ঢাকা ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

টানা বৃষ্টিতে পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় জনজীবন বিপর্যস্ত25

টানা বৃষ্টিতে পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় জনজীবন বিপর্যস্ত25

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫ ৪২ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে চলমান বৈরী আবহাওয়া ও টানা বৃষ্টিপাতে জনজীবনে চরম বিপর্যায় নেমে এসেছে। নদ-নদী, খাল-বিল উপচে পড়া পানিতে থৈ থৈ করছে চারপাশ। দিনমজুর, রিকশাচালকসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম সংকটে।

জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হলেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত কাজ। অনেকেই দিনভর বসে থেকেও উপার্জনশূন্য অবস্থায় বাড়ি ফিরছেন। অটোরিকশাচালক জহিরুল বলেন, “একটানা তিন-চার দিন ধরে বৃষ্টির কারণে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। সারাদিন বসে থাকি, দু-একজন যাত্রী পেলেও ভাড়া দিতে চায় না। ঘরে মা, স্ত্রী, ভাইবোন নিয়ে খুব কষ্টে আছি।”

গলাচিপা উপজেলার শহরগুলোতে দোকানপাট খোলা থাকলেও কেনাবেচা একেবারেই নেই বললেই চলে। বাজারের এক পুরোনো চায়ের দোকানদার মিন্টু জানান, “চায়ের কাপে প্রতিদিন টুনটুন শব্দ থাকলেও এখন চুলা জ্বলে কিন্তু বেচাকেনা নেই বললেই চলে।”

বর্ষাকালীন সবজির উৎপাদন থাকলেও ক্রেতা না থাকায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। উপজেলা সরকারি হাসপাতালে কিছু রোগীর চাপ থাকলেও, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে রোগী প্রায় নেই বললেই চলে।

সরকারি দপ্তরগুলোতে সীমিত আকারে স্বাভাবিক কার্যক্রম চললেও বেশিরভাগ বেসরকারি অফিস বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ঈদুল আজহার সরকারি ছুটির কারণে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসমূহ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা আপাতত এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেয়েছে।

পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গলাচিপা উপজেলায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী আরও দু’একদিন থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

টানা বৃষ্টিতে পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় জনজীবন বিপর্যস্ত25

টানা বৃষ্টিতে পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় জনজীবন বিপর্যস্ত25

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে চলমান বৈরী আবহাওয়া ও টানা বৃষ্টিপাতে জনজীবনে চরম বিপর্যায় নেমে এসেছে। নদ-নদী, খাল-বিল উপচে পড়া পানিতে থৈ থৈ করছে চারপাশ। দিনমজুর, রিকশাচালকসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম সংকটে।

জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হলেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত কাজ। অনেকেই দিনভর বসে থেকেও উপার্জনশূন্য অবস্থায় বাড়ি ফিরছেন। অটোরিকশাচালক জহিরুল বলেন, “একটানা তিন-চার দিন ধরে বৃষ্টির কারণে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। সারাদিন বসে থাকি, দু-একজন যাত্রী পেলেও ভাড়া দিতে চায় না। ঘরে মা, স্ত্রী, ভাইবোন নিয়ে খুব কষ্টে আছি।”

গলাচিপা উপজেলার শহরগুলোতে দোকানপাট খোলা থাকলেও কেনাবেচা একেবারেই নেই বললেই চলে। বাজারের এক পুরোনো চায়ের দোকানদার মিন্টু জানান, “চায়ের কাপে প্রতিদিন টুনটুন শব্দ থাকলেও এখন চুলা জ্বলে কিন্তু বেচাকেনা নেই বললেই চলে।”

বর্ষাকালীন সবজির উৎপাদন থাকলেও ক্রেতা না থাকায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। উপজেলা সরকারি হাসপাতালে কিছু রোগীর চাপ থাকলেও, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে রোগী প্রায় নেই বললেই চলে।

সরকারি দপ্তরগুলোতে সীমিত আকারে স্বাভাবিক কার্যক্রম চললেও বেশিরভাগ বেসরকারি অফিস বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ঈদুল আজহার সরকারি ছুটির কারণে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসমূহ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা আপাতত এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেয়েছে।

পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গলাচিপা উপজেলায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী আরও দু’একদিন থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।