দেশ থেকে অর্থপাচারের ঘটনা গুরুতর অপরাধ: আপিল বিভাগ

- আপডেট সময় : ১২:২১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭ বার পড়া হয়েছে

(180315) -- DHAKA, March 15, 2018 (Xinhua) -- The Bangladeshi national flag is seen flown at half-mast outside the High Court building in Dhaka on March 15, 2018. With all the national flags at government offices and foreign missions down at half-mast, Bangladesh is mourning on Thursday the victims of the US-Bangla Airlines plane that crashed in Nepal. (Xinhua/Salim reza) (swt)
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশ থেকে অর্থপাচারের ঘটনাকে গুরুতর অপরাধ (সিরিয়াস অফেন্স) বলে মন্তব্য করে এ সংক্রান্ত রায় প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার রাজধানীর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকারের পৃথক চার মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বাতিল করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চের সইয়ের পর রায়টি প্রকাশিত হয়েছে। এই রায়ে অর্থপাচারকে গুরুতর অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগ।
একইসঙ্গে আপিল বিভাগের রায়ে জয় গোপাল সরকারের বিরুদ্ধে থাকা অর্থপাচার মামলার বিচার আগামী এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৯ আগস্ট গোপাল সরকারকে চার মামলায় জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের আদেশ ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শেষে রায় দেন আপিল বিভাগ।
প্রসঙ্গত, জয় গোপাল সরকার চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর প্রথমে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে তিনি ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হন।
২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এরপর গেন্ডারিয়া থানায় মানি লন্ডারিং আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
পরে আদালতে দেওয়া এনু ও রুপনের ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জয় গোপালের নাম উঠে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ১৩ জুলাই লালবাগ থেকে জয় গোপালকে গ্রেফতার করে সিআইডি। পরদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।