কেরাণীগঞ্জে মিথ্যা অভিযোগে প্রবাসিকে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে গোয়ালখালী এলাকায় মিথ্যা অভিযোগে হয়রানির প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন করেছে পলাশ সরকার নামে এক আফ্রিকান প্রবাসি।

শুক্রবার (০২ অক্টোবর) সকালে গোয়ালখালীর তার নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রবাস জীবন শেষে বিগত ২২শে জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে আমার পৈত্রিক বাড়ীতে ফিরে আসি। এরপর থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবেই জীবন যাপন করে আসছিলাম। কিন্তু আমার পরিবারের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেড় ধরে খোলামোড়া নির্বাসি আইন মন্ত্রনালয়ের প্রটোকল অফিসার পরিচয় দানকারী শ্রী নীল রতন মন্টু তার শক্রতা হাসিলের লক্ষ্যে আমার চাচা রামহরি ও রাজহরি সরকারকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে গত ৩০শে সেপ্টেম্বর কেরাণীগঞ্জ প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সন্মেলন করেন। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। মূলত আমাকে সামাজিক মানষিক ও অর্থনৈতিক ভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে সে এ ধরনের সংবাদ সম্মেলন করেছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে রাজহরি সরকার বলেছেন আমার অত্যাচারে সে ৬ বছর যাবত বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, যাহা সম্পূন্য মিথ্যা ও বানোয়াট। মূলত আমি এতদিন দেশেই ছিলাম না। আমি বাড়িতে আসছি মাত্র এক থেকে দেড় বছর আগে। তাহলে তাকে কি ভাবে আমি হয়রানি করলাম ? আইন মন্ত্রনালয়ের প্রটোকল অফিসার পরিচয় দানকারি নীল রতন মন্টুর প্ররোচনায় আমার চাচা রামহরি ও রাজহরি আমাকে একাধিক মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন যাবত হয়রানি করে আসছে। সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারী মাসে আমার বিরুদ্ধে নানান মিথ্যা অভিযোগ এনে একটি হয়রানী মূলক মামলা দেয়। যে মামলায় আমি ২৮ দিন জেল আজাত শেষে বর্তমানে জামিনে আছি । আমাদের পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে এক বিচার শালিসের আয়োজন করলে আমার চাচা উক্ত আইন মন্ত্রনালয়ের প্রটোকল অফিসার পরিচয় দানকারি নীল রতন মন্টুর কাছে যায়। আমার চাচার হাত ধরে সে উক্ত শালিসে আসে। তখন সে আমাকে বিচারে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য আমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবী করেন।

আমি তার দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে একের পর এক মিথ্যা প্ররোচনা আমাকে ফাসানোর চেষ্টা করে এবং সে আমাকে এটাও বলে যে এই বাড়িতে তুই কিভাবে ঘর তৈরী করিস সেটা আমি দেখে নেব। আফ্রিকান প্রবাসি আরো বলেন আমাদের উক্ত পারিবারিক বিষয়টি স্থাণীয় ভাবে গ্রাম্য আদালতের মাধ্যমে মিমাংসা হয়। যাহা ৩০০ টাকার স্টাম্পে লিপিবন্ধ আছে। তবুও প্রতিপক্ষ আমার চাচা রাজহরি ও রামহরি উক্ত আইন মন্ত্রনালয়ের প্রটোকল অফিসার পরিচয় দানকারি নীল রতন মন্টুর প্ররোচনায় মিমাংসিত বিষয়টিকে নিয়ে আমাকে বার বার হয়রানি করে আসছে। আজ এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আপনাদের সঠিক লেখনি দ্বারা এ ধরনের হয়রানি থেকে আমি ও আমার পরিবার রেহাই পেতে চাই। ভবিষ্যতে উক্ত চক্রটির দ্বারা আমার মত আর কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়। সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title