মুক্তির আগেই সমালোচনার শিকার ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিওয়াড়ি’

সমালোচনা যেন সঞ্জয় লীলা বনশালির পিছুই ছাড়ে না।‘বাজিরাও মস্তানি’, ‘পদ্মাবত’-এর পর এবার মুক্তির আগেই বিতর্কে জড়িয়েছে ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিওয়াড়ি’। সত্য ঘটনার অবলম্বনে তৈরি হওয়া এই সিনেমায় গাঙ্গুবাই যে অঞ্চলে থাকতেন সেই কামথিপুরার মানুষের থেকেই এসেছে অভিযোগ।

তাদের অভিযোগ সিনেমায় যেভাবে কামথিপুরাকে দেখানো হয়েছে তা একেবারেই সঠিক নয়। সিনেমায় এলাকাটিকে মুম্বাইয়ের বিখ্যাত রেড লাইট এলাকা হিসেবে দেখানো হয়েছে। যা অত্যান্ত লজ্জাজনক ও মানহানিকর বলে জানিয়েছেন কামথিপুরার বাসিন্দারা। তারা বলছেন, ২০০ বছরের কামথিপুরার ইতিহাসকে ছোট করা হয়েছে যা মানহানিকর। এই সিনেমা কামথিপুরার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষতি করছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কিছু মানুষ যদি অন্যকে সমস্যার মধ্যে ফেলে টাকা আয় করতে চেষ্টা করে কামথিপুরা চুপ করে বসে থাকবে না। এলাকার সবাই সব মানুষ এক জায়গায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাবে। ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিওয়াড়ি’র মুক্তি আটকানোর জন্য বিক্ষোভ দেখাবেন তারা।

কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে সিনেমার টিজার। মুক্তি পেয়েছে সিনেমার দুটি পোস্টারও। প্রথম পোস্টারে আলিয়ার ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিওয়াড়ি’ লুক ছিল কিছুটা আক্রমণাত্মক, কিছুটা খোলামেলা। আলিয়াকে লাল স্কার্ট ও নীল ব্লাউজ পরে থাকতে দেখা গিয়েছে। তার মাথায় বাঁধা দুটি বেনী। কপালে তার লাল টিপ। একহাতে পরা সবুজ কাঁচের চুরি। ছবিতে আলিয়া যে কিছুটা অল্প বয়সের গাঙ্গুবাঈয়ের বেশে ধরা দিয়েছেন তা ছবিতেই স্পষ্ট ছিল। দ্বিতীয় পোস্টারে এক্কেবারে মাফিয়া কুইনের বেশে ধরা দিয়েছেন আলিয়া। যে পোস্টারে কাজল কালো চোখ, ও কপালে লাল টিপে বেশ কঠিন রূপে ধরা দিয়েছেন অভিনেত্রী।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title