ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ডেঙ্গু আপডেট বাংলাদেশ: একদিনে ৩১৭ জন আক্রান্ত, নেই নতুন মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক: বাণিজ্য ও ভূরাজনীতি, গণতন্ত্র নয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির পথসভা: সীমান্ত আগ্রাসন মেনে নেওয়া হবে না বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়, শান্ত’র চোটে দুশ্চিন্তা ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’ যুক্তরাষ্ট্রে ঘোষণা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নির্মূল হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম আজকের আবহাওয়ার খবর: ঢাকায় মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টি সম্ভাবনা | ৫ জুলাই ২০২৫ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৩৮ নিহত, আহত ৬২৫ চুয়াডাঙ্গা ট্রেন লাইনচ্যুত: জীবননগরে মালবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় খুলনার রেল যোগাযোগ বন্ধ হিমাচল প্রদেশ বন্যা: ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসে ৬৩ জনের মৃত্যু

৯০ দিনের মধ্যে মৌলিক সেবাগুলো জনগণের দৌরগোড়ায় পোঁছায় সে চেষ্টা করবো

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মে ২০২০ ৯ বার পড়া হয়েছে

৯০ দিনের মধ্যে নাগরিকদের মৌলিক সুবিধা পৌঁছে দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সদ্য দায়িত্ব গ্রহণকারী মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

শনিবার (১৬ মে) বিকেল ৩টায় মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ কথা জানান।

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের ২৮টি মূল দায়িত্বসহ আরও অনেক কাজ রয়েছে। সিটি নির্বাচনের ইশতেহার অনুযায়ী আগামী ৯০ দিনের মধ্যে মৌলিক সেবাগুলো জনগণের দৌরগোড়ায় পোঁছায় সে চেষ্টা করবো। ২৮টি মৌলিক সেবার মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতি প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচটি সেবা নিশ্চিতের পরিকল্পনা করেছি। করোনা ভাইরাস বিষয়ে সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব নিশ্চিত করা ও জনস্বাস্থ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া, মশক নিধন, যানজট নিরসনের পরিকল্পনা, রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং আবর্জনা পরিষ্কার, দুর্নীতিমুক্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এসব বিষয়ে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে চাই। পর্যায়ক্রমে আমরা বাকি কাজগুলো অবশ্যই করবো।

তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাসের ফলে বিশ্বব্যাপী আমরা একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। আমাদের সাহসের সঙ্গে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমি সবার, ঢাকাবাসীসহ গণমাধ্যমের সকলের সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, করোনা মহামারির পাশাপাশি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বড় আকারের দেনা নিয়ে আমাকে যাত্রা শুরু করতে হচ্ছে। তবুও আমি আশাবাদী যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন একটা নব সূচনা করবে। নবযাত্রায় আমরা এগিয়ে যাবো। নাগরিকদের জন্য ভালো সেবা এবং সিটি করপোরেশনকে একটি সুষ্ঠু প্রতিষ্ঠানে দাঁড় করাতে পারবো। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দক্ষিণ সিটিতে যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে কীভাবে ঢাকাবাসীকে আরও ভালো স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব আমরা রোববার (১৭ মে) থেকেই সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।

মশক নিধনে ও বর্তমানে করোনা ভাইরাসের চ্যালেঞ্জ কীভাবে গ্রহণ করবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে মেয়র তাপস বলেন, মশক নিধনে পূর্বে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, তার কোনো সুফল আমরা ঢাকাবাসী পাইনি। দুর্নীতির কারণে মশা নিধনে আমরা অনেকাংশে সফলতা পাই না। তাই দুর্নীতি রোধে প্রথমেই আমাদের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। মশক নিধনের পরিকল্পনা পুরোটাই নতুন করে ঢেলে সাঁজাতে হবে। অন্যান্য দেশ যেভাবে মশা নিধনে সফল হয়েছে আমরা তাদের ফর্মুলা গ্রহণ করবো।

করোনা ভাইরাস মহামারি প্রতিরোধ বিষয়ে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস এ ব্যাধি থাকবে। এ ভাইরাস সম্পূর্ণরূপে নির্মূল নাও হতে পারে। সুতরাং আমাদের জীবন এবং জীবিকা দুটোই আরম্ভ করতে হবে। আমি মনে করি জীবন থাকলে জীবিকা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতায় নাগরিকদের সুস্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপকভাবে কার্যক্রম শুরু করতে চাই। অনেক দেশ করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে যেমন ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, হংকং, জাপান সাউথ কোরিয়া ও নিউজিল্যান্ড। যেসব দেশ করোনা প্রতিরোধে ভালো করেছে আমরা তাদের কার্যক্রম গ্রহণ করে করোনা মোকাবিলা করতে চাই।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৯০ দিনের মধ্যে মৌলিক সেবাগুলো জনগণের দৌরগোড়ায় পোঁছায় সে চেষ্টা করবো

আপডেট সময় : ০২:০০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মে ২০২০

৯০ দিনের মধ্যে নাগরিকদের মৌলিক সুবিধা পৌঁছে দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সদ্য দায়িত্ব গ্রহণকারী মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

শনিবার (১৬ মে) বিকেল ৩টায় মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ কথা জানান।

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের ২৮টি মূল দায়িত্বসহ আরও অনেক কাজ রয়েছে। সিটি নির্বাচনের ইশতেহার অনুযায়ী আগামী ৯০ দিনের মধ্যে মৌলিক সেবাগুলো জনগণের দৌরগোড়ায় পোঁছায় সে চেষ্টা করবো। ২৮টি মৌলিক সেবার মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতি প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচটি সেবা নিশ্চিতের পরিকল্পনা করেছি। করোনা ভাইরাস বিষয়ে সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব নিশ্চিত করা ও জনস্বাস্থ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া, মশক নিধন, যানজট নিরসনের পরিকল্পনা, রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং আবর্জনা পরিষ্কার, দুর্নীতিমুক্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এসব বিষয়ে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে চাই। পর্যায়ক্রমে আমরা বাকি কাজগুলো অবশ্যই করবো।

তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাসের ফলে বিশ্বব্যাপী আমরা একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। আমাদের সাহসের সঙ্গে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমি সবার, ঢাকাবাসীসহ গণমাধ্যমের সকলের সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, করোনা মহামারির পাশাপাশি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বড় আকারের দেনা নিয়ে আমাকে যাত্রা শুরু করতে হচ্ছে। তবুও আমি আশাবাদী যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন একটা নব সূচনা করবে। নবযাত্রায় আমরা এগিয়ে যাবো। নাগরিকদের জন্য ভালো সেবা এবং সিটি করপোরেশনকে একটি সুষ্ঠু প্রতিষ্ঠানে দাঁড় করাতে পারবো। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দক্ষিণ সিটিতে যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে কীভাবে ঢাকাবাসীকে আরও ভালো স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব আমরা রোববার (১৭ মে) থেকেই সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।

মশক নিধনে ও বর্তমানে করোনা ভাইরাসের চ্যালেঞ্জ কীভাবে গ্রহণ করবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে মেয়র তাপস বলেন, মশক নিধনে পূর্বে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, তার কোনো সুফল আমরা ঢাকাবাসী পাইনি। দুর্নীতির কারণে মশা নিধনে আমরা অনেকাংশে সফলতা পাই না। তাই দুর্নীতি রোধে প্রথমেই আমাদের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। মশক নিধনের পরিকল্পনা পুরোটাই নতুন করে ঢেলে সাঁজাতে হবে। অন্যান্য দেশ যেভাবে মশা নিধনে সফল হয়েছে আমরা তাদের ফর্মুলা গ্রহণ করবো।

করোনা ভাইরাস মহামারি প্রতিরোধ বিষয়ে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস এ ব্যাধি থাকবে। এ ভাইরাস সম্পূর্ণরূপে নির্মূল নাও হতে পারে। সুতরাং আমাদের জীবন এবং জীবিকা দুটোই আরম্ভ করতে হবে। আমি মনে করি জীবন থাকলে জীবিকা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতায় নাগরিকদের সুস্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপকভাবে কার্যক্রম শুরু করতে চাই। অনেক দেশ করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে যেমন ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, হংকং, জাপান সাউথ কোরিয়া ও নিউজিল্যান্ড। যেসব দেশ করোনা প্রতিরোধে ভালো করেছে আমরা তাদের কার্যক্রম গ্রহণ করে করোনা মোকাবিলা করতে চাই।