ঢাকা ০৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমনিরহাটে দোকান পুড়িয়ে দিলো ইউএনও,জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০ ৯ বার পড়া হয়েছে
লালমনিরহাট প্রতিনিধি:  লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় সাংবাদিকের দোকান ঘর ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনসুর উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
সোমবার(১৮ মে) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিক গোলাপ মিয়া ক্ষতিপূরণসহ বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সাংবাদিক গোলাপ মিয়া আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ি গ্রামের ফজলুল করিমের ছেলে। তিনি আদিতমারী প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কুমড়িরহাট এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি বিগত ২০০৯ সালের ২ জুলাই তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিসহ কমিটির কাছে চুক্তিতে লিজ নিয়ে দোকান ঘর করে ব্যবসা করছেন গোলাপ মিয়া। সেই চুক্তি মোতাবেক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত ভাড়া প্রদান করে আসছেন তিনি। কিন্তু অফেরৎযোগ্য ২০ হাজার টাকা ও ভাড়া দেয়া বন্দোবস্তকে অস্বীকার করে তাকে সরিয়ে অন্যকে লিজ দেয়ার পায়তারা চালান বর্তমান প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কাজল ও সভাপতি রফিজ উদ্দিন। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই গত রোববার (১৭ মে) বিকেলে হঠাৎ ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দল নিয়ে ওই দোকান ঘরটি ভাংচুর করে পুড়িয়ে দেন। লিজের কাগজ দেখাতে চাইলেও না দেখে সন্ত্রাসী কায়দায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বলে অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক।
এ ঘটনায় নিরুপায় হয়ে লিজগ্রহিতা সাংবাদিক গোলাপ মিয়া ইউএনওসহ কথিত উচ্ছেদ অভিযানের সকলের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
গোলাপ মিয়া বলেন, অনেকের মত আমিও লিজ নিয়ে দোকান ঘরে ব্যবসা করে আসছি। কোনো নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ ইউএনও পুলিশ নিয়ে এসে ভাংচুর করে দোকান পুড়িয়ে ফেলেন। উচ্ছেদ করলে নোটিশ দিয়ে ভেঙে দিবে।
এবিষয়ে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, বাণিজ্যিক এলাকায় বিদ্যালয়ের জমি লিজ দেয়ার নিয়ম নেই। যারা দিয়েছেন। তারা না বুঝে দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের জমি দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
এদিকে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, অনেক সময় তো উচ্ছেদের চিঠি দেয়া হয়। এ উচ্ছেদের জন্য অনুমতি দেয়া আছে কিনা, জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

লালমনিরহাটে দোকান পুড়িয়ে দিলো ইউএনও,জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৩:৪২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০
লালমনিরহাট প্রতিনিধি:  লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় সাংবাদিকের দোকান ঘর ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনসুর উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
সোমবার(১৮ মে) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিক গোলাপ মিয়া ক্ষতিপূরণসহ বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সাংবাদিক গোলাপ মিয়া আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ি গ্রামের ফজলুল করিমের ছেলে। তিনি আদিতমারী প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কুমড়িরহাট এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি বিগত ২০০৯ সালের ২ জুলাই তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিসহ কমিটির কাছে চুক্তিতে লিজ নিয়ে দোকান ঘর করে ব্যবসা করছেন গোলাপ মিয়া। সেই চুক্তি মোতাবেক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত ভাড়া প্রদান করে আসছেন তিনি। কিন্তু অফেরৎযোগ্য ২০ হাজার টাকা ও ভাড়া দেয়া বন্দোবস্তকে অস্বীকার করে তাকে সরিয়ে অন্যকে লিজ দেয়ার পায়তারা চালান বর্তমান প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কাজল ও সভাপতি রফিজ উদ্দিন। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই গত রোববার (১৭ মে) বিকেলে হঠাৎ ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দল নিয়ে ওই দোকান ঘরটি ভাংচুর করে পুড়িয়ে দেন। লিজের কাগজ দেখাতে চাইলেও না দেখে সন্ত্রাসী কায়দায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বলে অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক।
এ ঘটনায় নিরুপায় হয়ে লিজগ্রহিতা সাংবাদিক গোলাপ মিয়া ইউএনওসহ কথিত উচ্ছেদ অভিযানের সকলের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
গোলাপ মিয়া বলেন, অনেকের মত আমিও লিজ নিয়ে দোকান ঘরে ব্যবসা করে আসছি। কোনো নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ ইউএনও পুলিশ নিয়ে এসে ভাংচুর করে দোকান পুড়িয়ে ফেলেন। উচ্ছেদ করলে নোটিশ দিয়ে ভেঙে দিবে।
এবিষয়ে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, বাণিজ্যিক এলাকায় বিদ্যালয়ের জমি লিজ দেয়ার নিয়ম নেই। যারা দিয়েছেন। তারা না বুঝে দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের জমি দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
এদিকে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, অনেক সময় তো উচ্ছেদের চিঠি দেয়া হয়। এ উচ্ছেদের জন্য অনুমতি দেয়া আছে কিনা, জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।