সেতুমন্ত্রীর প্রশ্নঃ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দেবে কেন?
- আপডেট সময় : ০৭:২৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২০
- / 59
নিজস্ব প্রতিবেদক : নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলায় গণপরিবহনে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দেবে কেন- এমন প্রশ্ন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের রাজশাহী সড়ক জোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ প্রশ্ন তুলেন তিনি।
রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে যুক্ত হন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সেতুমন্ত্রী বলেন, গণপরিবহনে আসন খালি না রাখা হলে এবং করোনা মোকাবেলা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দেবে কেনো? এ জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গণপরিবহনের মালিক শ্রমিক ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে কিছু সুপারিশ তৈরি করেছে। সেগুলো সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় হয়ে মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে। তারপর সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে গণপরিবহনের বর্ধিত ভাড়া বাতিল করা হবে নাকি বহাল থাকবে।
তিনি আরো বলেন, গণপরিবহনগুলোকে কীভাবে এবং কোন শর্তে আগের ভাড়ায় ফিরে যেতে হবে বা বর্ধিত ভাড়া বহাল থাকলে সেজন্য কী কী মানতে হবে- এসব বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে। মন্ত্রিপরিষদে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, বর্তমানে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছেও না, কমছেও না। এটি একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে আছে। বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো অবস্থানে আছে। তবে তাই বলে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, স্পেন, নিউজিল্যান্ডসহ ইউরোপের অনেক দেশে দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশেও যেকোনো সময় পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। তাই করোনা পরিস্থিতি ভালো মনে করে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা প্রদর্শনের কোনো সুযোগ নেই। এতে বিপর্যয় বাড়তে পারে। কাউকে যদি জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে হয়, তাহলে অবশ্যই মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নেমে চলতে হবে। আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।





















