তিস্তার অব্যহত ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে চর গোকুন্ডা গ্রাম

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা তীরবর্তি বিভিন্ন স্থানে নতী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তিস্তার গর্ভে চলে যাচ্ছে ফসলি জমি, বসতভিটা ও গাছপালা। অব্যহত ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে চর গোকুন্ডা গ্রাম।

অভিযোগ উঠেছে, জিও-ব্যাগে বালু ভরাট করে ওই চালু ভাঙন এলাকায় ফেলানোর কথা বলে তিস্তা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। এ কারণে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় এখানে ভাঙন তীব্র হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন অনেকে।
ভাঙনের শিকার চর গোকুন্ডা মানুষগুলো ‘বসতভিটা, আবাদি জমি ও বেঁচে থাকার অবলম্বন হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন সরকারি রাস্তায় ও অন্যের জমিতে। অনেকে গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন অজানা ঠিকানায়।

ভাঙনের শিকার চর গোকুন্ডা গ্রামের কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৫) বলেন, গত পাঁচ দিনে প্রায় ৫০টি বসতভিটা ও কয়েকশ বিঘা আবাদি জমি তিস্তার গর্ভে বিলীন হয়েছে। এর আগে গত দুই মাসে তিস্তার গর্ভে বিলীন হয়েছে আরও ৬০টি বসতভিটা ও বিপুল পরিমান আবাদি জমি।
ভাঙনের শিকার একই গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম (৪৮) বলেন, ভাঙন অব্যহত থাকায় দিন দিন ছোট হয়ে আসছে চর গোকুন্ডা গ্রাম। অবশিষ্ট রয়েছে আর মাত্র কয়েকটি বসতিভটা। সেগুলোও রয়েছে ভাঙনের হুমকিতে।

একই গ্রামের কৃষক আমিনুল আসলামের (৪৮) অভিযোগ, ভাঙন ঠেকাতে একমাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৬৭ লাখ টাকা খরচে ১৪ হাজার ৭৫০টি জিও-ব্যাগ ডাম্পিং করার কাজ হাতে নেয়। কিন্তু, কাজে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ সময়মতো শেষ না করায় চর গোকুন্ডায় তিস্তার ভাঙন থামছে না। একের পর এক বসতভিটা ও আবাদি জমি হারিয়ে আমরা নিশ^ হয়ে যাচ্ছি।

এব্যাপারে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, রাজনৈতিক প্রভাবে একটি কাজ ৫জন ঠিকাদার ভাগ করে নিয়ে করছেন। আর এ কারণেই কাজের গতি কম। ঠিকাদারদের বারবার তাগিদ দেওয়া হলেও তারা কর্ণপাত করছেন না। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জিও- ব্যাগ প্রস্তুত করে তা ডাম্পিং করা না হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলেও তিনি জানান।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title