নরসিংদীর মাধবদী মহিষাশুরায় মাজারের নামে মাদক ও দেহ ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর মাধবদীর মনিষাশুরা ইউনিয়নের বালুচরগ্রামে জমির আলী দরবার শরীফ ও ওরছ মাহফিলের নামে এলাকায় মাদক ও দেহ ব্যবসা করার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এলাকায় মাজারের ওরছ মাহফিলের অন্তরালে রুপচাঁন, আল-আমিন, ইদ্দিছ আলী, আনোয়ার ও ইয়াছিন এলাকায় মাদক ব্যবসা করে এবং হালিমা, ফাহিমা, আছিয়া ও আবু শুফিয়ান দীর্ঘদিন যাবত দেহ ব্যবসা করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এব্যাপারে নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, র‌্যাব-১১ এর নরসিংদী ক্যাম্প সিপিসি কোম্পানী অধিনায়ক, মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ ও মহিষাশুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করে এলাকাবাসী।

অভিযোগে এলাকাবাসীরা উল্লেখ করেন, মৃত জমির আলীর ছেলে রুপচাঁন, রুপচাঁনের ছেলে আল-আমিন, মৃত হযরত আলীর ছেলে ইদ্দিছ আলী, মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার ও আনোয়ারের ছেলে ইয়াছিন এলাকায় মাদক ব্যবসা করে। আর রুপচাঁনের মেয়ে হালিমা, ফাহিমা, আছিয়া ও আবু শুফিয়ান এলাকায় দেহ ব্যবসা করে। তাদের দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপে সমাজের সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। অনেক চেষ্টা করেও তাদের ব্যাপোরোয়া আচরন, মাদক ও দেহ ব্যবসা থেকে বিরত করা যায়নি। বর্তমানে এলাকার সকল পরিবারের সন্তানরা মাদকের দিকে ঝুকে পড়ছে। এমনকি যুবকদেরকে নারী লালশার মাধ্যমে ধ্বংস করে ফেলছে।

এলাকাবাসী আরো বলেন, উল্লেখিতরা স্থানীয় সন্ত্রাসী ও প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় এলাকায় ইয়াবা, মদ, গাঁজা, ফেন্সিডিল ও জমজমাট দেহ ব্যবসা করে আসছে। পূর্বে আমাদের গ্রামে কোন মাদকাশক্ত বা বিক্রেতা আমাদের জানামতে ছিলো না। উল্লেখিত লোকজনদের বাড়িতে যেকোন সময় এলাকার লোকজন ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য অবাধে ক্রয় করতে পারছে। এবং অত্র এলাকার ছেলেরা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মটরসাইকেল বা অটোরিক্সা যোগে অপরিচিত লোকজন রাত ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত আনা গোনা দেখা যায়। উল্লেখিতদের মধ্যে কয়েকজনকে ইতিপূর্বে পুলিশ গ্রেফতার করলেও কেউ কয়েকদিন কারাভোগের পর ছাড়া পেয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার কাউকে গ্রেফতারের পর দিনই দেখতে পাই এলাকায় ঘুড়াঘুড়ি করছে। এমনকি তারা একদলভুক্ত হয়ে সাধারণ মানুষদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাশের রাজত্ত্ব কায়েম করছে।

এলাকাবাসী বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে হালিমা, ফাহিমা, আছিয়া ও আবু শুফিয়ান নিজের শরীরের কাপড় ছিড়ে নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা ও পুলিশী হয়রানি করে জব্দ করে রাখছে। উক্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নিকট নালিশ করলে বিবাদীরা কাউকে মানে না এবং ব্যাপোরোয়া হওয়ায় কেউ তাদের বিচার করতে পারে না। বর্তমান সামজের সাধারণ মানুষ বিবাদীগনের অত্যাচারে আতংক বিরাজ করছে। এহেন অবস্থায় উর্দ্ধতন কর্মকর্তার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানায় এলাকাবাসী।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title