ডিসিদের বাদ দিয়ে ইসি থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি বিএনপির
- আপডেট সময় : ১১:৪১:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
- / 10
অনলাইন ডেস্ক: ডিসিদের বাদ দিয়ে ইসি থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে ডিসিদের বাদ দিয়ে সরাসরি ইসি থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘রির্টানিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আপনাদের (ইসি) মধ্যে থেকে দেন।’
বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এই সংলাপ শুরু হয়। সংলাপে অংশ নেওয়া বাকি দলগুলো হলো বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ মার্কসবাদী (নতুন দল)।
মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রান্তিকাল পার করছে। এই সময় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নিয়মকানুন মেনে নির্বাচন করবো। নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলবো।’
প্রার্থীর অঙ্গিকানামার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রার্থীর অঙ্গিকানামা এবার দিতে হবে, এটা আগে ছিল না। ইসি নিয়ম কানুনের বেড়াজাল যত বাড়াবে তত বিষয়টি জটিল হবে।’ এসময় তিনি ধর্মকে যাতে কোথাও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে বলেন।
এদিকে জাতীয় পার্টিসহ স্বৈরাচারের দোসরদের সঙ্গে যেন ইসি সংলাপ না করে, সেই সঙ্গে তাদের যেন নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া না হয় এ দাবি জানান গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা যাতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সে ব্যবস্থা নিতে বলেছে গণঅধিকার পরিষদ।
সংলাপের শুরুতে সূচনা বক্তব্য দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে কমিটেড, সেই ভাবেই দায়িত্ব পালন করবো। সুন্দর নির্বাচনের জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা জনগণকে ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য ভূমিকা রাখবেন সেই আশা করি।’
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হওয়া সকালের অধিবেশনে ইসির সংলাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ সংখ্যালঘু জনতা পার্টি (বিএমজেপি), ইনসানিয়ত বিপ্লব, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) অংশগ্রহণ করে।




















