ফরিদপুর সদরপুরে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাউল বিক্রির অনিয়মে ডিলারের কারাদণ্ড

ফরিদপুর ::  সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারি করে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রির অভিযোগে ফরিদপুরের সদরপুরে চরনাছিরপুর ইউনিয়নের ডিলার ও সাবেক ইউপি সদস্যকে আজ বুধবার কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত । হতদরিদ্র কার্ডধারীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে ডিলার মোঃ করিম মোল্লা চাউল বিক্রি করছেন এমন অভিযোগ পেয়ে উপজেলার চরনাছিরপুর ইউনিয়নের প্রত্যান্ত দুর্গম চরাঞ্চলের শিমুলতুলী বাজারে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী হাকিম পূরবী গোলদার।

ভুক্তভোগীদের স্বাক্ষী ও অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযুক্ত ডিলার করিম মোল্লাকে আটক করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪০ ধারায় করে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন আদালতের হাকিম পূরবী গোলদার।

জানা গেছে, হতদরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৭৮ বস্তা চাউলের মধ্যে ১৭৮ বস্তা চাউল অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করে। বুধবার সকালে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর জন কার্ডধারীদের নিকট থেকে ৩০কেজি চাউল বিক্রির নির্দেশনা থাক্লেও তিনশত টাকার জায়গায় ৩২০টাকা করে বিক্রি করছেন স্থানীয় হতদরিদ্রদের অনেকেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে মুঠোফোনে জানায়।

অতিরিক্ত টাঁকা নিয়ে চাল বিক্রয় করছেন একাধিক অভিযোগ পেয়ে প্রত্যান্ত দুর্গম অঞ্চলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার। ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে চালের ডিলার সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ করিম মোল্লা নিজের অপরাধ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে কারাদন্ড দেন। পরে তাকে ফরিদপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূরবী গোলদার বলেন, করোনা ভাইরাসে হতদরিদ্রদের জন্য ওএমএস ১০টাকা কেজি চাউল বিক্রি হচ্ছে। আমাদের প্রতিটি ইউনিয়নে এ কার্যক্রম চলমান আছে। ওই ইউনিয়ন থেকে হতদরিদ্রদের নিকট অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি হতদরিদ্ররা আমাকে মুঠোফোনে জানান। ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title