ঢাকা ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে জড়াবে না, ধারণা ৬০ শতাংশ মার্কিনির25 পাঁচবিবিতে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তরের শুভ উদ্বোধন25 আমার ফেলে আসা প্রতিটি সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ – জয়া25 মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে আঞ্চলিক কর্মশালা25 ইরান-ইসরায়েল সংকটে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে পুতিন25 খামেনিকে হত্যা করলে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে হিজবুল্লাহ25 ভারি বর্ষণ-সমুদ্রের জোয়ারে বাঁশখালীর বেড়িবাঁধে ভাঙন25 ৩টি দিক থেকে ভাঙ্গায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন ইশরাক ইশরাক স্লোগান: নগর ভবনের ৫টি উত্তপ্ত বাস্তবতা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত: ইসরায়েলের ৩ গোপন সামরিক ঘাঁটিতে ধ্বংস

মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ 

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০২২ ১৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতি‌বেদক:

মা ইলিশ রক্ষায় ৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার মধ্যরাত) থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, মজুদ ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

এদিকে মতলব উত্তরে ৮ হাজার ২১৭ জন ও মতলব দক্ষিণে ১ হাজার ৭শ জন জেলে মধ্যরাত থেকে বেকার হয়ে পড়বেন।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এলাকায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে কোনো জেলে নদীতে নামতে পারবেন না।

প্রতি বছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে ইলিশের ডিম ছাড়ার আসল সময়। এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মেঘনা নদীতে ছুটে আসে। এই সময়কে বিবেচনায় নিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আইন অমান্যকারীকে মৎস্য আইনে সাজা প্রদান করা হবে।

মতলবের মেঘনাপাড়ের কালু মিয়া, ইমাম হোসেন, সুনিল দাশ সহ কয়েকজন জেলেরা জানান, নিষিদ্ধ সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে চাল সহায়তা পান তারা। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় জেলেদের দাবি এ সহযোগিতা যেন বাড়ানো হয়।

মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, মতলবে ৯ হাজার ৯১৭ জেলে আছে। এসব  জেলের জন্য সরকার ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম যুগান্তরকে জানান, মতলব উত্তর উপজেলায় ৮ হাজর ২১৭ জেলে রয়েছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রাফুল হাসান যুগান্তরকে জানান, মা ইলিশ রক্ষায় নিষিদ্ধ সময়ে কোনো জেলেকে নদীতে নামতে দেয়া হবে না। এই নিষেধাজ্ঞা কেউ ভঙ্গ করলে এক থেকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ 

আপডেট সময় : ০৬:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতি‌বেদক:

মা ইলিশ রক্ষায় ৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার মধ্যরাত) থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, মজুদ ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

এদিকে মতলব উত্তরে ৮ হাজার ২১৭ জন ও মতলব দক্ষিণে ১ হাজার ৭শ জন জেলে মধ্যরাত থেকে বেকার হয়ে পড়বেন।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এলাকায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে কোনো জেলে নদীতে নামতে পারবেন না।

প্রতি বছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে ইলিশের ডিম ছাড়ার আসল সময়। এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মেঘনা নদীতে ছুটে আসে। এই সময়কে বিবেচনায় নিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আইন অমান্যকারীকে মৎস্য আইনে সাজা প্রদান করা হবে।

মতলবের মেঘনাপাড়ের কালু মিয়া, ইমাম হোসেন, সুনিল দাশ সহ কয়েকজন জেলেরা জানান, নিষিদ্ধ সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে চাল সহায়তা পান তারা। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় জেলেদের দাবি এ সহযোগিতা যেন বাড়ানো হয়।

মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, মতলবে ৯ হাজার ৯১৭ জেলে আছে। এসব  জেলের জন্য সরকার ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম যুগান্তরকে জানান, মতলব উত্তর উপজেলায় ৮ হাজর ২১৭ জেলে রয়েছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রাফুল হাসান যুগান্তরকে জানান, মা ইলিশ রক্ষায় নিষিদ্ধ সময়ে কোনো জেলেকে নদীতে নামতে দেয়া হবে না। এই নিষেধাজ্ঞা কেউ ভঙ্গ করলে এক থেকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে।