সদর হাসপাতালে দুই করোনা যোদ্ধা ডাঃ বিশ্বজিৎ ও লিপিকা

কে এম শহীদুল ইসলাম সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ জেলা ২৫০শয্যা সদর হাসপাতালে দুই করোন যোদ্ধা ডাঃ বিশ্বজিৎ গোলদার(সিনিয়র কনসালটেন্ট(সাজারী) ও জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) ডাঃ লিপিকা দাস। তাদের নিরলস সেবা মুগ্ধ হচ্ছেন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীও সাথে আসা স্বজনরা। করোনা ভাইরাস কোভিড-(১৯)এ যখন সারা বিশ্ব আক্রান্ত হয়ে দিশেহারা হয়ে উঠে তখন বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস আকার ধারণ করতে থাকে। যার প্রভাবে সুনামগঞ্জ জেলার মানুষেরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে থাকেন। ঠিক তখনি সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে মাঠে নেমে পড়েন স্বাস্থ্যকর্মী ডাক্তার,নার্স, পুলিশ প্রশাসন,সাংবাদিক,ও নেতাকর্মীরা। তারা মানুষের মধ্যে সচেতনতার জন্য স্বাস্থ্য বিধি নীতিমালা জনগনের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে। করোনা চিকিৎসা দিতে গিয়ে অনেক ডাক্তার প্রাণ হারিয়েছেন এ জেলায়। আক্রান্ত হয়েছেন শতশত পুলিশ, ডাক্তার ,নার্স,সাংবাদিকসহ নেতা কর্মীরা। এরই মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অনেক ডাক্তারসহ ও সাধারণ মানুষ। আক্রান্ত হতে থাকেন হাসপাতালের ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। করোনা ভাইরাসের ভয়ে অনেক ডাক্তার নার্স যখন রোগীদের সেবা প্রদান করতে হিমসিম খাচ্ছিলেন এবং ধরি মাস না ছই পানির মতো রোগীদের সেবা দিচ্ছিলেন। ঠিক তখনি দেখা যায় জেলা ২৫০সদর হাসপাতালে ডাক্তার বিশ্বজিৎ গোলদার ও ডাক্তার লিপিকা দাসের তেলেসমাতি।

প্রতিদিন হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শতশত রোগীদের নিরলস ভাবে সেবা প্রদান করছেন ঐ দুই ডাক্তার। হাসপাতালে ডাক্তার সংকটের মাঝে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাদের পাওয়া যায় রোগীদের সেবা দিতে । যেন মৃত্যুর কোন ভয় নেই ঐ দুই ডাক্তারের। করোনা কালিন সময়ে দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি হাসপাতালের ভিতরে গাইনী ওয়ার্ড ও ওপারেশন থিয়োটার্র এবং ইমার্জেন্সী ওয়ার্ড গুলি বেশি ঝুকি পূণ্য থাকে। যেখানে রোগীদের আগমন বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীরা সেখানে গেলে তাদের চিকিৎসা প্রদান করতে হয় ডাক্তরদের। হাসপাতালের অধিকাংশ ডাক্তার র্নাসরা যখন করোনা ভাইরাসের ভয়ে মৃত্যুকে ভয় পেয়ে পিছ পা হয়েছেন। ঠিক তখনও দেখা যায় মৃত্যুর ভয়কে পিছনে পেলে রোগীদের সেবা প্রদান করছেন গুটা কয়েক জন ডাক্তার ও নার্সরা। তাদের মধ্যে ডাঃ বিশ্বজিৎ গোলদার ও ডাঃ লিপিকা দাস অন্যতম অতুলনীয়। এছাড়াও ডাক্তার সৈকত দাসকে পাওয়া যায় রোগীদের সেবা প্রদানে প্রতিদিন হাসপাতালে। করোনা ভাইরাসকে জয় করে তারা রোগীদের মধ্যে সেবা প্রদান করে চলেছেন। যাদের মৃত্যুর কোন ভয় নেই সেবা প্রদান করে তারা নিজেদের মনে শান্তির প্রসাদ তৈরি করছেন মানুষের মধ্যে। অনুসন্ধাঁনে এমনটি জানা যায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কাছ থেকে। তাদের এমন নিরলস সেবা প্রদান অব্যাহত থাকবে এমটি প্রত্যাশা করেন সাধরণ মানুষ। জানা যায় প্রতিদিন বেলা ২টা পর্যন্ত রোগী দেখার কথা থাকলে ও তারা হাসপাতালে ৩টা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত রোগীদের সেবা প্রদান করে চলেছেন। এছাড়াও হাসপাতালে সিজার ও অপারেশন করতে হয় রোগীদের প্রতিদিন। যার কল নায়ক ডাক্তার বিশ্বজিৎ ও ডা: লিপিকা দাস। ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন তারা রোগীদের এমন নিরলস সেবা দিয়ে চলেছেন। যার ফলে মানুষের মাঝে ইতি মধ্যে করোনা কালিন সময়ে নায়ক নায়িকার স্থান করে নিয়েছেন তারা। তাদের সুনামের ধ্বণি শুনা যায় হাসপাতালে চার পাশে মানুষের কাছে । বাস্তবেও সেটি মেলে অনুসন্ধাঁনে তাদের এমন সেবা প্রদান অব্যাহত থাকবে সেটি প্রত্যাশা করেন সুনামগঞ্জবাসী।

জানেন হাসপাতালে অনেক ডাক্তার নার্স করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু আমরা করোনাকে যদি ভয় করি সাধারণ রোগীরা কোথায় যাবে এমনিতে হাসপাতালে ডাক্তার সংকট রয়েছে আমরা যারা কয়েক জন রয়েছি আমাদের উপর রোগীরা অনেক কিছু আশা করবে। রোগীদের সেবা প্রদানের কাজ করার জন্য ডাক্তার হয়েছি করোনাকে ভয় করে ঘরে বসে থাকলে চলবে না এ জেলার মানুষ করোনা আছে বলে তাদের মধ্যে নেই স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই মানুষ চলা ফেরায় লিপ্ত রয়েছেন। এরই মধ্যে আমরা রোগীদের সেবা দিচ্ছি প্রতিদিন গাইনী ওয়ার্ডে অন্তসত্তা গর্ভবর্তী মায়েরা আসেন তাদের মধ্যে সিজার ও ডেলীভারী রোগীরা আছেন তাদের সেবা দিচ্ছি, আউটডুরে রোগীদের সেবা দিচ্ছি, করোনা মহামারিতে রোগীদের সেবা প্রদান করে নিজের কাছে ভাল লাগছে । আমি সকলে কাছে দোয়া প্রার্থী যেন মরনের আগ মূহুর্ত পর্যন্ত রোগীদের সেবা প্রদান করতে পারি সেই প্রত্যাশা করি।

ডাঃ বিশ্বজিৎ গোলদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা যে দিন শপথ গ্রহন করে ডাক্তার হয়েছি সে দিন থেকে সৃষ্টি কর্তার কাছে বলেছি জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত যেন মানুষের সেবা প্রদান করতে পারি। করোনা ভাইরাসে আজ সারা বিশ্ব আতঙ্কিত হয়ে আছে আমি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষের দোয়ায় সুস্থ্য হয়েছি । মৃত্যুর সাধ একদিন সবাইকে পেতে হবে সেটি উপর ওয়ালার ইচ্ছা তাই মৃত্যুকে ভয় পেলে চলবে না রোগীদের সেবা প্রদান করাই আমাদের কাজ । আমরা যদি মৃত্যুকে ভয় করে ঘরে বসে থাকি রোগীরা কার কাছে যাবে তাই যতদিন বাঁচব রোগীদের সেবা প্রদান করে যেতে চাই সবার কাছে আমি দোয়া প্রর্থনা করি। এবং সবার কাছে অনুরোধ জানাই সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন সেই প্রত্যাশা করি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title