ঢাকা ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ডেঙ্গু আপডেট বাংলাদেশ: একদিনে ৩১৭ জন আক্রান্ত, নেই নতুন মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক: বাণিজ্য ও ভূরাজনীতি, গণতন্ত্র নয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির পথসভা: সীমান্ত আগ্রাসন মেনে নেওয়া হবে না বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়, শান্ত’র চোটে দুশ্চিন্তা ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’ যুক্তরাষ্ট্রে ঘোষণা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নির্মূল হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম আজকের আবহাওয়ার খবর: ঢাকায় মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টি সম্ভাবনা | ৫ জুলাই ২০২৫ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৩৮ নিহত, আহত ৬২৫ চুয়াডাঙ্গা ট্রেন লাইনচ্যুত: জীবননগরে মালবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় খুলনার রেল যোগাযোগ বন্ধ হিমাচল প্রদেশ বন্যা: ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসে ৬৩ জনের মৃত্যু

করোনা ভাইরাস শনাক্তের কীট নেই ফরিদপুর স্বাস্থ্য বিভাগে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মার্চ ২০২০ ২০ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুর  :: মরণঘাতি রোগ করোনা ভাইরাস মানুষের শরীরে আছে কি নেই তা নির্ধারনের জন্য যে কীট থাকা দরকার সেই কীট বিহীন অবস্থায় ফরিদপুরে চলছে প্রাদুর্ভাব কালীন চিকিৎসা ব্যবস্থা। এরই ফলে বিদেশ থেকে আসা প্রায় সাড়ে চার হাজার বিদেশ ফেরতদের শরীরে করোনা ভাইরাস রয়েছে কিনা তা নির্ধারন করতে পারছে না জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সাংবাদিকদের কাছে অনায়েসে তা স্বীকার করে নিলেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন।

গত সোমবার পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১ হাজার ৪৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ফরিদপুর সদরে গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৮১ জনকে। এছাড়া নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম হওয়ায় ২১৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত করা হয়েছে। কীট না থাকায় এদের শরীরে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করতেও পারছেনা স্বাস্থ্য বিভাগ।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাস রয়েছে তা নির্ধারনের জন্য যে কীট সেই কীট একমাত্র আইডিসিআর ছাড়া দেশের কোন জেলায় নেই। হিসেব অনুয়ায়ী ফরিদপুরে নেই। তিনি বলেন আমাদের এখানে এমন রোগি থাকলেও আমরা তা নির্ধারন করতে পারছি না কীট না থাকার জন্য। একই সাথে বিশেষভাবে দরকার কীট এক্সপাট! কিন্তু সেটিও ফরিদপুরে নেই। তবে আমরা বিদেশ ফেরত অনেককে হোম কোয়ারেন্টাইনে নিয়েছি কিন্তু তাদের হয়েছে কিনা তা বলতে পাারছিনা। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার। এই সময়ে আবার সিজেনাল সমস্যা হয় সেটিও হচ্ছে। তারাও অনেকে নিজেদের করোনা ভাইরাস হয়েছে বলে ধারনা করে একটি ভীতিতেও  রয়েছে।

সোমবার ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা করা হয়েছে এতে শপিং মল, রেষ্টুরেন্ট, বাণিজ্য কেন্দ্র, ভ্রাম্যমান ফাষ্টফুডের দোকান, আবাসিক হোটেল, পশুর হাট, বিনোদন কেন্দ্র, পার্ক, মেলা, সামাজিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় সমাবেশ ও রাস্তার পাশের খাবার ও চা দোকানের আড্ডার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গন বিজ্ঞপ্তিতে বিদেশ ফেরতদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি নিশ্চিত করে কারো শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, থানা বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও উল্লেখ করা হয় গণবিজ্ঞপ্তিতে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

করোনা ভাইরাস শনাক্তের কীট নেই ফরিদপুর স্বাস্থ্য বিভাগে

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মার্চ ২০২০

ফরিদপুর  :: মরণঘাতি রোগ করোনা ভাইরাস মানুষের শরীরে আছে কি নেই তা নির্ধারনের জন্য যে কীট থাকা দরকার সেই কীট বিহীন অবস্থায় ফরিদপুরে চলছে প্রাদুর্ভাব কালীন চিকিৎসা ব্যবস্থা। এরই ফলে বিদেশ থেকে আসা প্রায় সাড়ে চার হাজার বিদেশ ফেরতদের শরীরে করোনা ভাইরাস রয়েছে কিনা তা নির্ধারন করতে পারছে না জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সাংবাদিকদের কাছে অনায়েসে তা স্বীকার করে নিলেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন।

গত সোমবার পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১ হাজার ৪৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ফরিদপুর সদরে গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৮১ জনকে। এছাড়া নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম হওয়ায় ২১৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত করা হয়েছে। কীট না থাকায় এদের শরীরে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করতেও পারছেনা স্বাস্থ্য বিভাগ।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাস রয়েছে তা নির্ধারনের জন্য যে কীট সেই কীট একমাত্র আইডিসিআর ছাড়া দেশের কোন জেলায় নেই। হিসেব অনুয়ায়ী ফরিদপুরে নেই। তিনি বলেন আমাদের এখানে এমন রোগি থাকলেও আমরা তা নির্ধারন করতে পারছি না কীট না থাকার জন্য। একই সাথে বিশেষভাবে দরকার কীট এক্সপাট! কিন্তু সেটিও ফরিদপুরে নেই। তবে আমরা বিদেশ ফেরত অনেককে হোম কোয়ারেন্টাইনে নিয়েছি কিন্তু তাদের হয়েছে কিনা তা বলতে পাারছিনা। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার। এই সময়ে আবার সিজেনাল সমস্যা হয় সেটিও হচ্ছে। তারাও অনেকে নিজেদের করোনা ভাইরাস হয়েছে বলে ধারনা করে একটি ভীতিতেও  রয়েছে।

সোমবার ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা করা হয়েছে এতে শপিং মল, রেষ্টুরেন্ট, বাণিজ্য কেন্দ্র, ভ্রাম্যমান ফাষ্টফুডের দোকান, আবাসিক হোটেল, পশুর হাট, বিনোদন কেন্দ্র, পার্ক, মেলা, সামাজিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় সমাবেশ ও রাস্তার পাশের খাবার ও চা দোকানের আড্ডার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গন বিজ্ঞপ্তিতে বিদেশ ফেরতদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি নিশ্চিত করে কারো শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, থানা বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও উল্লেখ করা হয় গণবিজ্ঞপ্তিতে।