুলোই সরকারি, আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এসব প্রতিষ্ঠানে মোট বুথ বা দল থাকছে এক হাজার ৪০২টি। অর্থাৎ একেকটি টিকাদানকারী দল একটি বুথ হিসেবে কাজ করছে। প্রতি বুথে থাকছেন দুজন টিকাদানকর্মী ও দুজন স্বেচ্ছাসেবক। টিকাদানকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন নার্স, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও উপসহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বা সেকমো। আর স্বেচ্ছসেবকের দায়িত্বে রয়েছেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ আরো কিছু সংগঠনের কর্মীরা। টিকাদানকেন্দ্রের নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।