ঢাকা ০১:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জয়পুরহাটে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে, দুই বিষয়ে ফেল আমার স্বামীকে কেন এমন নির্মমভাবে মেরে ফেলল, প্রশ্ন নিহত সোহাগের স্ত্রীর সাকিবের জন্য দরজা খোলা বলছে বিসিবি বিক্ষোভে উত্তাল রংপুর, খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান এর পর নতুন খেলায় লেদা জমি জিপ গোপন তহবিল পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আজকের আবহাওয়া: বিকেলে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা, গরম থাকবে দিনভর নাহিদ ইসলাম খুলনা: এনসিপির সভায় চাঁদাবাজ-সন্ত্রাস বিরোধী বার্তা লিড নিয়েও জাপানকে হারাতে পারল না বাংলাদেশ তিস্তায় পানি বাড়ছে, কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা

বন্দিদের মুক্তি না দিলে গাজায় ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি নেতানিয়াহুর

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করায় গাজায় আটক থাকা বন্দিদের মুক্তি ‘অনির্দিষ্টকালের’ জন্য স্থগিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপরই গাজায় ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

এমনকি হামাস “চূড়ান্তভাবে পরাজিত” না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী যুদ্ধ করবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যদি শনিবারের মধ্যে হামাস সেখানে আটক থাকা বন্দিদের মুক্তি না দেয় তাহলে গাজায় যুদ্ধ আবার শুরু হবে বলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়েছেন।

গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে। তবে ইসরায়েল এই চুক্তির মূল বিধান লঙ্ঘন করেছে বলে হামাস অভিযোগ তোলার পর চলমান যুদ্ধবিরতির ধারাবাহিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে শনিবার গাজায় আটক থাকা তিন বন্দির মুক্তি লাভের কথা রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহু বলেছেন, “যদি শনিবার দুপুরে হামাস আমাদের বন্দিদের ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে যুদ্ধবিরতি শেষ হয়ে যাবে এবং হামাস শেষ পর্যন্ত পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) তীব্র লড়াইয়ে ফিরে যাবে।”

হামাস বলেছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে এটি নিয়ে আর দর কষাকষির সুযোগ নেই এবং ইসরায়েলি বন্দিদের আসন্ন মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করছে তারা। সোমবার হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা বলেছেন, “প্রতিরোধ নেতৃত্ব শত্রুপক্ষের চুক্তি লঙ্ঘন এবং চুক্তির শর্তাবলীর প্রতি তাদের অসম্মতির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে। এদিকে হামাস তার সমস্ত বাধ্যবাধকতা পূরণ করে চলেছে।”

হামাস বলেছে, ইসরায়েল সব বাধ্যবাধকতা ঠিক মতো মেনে চললে বন্দি বিনিময়ের দরজা খোলা থাকবে। হামাসের এই মুখপাত্র উত্তর গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ফেরাতে বিলম্ব করা, মানুষের ওপর গুলি চালানো এবং মানবিক সহায়তা অনুমোদনে ব্যর্থতার অভিযোগ করেছেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে।

এরপর নেতানিয়াহু মঙ্গলবার একের পর এক টুইট বার্তায় হামাসকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য দোষারোপ করেন এবং বলেন, তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে “গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে এবং চারপাশে বাহিনী জড়ো করার” নির্দেশ দিয়েছেন।

এ পর্যন্ত চুক্তির অংশ হিসাবে হামাস ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি শত শত ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ের ধারাবাহিকতায় ২১ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। মূলত গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরুর পর ১৬ ইসরায়েলি ও পাঁচ জন থাই বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৫৬৬ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

তিন সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে মোট ৩৩ জন বন্দি ও ১৯০০ বন্দি বিনিময় হওয়ার কথা রয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, ৩৩ জনের মধ্যে আট জন আর জীবিত নেই। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলার সময় হামাস মোট ২৫১ জনকে আটক করেছিল।

জবাবে ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডে ব্যাপক আগ্রাসন চালায় এবং এতে মোট ৪৮ হাজার ফিলিস্তিনি মারা গেছেন বলে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বন্দিদের মুক্তি না দিলে গাজায় ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি নেতানিয়াহুর

আপডেট সময় : ১২:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক: যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করায় গাজায় আটক থাকা বন্দিদের মুক্তি ‘অনির্দিষ্টকালের’ জন্য স্থগিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপরই গাজায় ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

এমনকি হামাস “চূড়ান্তভাবে পরাজিত” না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী যুদ্ধ করবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যদি শনিবারের মধ্যে হামাস সেখানে আটক থাকা বন্দিদের মুক্তি না দেয় তাহলে গাজায় যুদ্ধ আবার শুরু হবে বলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়েছেন।

গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে। তবে ইসরায়েল এই চুক্তির মূল বিধান লঙ্ঘন করেছে বলে হামাস অভিযোগ তোলার পর চলমান যুদ্ধবিরতির ধারাবাহিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে শনিবার গাজায় আটক থাকা তিন বন্দির মুক্তি লাভের কথা রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহু বলেছেন, “যদি শনিবার দুপুরে হামাস আমাদের বন্দিদের ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে যুদ্ধবিরতি শেষ হয়ে যাবে এবং হামাস শেষ পর্যন্ত পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) তীব্র লড়াইয়ে ফিরে যাবে।”

হামাস বলেছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে এটি নিয়ে আর দর কষাকষির সুযোগ নেই এবং ইসরায়েলি বন্দিদের আসন্ন মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করছে তারা। সোমবার হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা বলেছেন, “প্রতিরোধ নেতৃত্ব শত্রুপক্ষের চুক্তি লঙ্ঘন এবং চুক্তির শর্তাবলীর প্রতি তাদের অসম্মতির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে। এদিকে হামাস তার সমস্ত বাধ্যবাধকতা পূরণ করে চলেছে।”

হামাস বলেছে, ইসরায়েল সব বাধ্যবাধকতা ঠিক মতো মেনে চললে বন্দি বিনিময়ের দরজা খোলা থাকবে। হামাসের এই মুখপাত্র উত্তর গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ফেরাতে বিলম্ব করা, মানুষের ওপর গুলি চালানো এবং মানবিক সহায়তা অনুমোদনে ব্যর্থতার অভিযোগ করেছেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে।

এরপর নেতানিয়াহু মঙ্গলবার একের পর এক টুইট বার্তায় হামাসকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য দোষারোপ করেন এবং বলেন, তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে “গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে এবং চারপাশে বাহিনী জড়ো করার” নির্দেশ দিয়েছেন।

এ পর্যন্ত চুক্তির অংশ হিসাবে হামাস ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি শত শত ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ের ধারাবাহিকতায় ২১ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। মূলত গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরুর পর ১৬ ইসরায়েলি ও পাঁচ জন থাই বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৫৬৬ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

তিন সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে মোট ৩৩ জন বন্দি ও ১৯০০ বন্দি বিনিময় হওয়ার কথা রয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, ৩৩ জনের মধ্যে আট জন আর জীবিত নেই। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলার সময় হামাস মোট ২৫১ জনকে আটক করেছিল।

জবাবে ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডে ব্যাপক আগ্রাসন চালায় এবং এতে মোট ৪৮ হাজার ফিলিস্তিনি মারা গেছেন বলে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।