ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জয়পুরহাটে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে, দুই বিষয়ে ফেল আমার স্বামীকে কেন এমন নির্মমভাবে মেরে ফেলল, প্রশ্ন নিহত সোহাগের স্ত্রীর সাকিবের জন্য দরজা খোলা বলছে বিসিবি বিক্ষোভে উত্তাল রংপুর, খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান এর পর নতুন খেলায় লেদা জমি জিপ গোপন তহবিল পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আজকের আবহাওয়া: বিকেলে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা, গরম থাকবে দিনভর নাহিদ ইসলাম খুলনা: এনসিপির সভায় চাঁদাবাজ-সন্ত্রাস বিরোধী বার্তা লিড নিয়েও জাপানকে হারাতে পারল না বাংলাদেশ তিস্তায় পানি বাড়ছে, কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা

কেরানীগঞ্জে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুকিপূর্ন বসবাস

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট ২০২০ ১৮ বার পড়া হয়েছে

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
রাজধানীর কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নে শহীদ নগর এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বসবাস করছে ২০টি পরিবারের দেড় শতাধিক মানুষ। ২০০০ সালে তৈরি করা ভবনটি একতলা মাটির নিচে। সংস্কারের অভাবে ভবনের অবস্থা এখন জরাজীর্ণ। বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদের ঢালাই ও প্লাস্টার খসে পড়েছে। বৃষ্টি নামলে ছাদের ফাটলের অংশ দিয়ে প্রায় প্রতিটি ঘরের ভিতরে পানি পড়ে । ভবনটিতে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির তিনতলা ভবনের নিচতলা দেবে গিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে পরিনত হয়েছে।
সেখানে বসবাসরত কয়েকজন জানালেন, বিগত ছয় মাসের মধ্যে আমাদের বাড়িওয়ালা আমাদের কোন খোঁজখবর নেয়নি।করোনার মহামারীর মধ্যেও প্রতিটি ভবনে বসবাসরত পরিবারের কাছ থেকে ঘর ভাড়া বিদ্যুৎ বিল সহ বিভিন্ন খরচের টাকা প্রতি মাসেই নিয়ে নেয় বাড়িওয়ালা। ভাড়াটিয়াদের অভিযোগ, বাড়িভাড়া নিলেও বাড়ির এমন দুরবস্থা বাড়িওয়ালা সেদিকে খেয়াল করেনি। বাড়িতে থাকা ম্যানেজারের দায়িত্ব পালনকারী হাবিবুর রহমান জানান,প্রতিটি বাসা থেকে, বিদ্যুৎ বিল সহ সাড়ে ৪-৫ হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। বাড়িওয়ালার পক্ষ থেকে ভাড়াটিয়াদের বাড়ি ছাড়ার জন্য বলা হয়েছে।
ভবন মালিক মোঃ সালাম কে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ তবে আগামী কিছুদিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলার চিন্তাভাবনা করছি। ১বছরের বেশি সময় আগে একজন পরিচিত ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা ভবনটি পরীক্ষা করানো হয়েছে। বাড়িভাড়া সম্পর্কে তিনি বলেন , সরকার আমাকে তো বিদ্যুৎ কিংবা গ্যাসবিল মাফ করেনি।আমি কেনো ভাড়া ছেড়ে দিবো। আমার বাড়ি যেমন হোক এখানে থাকতে হলে ভাড়া দিতে হবে।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি সম্পর্কে স্থানীয় জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাকুর হোসেন সাকু জানান, এ ব্যাপারে আমি অবগত না। ভবনটি কি অবস্থায় আছে তাহার খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ জানান,এসকল ভবন বা বাড়ীর বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব থাকে। যদি কেহ আমাদের কাছে অভিযোগ করে তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবো।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কেরানীগঞ্জে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুকিপূর্ন বসবাস

আপডেট সময় : ০৪:২৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট ২০২০

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
রাজধানীর কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নে শহীদ নগর এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বসবাস করছে ২০টি পরিবারের দেড় শতাধিক মানুষ। ২০০০ সালে তৈরি করা ভবনটি একতলা মাটির নিচে। সংস্কারের অভাবে ভবনের অবস্থা এখন জরাজীর্ণ। বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদের ঢালাই ও প্লাস্টার খসে পড়েছে। বৃষ্টি নামলে ছাদের ফাটলের অংশ দিয়ে প্রায় প্রতিটি ঘরের ভিতরে পানি পড়ে । ভবনটিতে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির তিনতলা ভবনের নিচতলা দেবে গিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে পরিনত হয়েছে।
সেখানে বসবাসরত কয়েকজন জানালেন, বিগত ছয় মাসের মধ্যে আমাদের বাড়িওয়ালা আমাদের কোন খোঁজখবর নেয়নি।করোনার মহামারীর মধ্যেও প্রতিটি ভবনে বসবাসরত পরিবারের কাছ থেকে ঘর ভাড়া বিদ্যুৎ বিল সহ বিভিন্ন খরচের টাকা প্রতি মাসেই নিয়ে নেয় বাড়িওয়ালা। ভাড়াটিয়াদের অভিযোগ, বাড়িভাড়া নিলেও বাড়ির এমন দুরবস্থা বাড়িওয়ালা সেদিকে খেয়াল করেনি। বাড়িতে থাকা ম্যানেজারের দায়িত্ব পালনকারী হাবিবুর রহমান জানান,প্রতিটি বাসা থেকে, বিদ্যুৎ বিল সহ সাড়ে ৪-৫ হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। বাড়িওয়ালার পক্ষ থেকে ভাড়াটিয়াদের বাড়ি ছাড়ার জন্য বলা হয়েছে।
ভবন মালিক মোঃ সালাম কে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ তবে আগামী কিছুদিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলার চিন্তাভাবনা করছি। ১বছরের বেশি সময় আগে একজন পরিচিত ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা ভবনটি পরীক্ষা করানো হয়েছে। বাড়িভাড়া সম্পর্কে তিনি বলেন , সরকার আমাকে তো বিদ্যুৎ কিংবা গ্যাসবিল মাফ করেনি।আমি কেনো ভাড়া ছেড়ে দিবো। আমার বাড়ি যেমন হোক এখানে থাকতে হলে ভাড়া দিতে হবে।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি সম্পর্কে স্থানীয় জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাকুর হোসেন সাকু জানান, এ ব্যাপারে আমি অবগত না। ভবনটি কি অবস্থায় আছে তাহার খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ জানান,এসকল ভবন বা বাড়ীর বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব থাকে। যদি কেহ আমাদের কাছে অভিযোগ করে তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবো।