ঢাকা ১২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী লেখকদের বই পড়ানো নিষিদ্ধ করল তালিবান আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া টিভি নেটওয়ার্কের লাইসেন্স বাতিল হতে পারে ‘বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে, বুঝতে হবে’ পুরোনো দুর্গ ফিরে পেতে মরিয়া বিএনপি ছক্কার রেকর্ড তামিমের, এক বছরে এত ছয় মারেনি বাংলাদেশও জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, ২০ ফুট জায়গাজুড়ে গর্ত উত্তর সিটির প্রশাসক এজাজকে ঘুষের প্রস্তাব, কর্মকর্তা বরখাস্ত পাঁচ ব্যাংক চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে, বসছে প্রশাসক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া ওজোনস্তর রক্ষা সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা

আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া টিভি নেটওয়ার্কের লাইসেন্স বাতিল হতে পারে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 3

এবিসি উপস্থাপক জিমি কিমেলকে সাময়িক বরখাস্তের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যেসব টিভি নেটওয়ার্ক তার বিরুদ্ধে প্রচার চালায়, তাদের সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যেসব টিভি নেটওয়ার্ক তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তাদের সম্প্রচার লাইসেন্স হয়তো “কেড়ে নেওয়া” হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবিসি টকশো হোস্ট জিমি কিমেলকে সাময়িক বরখাস্ত করার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফসিসি–কে তিনি সমর্থনও জানান।

ডিজনির মালিকানাধীন এবিসি গত বুধবার রাতে ঘোষণা দেয়, কিমেলের অনুষ্ঠান ‘জিমি কিমেল লাইভ!’ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কারণ, কিমেল গত সপ্তাহে নিহত রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্ককে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন।

গত সোমবার নিজের অনুষ্ঠানে কিমেল দাবি করেন, হামলাকারী একজন ‘মাগা রিপাবলিকান’। তবে উটাহ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, অভিযুক্ত আসলে “বামপন্থি মতাদর্শে প্রভাবিত” ছিল। কিমেলের এই মন্তব্যের পর এফসিসি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেয়, আর তার পরই এবিসি অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফেরার পথে এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমি পড়েছি, প্রায় ৯৭ শতাংশ নেটওয়ার্ক আমার বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছে। তবু আমি জিতেছি, সবগুলো সুইং স্টেট জিতেছি। তারা আমাকে নিয়ে শুধু নেতিবাচক প্রচারণা চালায়। অথচ তারা লাইসেন্স পায়। হয়তো তাদের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া উচিত।”

এর আগে কিমেল বলেছিলেন, “মাগা গোষ্ঠী মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে হত্যাকারীকে অন্য কারও মতো দেখাতে। তারা বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে চাইছে”। তিনি আরও ব্যঙ্গ করে বলেন, ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া “যেন চার বছরের শিশু সোনালি মাছ মরার পর যেভাবে শোক করে।”

শুটিংয়ের পর কিমেল ইনস্টাগ্রামেও পোস্ট দিয়ে কার্ক পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

পরে এফসিসি চেয়ারম্যান ব্রেন্ডান কার বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজকে বলেন, কিমেলকে বরখাস্ত করা “শেষ পদক্ষেপ নয়”। তার ভাষায়, “আমরা সম্প্রচারকদের জবাবদিহিতার মধ্যে রাখব। যদি তারা না চায়, তবে লাইসেন্স আমাদের ফিরিয়ে দিতে পারে।”

এফসিসির কর্তৃত্ব মূলত বড় নেটওয়ার্ক যেমন এবিসি ও তাদের সহযোগী চ্যানেল পর্যন্ত সীমিত। কেবল টিভি চ্যানেল বা পডকাস্ট– স্ট্রিমিংয়ে তাদের ক্ষমতা নেই। আইনজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে লাইসেন্স বাতিলকে বৈধ করবে না।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় এবিসি সহযোগী সিনক্লেয়ার জানিয়েছে, শুক্রবার রাত কিমেলের সময়সূচিতে তারা চার্লি কার্ককে স্মরণ করে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া টিভি নেটওয়ার্কের লাইসেন্স বাতিল হতে পারে

আপডেট সময় : ১১:৪৭:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এবিসি উপস্থাপক জিমি কিমেলকে সাময়িক বরখাস্তের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যেসব টিভি নেটওয়ার্ক তার বিরুদ্ধে প্রচার চালায়, তাদের সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যেসব টিভি নেটওয়ার্ক তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তাদের সম্প্রচার লাইসেন্স হয়তো “কেড়ে নেওয়া” হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবিসি টকশো হোস্ট জিমি কিমেলকে সাময়িক বরখাস্ত করার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফসিসি–কে তিনি সমর্থনও জানান।

ডিজনির মালিকানাধীন এবিসি গত বুধবার রাতে ঘোষণা দেয়, কিমেলের অনুষ্ঠান ‘জিমি কিমেল লাইভ!’ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কারণ, কিমেল গত সপ্তাহে নিহত রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্ককে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন।

গত সোমবার নিজের অনুষ্ঠানে কিমেল দাবি করেন, হামলাকারী একজন ‘মাগা রিপাবলিকান’। তবে উটাহ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, অভিযুক্ত আসলে “বামপন্থি মতাদর্শে প্রভাবিত” ছিল। কিমেলের এই মন্তব্যের পর এফসিসি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেয়, আর তার পরই এবিসি অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফেরার পথে এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমি পড়েছি, প্রায় ৯৭ শতাংশ নেটওয়ার্ক আমার বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছে। তবু আমি জিতেছি, সবগুলো সুইং স্টেট জিতেছি। তারা আমাকে নিয়ে শুধু নেতিবাচক প্রচারণা চালায়। অথচ তারা লাইসেন্স পায়। হয়তো তাদের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া উচিত।”

এর আগে কিমেল বলেছিলেন, “মাগা গোষ্ঠী মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে হত্যাকারীকে অন্য কারও মতো দেখাতে। তারা বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে চাইছে”। তিনি আরও ব্যঙ্গ করে বলেন, ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া “যেন চার বছরের শিশু সোনালি মাছ মরার পর যেভাবে শোক করে।”

শুটিংয়ের পর কিমেল ইনস্টাগ্রামেও পোস্ট দিয়ে কার্ক পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

পরে এফসিসি চেয়ারম্যান ব্রেন্ডান কার বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজকে বলেন, কিমেলকে বরখাস্ত করা “শেষ পদক্ষেপ নয়”। তার ভাষায়, “আমরা সম্প্রচারকদের জবাবদিহিতার মধ্যে রাখব। যদি তারা না চায়, তবে লাইসেন্স আমাদের ফিরিয়ে দিতে পারে।”

এফসিসির কর্তৃত্ব মূলত বড় নেটওয়ার্ক যেমন এবিসি ও তাদের সহযোগী চ্যানেল পর্যন্ত সীমিত। কেবল টিভি চ্যানেল বা পডকাস্ট– স্ট্রিমিংয়ে তাদের ক্ষমতা নেই। আইনজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে লাইসেন্স বাতিলকে বৈধ করবে না।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় এবিসি সহযোগী সিনক্লেয়ার জানিয়েছে, শুক্রবার রাত কিমেলের সময়সূচিতে তারা চার্লি কার্ককে স্মরণ করে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।