ঢাকা ১২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মাইলস্টোন স্কুলে তালা, দ্বিতীয় দিনেও বন্ধ শিক্ষা কার্যক্রম মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: নিহতদের স্মর‌নে ও আহত‌দের সুস্থতা কামনায় নারায়ণগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের প্রার্থনা কুষ্টিয়া কুমারখালীতে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য দোয়া মাহফিল রাশেদ খানের ক্ষোভ: ‘ইউনূস সরকার বৈষম্য ও বিভাজনকেই প্রতিষ্ঠা করছে’ মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: নির‌পেক্ষ ও উচ্চ পর্যা‌য়ের তদন্ত ক‌মি‌টি চায় জামায়াত বিমান বিধ্বস্তে নিহত তৌকির ইসলামের জানাজা রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত উত্তরার দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করলেন বিএনপি নেতা আবুল কাউসার আশা মাইলস্টোন শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে প্রাণ দিলেন মাহরীন চৌধুরী দৌলতপুরে ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার চায়না ও কারেন্ট জাল জব্দ

রাশেদ খানের ক্ষোভ: ‘ইউনূস সরকার বৈষম্য ও বিভাজনকেই প্রতিষ্ঠা করছে’

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৪৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: চারটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের বৈঠকের পরপরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতা রাশেদ খান। ফেসবুক পোস্টে তিনি অন্তর্বর্তী সরকার তথা ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার’-এর বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এই সরকার প্রকৃতপক্ষে সাম্য নয়, ঘৃণা প্রতিষ্ঠার দায়িত্বে আছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এনসিপি—এই চারটি দলের সঙ্গে সরকারের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদকে অন্তর্ভুক্ত না করায় রাশেদ তার ক্ষোভ উগরে দেন।

ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন,
“কে বড় দল, কে ছোট দল—এটা যদি নির্বাচনের আগেই একটি সরকার নির্ধারণ করে দেয়, তবে সেই সরকার বৈষম্য দূর না করে বরং বৈষম্য ও বিভাজনই বাড়ায়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার শুরু থেকেই এই জঘন্য কাজটি করে আসছে।”

তিনি আরও বলেন,
“এই সরকার যদি সত্যিই ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে নিয়ে বসতো, তাহলে আস্থা সৃষ্টি হতো। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সরকার বারবার বিমাতাসুলভ আচরণ করছে।”

রাশেদ অভিযোগ করেন, সরকারের উপদেষ্টাদের অনেকেই একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুগত হয়ে কাজ করছেন।
“এই উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ছাড়া বিচার, সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।” — বলেন তিনি।

এনজিও সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য করে রাশেদ বলেন, তারা কেবল নিজেদের স্বার্থ বোঝে এবং “কে বড়, কে ছোট”—তা নির্ধারণের দায়িত্ব নিয়েছে। সব দলকে নিয়ে সংলাপ না করায় তিনি ‘ড. ইউনূস সরকারের প্রতি ঘৃণা’ প্রকাশ করেন।

রাশেদের এমন বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা তৈরি করেছে। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারের আচরণ নিয়ে আগে থেকেই সমালোচনার মুখে থাকা এই সরকারের উপর নতুন করে প্রশ্ন তুললেন গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাশেদ খানের ক্ষোভ: ‘ইউনূস সরকার বৈষম্য ও বিভাজনকেই প্রতিষ্ঠা করছে’

আপডেট সময় : ১১:৪৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার: চারটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের বৈঠকের পরপরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতা রাশেদ খান। ফেসবুক পোস্টে তিনি অন্তর্বর্তী সরকার তথা ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার’-এর বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এই সরকার প্রকৃতপক্ষে সাম্য নয়, ঘৃণা প্রতিষ্ঠার দায়িত্বে আছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এনসিপি—এই চারটি দলের সঙ্গে সরকারের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদকে অন্তর্ভুক্ত না করায় রাশেদ তার ক্ষোভ উগরে দেন।

ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন,
“কে বড় দল, কে ছোট দল—এটা যদি নির্বাচনের আগেই একটি সরকার নির্ধারণ করে দেয়, তবে সেই সরকার বৈষম্য দূর না করে বরং বৈষম্য ও বিভাজনই বাড়ায়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার শুরু থেকেই এই জঘন্য কাজটি করে আসছে।”

তিনি আরও বলেন,
“এই সরকার যদি সত্যিই ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে নিয়ে বসতো, তাহলে আস্থা সৃষ্টি হতো। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সরকার বারবার বিমাতাসুলভ আচরণ করছে।”

রাশেদ অভিযোগ করেন, সরকারের উপদেষ্টাদের অনেকেই একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুগত হয়ে কাজ করছেন।
“এই উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ছাড়া বিচার, সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।” — বলেন তিনি।

এনজিও সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য করে রাশেদ বলেন, তারা কেবল নিজেদের স্বার্থ বোঝে এবং “কে বড়, কে ছোট”—তা নির্ধারণের দায়িত্ব নিয়েছে। সব দলকে নিয়ে সংলাপ না করায় তিনি ‘ড. ইউনূস সরকারের প্রতি ঘৃণা’ প্রকাশ করেন।

রাশেদের এমন বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা তৈরি করেছে। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারের আচরণ নিয়ে আগে থেকেই সমালোচনার মুখে থাকা এই সরকারের উপর নতুন করে প্রশ্ন তুললেন গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা।