কেরানীগঞ্জে অবৈধ কারখানা-গোডাউনে দূর্ঘটনায় মালিকদের সাথে মতবিনিময়

 

প্রাইমটিভি বাংলা(অনলাইন)ঃ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে যত্রতত্র অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কারখানা ও গোডাউনে অব্যহতভাবে দূর্ঘটনায় নিহত-আহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিস্তর ঘটনা ঘটেই চলছে। কোন ভাবেই বাস্তবসম্মত সুরাহা না হওয়ায় সাধারন মানুষের মাঝে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।রবিবারের কেমিক্যাল গোডাউনে নজির বিহীন ভয়াবহ দূর্ঘটনায় দুটি আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে।এর মধ্যে উপজেলা প্রসাশনের পক্ষে পাঁচ সদস্যের পরিবর্তে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।অপরটি ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকেও চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।ইতোমধ্যে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটির কার্যক্রম শুরু করেছেন বলে জানান কমিটির সদস্য সচিব কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,পূর্ববন্দ ডাকপাড়া এলাকায় ভয়াল বিষ্ফোরনের ঘটনার পর পুরো মার্কেটটি বিরান ভু’মিতে পরিনত হয়েছে।ঘটনার পর রবিবার দুপুর থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মার্কেটটি বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অসি মোঃ মাইনূল ইসলাম জানান,নিরাপত্তার স্বার্থে ঘটনার পর থেকে দূর্ঘটনা স্থলে এক অফিসার সহ চার টহল পুলিশ পালাক্রমে পাহাড়ারত অবস্থায় আছে।
ঘটনার জেরে কেরানীগঞ্জ উপজেলায় অবৈধভাবে স্থাপিত কলকারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউন অপসারন এবং সম্ভাব্য দুর্ঘটনা নিরুপন, প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা করেছে উপজেলা প্রশাসন।সোমবার বিকেল ৪ টায় কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ।এতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত দেবনাথ সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, ওসি কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ শাহ জামান, ওসি মডেল থানা মোঃ মইনুল ইসলাম , কেরানীগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলো বেগম, শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, ঢাকা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ইন্সপেক্টর জেসমিন আক্তার প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহীন আহমেদ বলেন, আমরা আপনাদের ফ্যাক্টরির জন্য রোহিতপুরের নতুন সোনাকান্দা বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় নির্ধারণ করে দিয়েছি।আপনারা দ্রুত সেখানে চলে যান। অন্যথায় আমরা কঠোর এ্যকশানে যাবো। অভিযান চলছে এবং অভিযান চলবে। আবাসিক এলাকায় কোন ধরনের মিল ফ্যাক্টরি, কলকারখানা ও গোডাউন থাকবেনা। আপনারা কারখানা করে ভাড়া দিয়ে শহরে থাকবেন আর কেরানীগঞ্জের সাধারণ মানুষ আগুনে পুড়ে মরবে এটা চলতে পারেনা। কেরানীগঞ্জের মানুষের জন্য মায়া না হলে বাড়ীঘর বেঁচে অন্যত্র চলে যান। আমাদের লজ্জা লাগে যখন মানুষ বলে কেরানীগঞ্জে প্রতিদিন আগুন লাগে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও কেরানীগঞ্জের প্রতি সু-দৃষ্টি রাখছেন। কিছু দিন আগে সেখানেই আগুনে পুড়ে ২২ জন লোক মারা গেলো। তবুও আমরা সচেতন হচ্ছিনা। আমরা আপনাদের সেবা দিতে প্রস্তুত, আপনারা নিয়ম মেনে কারখানা চালালে আমাদের শতভাগ সহযোগিতা পাবেন । জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title