পীরগঞ্জে প্রভাষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ-প্রভাষক সাময়িক বরখাস্ত

পীরগঞ্জ,(রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের পীরগঞ্জে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের এক কলেজ প্রভাষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠায়, কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই প্রভাষক কে বরখাস্ত করেছে। পীরগঞ্জ সরকারি শাহ আব্দুর রউফ কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই প্রভাষক কে সাময়িক বরখাস্তসহ চুড়ান্ত বরখাস্তর জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তার যাবতীয় কাগজপত্র প্রেরণ করেছে। অভিযোগে জানা যায়, কলেজ মোড়ের সাবেক এক প্রভাষকের বিধবা স্ত্রীকে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করতো ওই প্রভাষক। সূত্র জানায়, ঘটনার দিন ৬ মে, রাতে ওই প্রভাষক প্রাচীর টপকে ওই বিধবার কক্ষে প্রবেশ করে মোবাইল রিসিভ না ধরার অভিযোগে এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করতে থাকে। মারপিট নির্যাতনের এক পর্যায়ে বিধবার আত্মচিৎকারে তার দুই ছেলেসহ আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে এবং প্রভাষককে গনধোলাই দেয়। এদিকে গত ৭ মে ভিকটিম এবং এলাকার জনৈক ব্যক্তি উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কলেজের অধ্যক্ষ রাশেদুনব্বী ওই কলেজের ভাইস পিন্সিপাল শহিদুল ইসলাম পাশাকে আহবায়ক করে উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বেলায়েত হোসেন ও ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান লুৎফর রহমান লেবু’র সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ জানান তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জানা গেছে সাবেক (মৃত) প্রভাষক এর স্ত্রী”র সাথে প্রভাষক শহিদুল ইসলামের যে ঘটনাটি ঘটেছে এটি প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রমাণিত হওয়ায় বিধি মোতাবেক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদন্ত সাপেক্ষে চূড়ান্ত ভাবে বরখাস্তের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান ভাইস পিন্সিপাল শহিদুল ইসলাম বলেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা প্রভাষক শহীদুল ইসলাম সাহেবকে নোটিশ করলে তিনি ৩ দিন অতিবাহিত করার পর নোটিশ গ্রহণ করেন। কৌশলে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন এবং ডাক মারফত ১৫ দিনের ছুটির আবেদন পাঠান। অদ্যাবধি তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কোনরূপ সাক্ষাৎ করেননি। তদন্তের বিষয়ে তিনি জানান সরেজমিন তদন্ত করতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এবং লিখিত ভাবে এর প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। কলেজ পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টি এম এ মমিন জানান, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ওই প্রভাষকের নারী নির্যাতন বিষয়ে আনীত ঐ অভিযোগটি সন্দেহাতিত ভাবে সত্য প্রমাণীত হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক (১৬ ধারার” ছ” অনুচ্ছেদে বণিত নির্দেশনাবলি, চাকুরী বিধি) এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক গত ১১ মে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনায় ২ জনের দুটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি মাঠপর্যায়ে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। অভিযুক্ত শহীদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। কোনো একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। জানাগেছে অভিযুক্ত শিক্ষক পীরগঞ্জ উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মৃত মহর উদ্দিন সরকারের ছেলে। বিবাহিত জীবনে তিনি এক সন্তানের জনক। শিক্ষক শহীদুল উক্ত কলেজে ১৯৯৬ ইং সালের ২৮ জুন চাকুরীতে যোগদান করেছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title