ঢাকা ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ডেঙ্গু আপডেট বাংলাদেশ: একদিনে ৩১৭ জন আক্রান্ত, নেই নতুন মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক: বাণিজ্য ও ভূরাজনীতি, গণতন্ত্র নয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির পথসভা: সীমান্ত আগ্রাসন মেনে নেওয়া হবে না বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়, শান্ত’র চোটে দুশ্চিন্তা ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’ যুক্তরাষ্ট্রে ঘোষণা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নির্মূল হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম আজকের আবহাওয়ার খবর: ঢাকায় মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টি সম্ভাবনা | ৫ জুলাই ২০২৫ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৩৮ নিহত, আহত ৬২৫ চুয়াডাঙ্গা ট্রেন লাইনচ্যুত: জীবননগরে মালবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় খুলনার রেল যোগাযোগ বন্ধ হিমাচল প্রদেশ বন্যা: ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসে ৬৩ জনের মৃত্যু

কাটাখালী পৌরসভা মেয়রের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩ বার পড়া হয়েছে

ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী : রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে হত্যা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মারপিট, জামায়াত সম্পৃক্ততা, মাদক-সন্ত্রাসের সাথে সংশ্লিষ্টতা, সরকারী কাজে নানারকম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সমম্মেলন করেছেন স্থানীয়রা।

রবিবার সকাল ১১টায় রাজশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। ওই সময় কাটাখালি পৌরবাসীর ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যেও সূত্রমতে কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী হত্যা মামলার আসামী। সে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মারপিট করেন। ২০১০ সালে জামায়াত নেতার টাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নিবাচনে করেন। মেয়রের ছত্রছায়ার লোকজন মাদক ও সন্ত্রাসের সাথে জড়িত। পৌরসভার এ্যাম্বুলেন্সটি মাদক পরিবহণে কাজে ব্যবহার করছে।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, তার বিরুদ্ধে হাট-ঘাট দখল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, পৌরসভার কাউন্সিলর-কর্মচারীদের ভাতা বঞ্চিত করছে। পৌর মেয়র হলেও মন্ত্রীদের মতো প্রটোকল নিয়ে চলাফেরা করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকের আখড়া তেরী করে রাতভর নেশা করেন। মেয়র নানারকম অনিয়ম ও দুর্নীতি করে সম্পদের পহাড় গড়ে তুলেছেন। ইতোপূর্বে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যরম তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী বলেন, কারো নামে অভিযোগ উঠতেই পারে। তার মানে সেগুলো সত্য নয়। এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই।

এসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম শরিফ, পবা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা নার্গিস আক্তার শেলী, কাটাখালি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর খোকনুজ্জামান মাসুদ, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোত্তালিব, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সামা, কাটাখালী পৌরসভা যুবলীগের আহবায়ক জনি ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক শরিয়ত উল্লাহ, সাইদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কাটাখালী পৌরসভা মেয়রের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০১:১৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী : রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে হত্যা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মারপিট, জামায়াত সম্পৃক্ততা, মাদক-সন্ত্রাসের সাথে সংশ্লিষ্টতা, সরকারী কাজে নানারকম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সমম্মেলন করেছেন স্থানীয়রা।

রবিবার সকাল ১১টায় রাজশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। ওই সময় কাটাখালি পৌরবাসীর ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যেও সূত্রমতে কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী হত্যা মামলার আসামী। সে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মারপিট করেন। ২০১০ সালে জামায়াত নেতার টাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নিবাচনে করেন। মেয়রের ছত্রছায়ার লোকজন মাদক ও সন্ত্রাসের সাথে জড়িত। পৌরসভার এ্যাম্বুলেন্সটি মাদক পরিবহণে কাজে ব্যবহার করছে।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, তার বিরুদ্ধে হাট-ঘাট দখল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, পৌরসভার কাউন্সিলর-কর্মচারীদের ভাতা বঞ্চিত করছে। পৌর মেয়র হলেও মন্ত্রীদের মতো প্রটোকল নিয়ে চলাফেরা করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকের আখড়া তেরী করে রাতভর নেশা করেন। মেয়র নানারকম অনিয়ম ও দুর্নীতি করে সম্পদের পহাড় গড়ে তুলেছেন। ইতোপূর্বে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যরম তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী বলেন, কারো নামে অভিযোগ উঠতেই পারে। তার মানে সেগুলো সত্য নয়। এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই।

এসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম শরিফ, পবা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা নার্গিস আক্তার শেলী, কাটাখালি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর খোকনুজ্জামান মাসুদ, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোত্তালিব, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সামা, কাটাখালী পৌরসভা যুবলীগের আহবায়ক জনি ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক শরিয়ত উল্লাহ, সাইদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।