নির্বাচনী প্রচারণা: রাজধানীর চারদিকে শুধু নৌকা আর নৌকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহন করলেও  সর্বত্রই ঝুলছে নৌকার প্রার্থীদের পোস্টার। নৌকার পোস্টার ছাপিয়ে স্বতন্ত্র বা অন্য দলের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা খুব কমই দেখা যাচ্ছে।

ঢাকা-৬ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাঈদ খোকন মঙ্গলবার বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে পুরান ঢাকাসহ তার নির্বাচনী এলাকায় শোভাযাত্রা করেন। এসময় তাকে হাতির পিঠে চড়ে সড়ক প্রদক্ষিণ করতে দেখা যায়।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। এরইমধ্যে নির্বাচনী আমেজ বইতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকার রাস্তাঘাটে।

মোহাম্মদপুর এলাকার অলিগলিতে হাঁটলেই চোখে পড়ছে চারদিকে ঝুলিয়ে রাখা সাদাকালো পোস্টার। আসন্ন নির্বাচনের প্রচারণা যে শুরু হয়ে গেছে, তা মোহাম্মদপুরের এই অলিগলির রাস্তার সাজসজ্জাতেই বোঝা যাচ্ছে। তবে সকল পোস্টারই আওয়ামী লীগ মনোনীত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের নৌকার পোস্টার। অন্যকোনো পোস্টার চোখে পড়ে না এ এলাকায়।

মগবাজার এলাকায় ঘুরেও মাথার ওপরে ঝুলতে দেখা গেছে শুধু নৌকারই পোস্টার। সংসদীয় আসন ঢাকা-১২ থেকে নৌকার প্রার্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের পোস্টারেই ছেয়ে গেছে তার সংসদীয় আসন।

শুধু রাজধানীর এই দুই এলাকাই নয়– ঢাকাসহ সারাদেশের প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের পরই ঝুলিয়েছেন তাদের পোস্টার। নৌকার পোস্টারে সারাদেশ ছেয়ে গেলেও অন্য দলের কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পোস্টার ও প্রচারণা তেমনটি চোখে পড়েনি।

চট্টগ্রাম-৭ সংসদীয় আসনের (রাঙ্গুনিয়া) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদের এলাকা ইছাখালীর রাঙ্গুনিয়াও সেজেছে নৌকার পোস্টারে।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই প্রচারে নেমেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা। তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল না থাকায় নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ছাড়া অন্য কারও কার্যক্রম চোখে পড়ছে না খুব একটা।

বিএনপিবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টিসহ ৪টি দলের আসন সমঝোতার পরে বাকি ২২টি দলের প্রার্থীরা এক প্রকার আনুষ্ঠানিতার জন্যই নির্বাচনে আছেন– এমনটিই বলছেন বেশ কয়েকটি দলের নেতারা। তাই অন্য দলগুলোর দাবি– ‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যেখানে জয় নিশ্চিত, সেখানে আমরা এতো খরচ করে প্রচারণা করতে চাই না’। কিছু কিছু প্রার্থী আগামী ১-২ দিনে প্রচারণা ও পোস্টার ঝোলাবেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সমর্থকরা বলছেন, নির্বাচনের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকা মানেই নির্বাচন উৎসবমুখর হওয়া। নৌকার প্রচারণায় তারা পোস্টারিংসহ জনসভা করতে সবার থেকে এগিয়ে থাকতে চান।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title