নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা। যা ‘কোরবানির ঈদ’ নামেও পরিচিত। মুসলমানদের অন্যতম এই প্রধান ধর্মীয় উৎসবে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ে পশু কোরবানি দেবেন। বিশ্বের মুসলমানরা ১০ জিলহজ পশু কোরবানি করে থাকেন। তবে ১১ ও ১২ জিলহজও পশু কোরবানি করার বিধান রয়েছে। কিন্তু চলমান করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বন্যার কারণে ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহার আনন্দও অনেকটাই ম্লান।
এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ঈদুল ফিতরের মতো এবারও ঈদগাহ মাঠ বা উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। ফলে রাজধানীসহ সারা দেশের মসজিদগুলোতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ঈদের নামাজ পড়তে হবে। নামাজ শেষে কারও সঙ্গে কোলাকুলি বা হাত মেলানো যাবে না।
আজ সকালে মুসল্লিরা নিকটস্থ মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার ঈদগাহের পরিবর্তে শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত। ফলে রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণের জাতীয় ঈদগাহেও ঈদের প্রধান জামাত হবে না। কেন্দ্রীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের ৬টি জামাত। কেবল জাতীয় ঈদগাহ নয়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের যে কোনো ঈদগাহ কিংবা খোলা ময়দানে ঈদের জামাতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পরিবর্তে মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করতে বলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।