কেরানীগঞ্জে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুকিপূর্ন বসবাস

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
রাজধানীর কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নে শহীদ নগর এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বসবাস করছে ২০টি পরিবারের দেড় শতাধিক মানুষ। ২০০০ সালে তৈরি করা ভবনটি একতলা মাটির নিচে। সংস্কারের অভাবে ভবনের অবস্থা এখন জরাজীর্ণ। বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদের ঢালাই ও প্লাস্টার খসে পড়েছে। বৃষ্টি নামলে ছাদের ফাটলের অংশ দিয়ে প্রায় প্রতিটি ঘরের ভিতরে পানি পড়ে । ভবনটিতে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির তিনতলা ভবনের নিচতলা দেবে গিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে পরিনত হয়েছে।
সেখানে বসবাসরত কয়েকজন জানালেন, বিগত ছয় মাসের মধ্যে আমাদের বাড়িওয়ালা আমাদের কোন খোঁজখবর নেয়নি।করোনার মহামারীর মধ্যেও প্রতিটি ভবনে বসবাসরত পরিবারের কাছ থেকে ঘর ভাড়া বিদ্যুৎ বিল সহ বিভিন্ন খরচের টাকা প্রতি মাসেই নিয়ে নেয় বাড়িওয়ালা। ভাড়াটিয়াদের অভিযোগ, বাড়িভাড়া নিলেও বাড়ির এমন দুরবস্থা বাড়িওয়ালা সেদিকে খেয়াল করেনি। বাড়িতে থাকা ম্যানেজারের দায়িত্ব পালনকারী হাবিবুর রহমান জানান,প্রতিটি বাসা থেকে, বিদ্যুৎ বিল সহ সাড়ে ৪-৫ হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। বাড়িওয়ালার পক্ষ থেকে ভাড়াটিয়াদের বাড়ি ছাড়ার জন্য বলা হয়েছে।
ভবন মালিক মোঃ সালাম কে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ তবে আগামী কিছুদিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলার চিন্তাভাবনা করছি। ১বছরের বেশি সময় আগে একজন পরিচিত ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা ভবনটি পরীক্ষা করানো হয়েছে। বাড়িভাড়া সম্পর্কে তিনি বলেন , সরকার আমাকে তো বিদ্যুৎ কিংবা গ্যাসবিল মাফ করেনি।আমি কেনো ভাড়া ছেড়ে দিবো। আমার বাড়ি যেমন হোক এখানে থাকতে হলে ভাড়া দিতে হবে।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি সম্পর্কে স্থানীয় জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাকুর হোসেন সাকু জানান, এ ব্যাপারে আমি অবগত না। ভবনটি কি অবস্থায় আছে তাহার খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ জানান,এসকল ভবন বা বাড়ীর বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব থাকে। যদি কেহ আমাদের কাছে অভিযোগ করে তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title