বগুড়ায় ছাত্রলীগ নেতা তাকবির হত্যা : ৩ আসামি কারাগারে

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় ছাত্রলীগ নেতা তাকবির ইসলাম খান হত্যা মামলায় পলাতক থাকার পর আদালতে আত্মসমর্পণ করা তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আসামিরা হলেন জাহিদ হাসান, বিধান চন্দ্র মোহন্ত ও মোহাম্মদ নিশাদ।

৩১ মে সোমবার বিকেলে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ শাহরিয়ার তারিক এ আদেশ দেন বলে আসামিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল মালেক বলেন, ওই তিনজন পলাতক থাকা অবস্থায় গোপনে উপস্থিত হয়ে আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান।
তিনি আরও বলেন, তাকবির হত্যা মামলার প্রধান আসামি বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। সে এখনো গ্রেফতার এড়িয়ে পলাতক রয়েছে। তার বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায় বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যাচ্ছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন আব্দুর রউফ ও তাকবির ইসলাম। তারা সবাই মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন। যাবার পথে গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে সেখানে তাকবিরের মোটরসাইকেলের সঙ্গে আব্দুর রউফের সমর্থক জাহিদ হাসানের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে জাহিদের পক্ষ নিয়ে এগিয়ে আসে আব্দুর রউফ। ওই সময় সভাপতি তিতাস ও সাধারণ সম্পাদক অসীম তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার মিমাংসা করে দেয়। ওইদিন সন্ধ্যায় রউফ তার সহযোগীদের নিয়ে তাকবীর এবং তার সহযোগীদের উপর হামলা করে এবং ছুরিকাঘাত করে। পরে ১৬ মার্চ বিকেল ৩টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকবির মারা যায়। মারা যাবার আগে তাকবির তাকে ছুরিকাঘাত এবং হামলার জন্য আব্দুর রউফকে দায়ী করে একটি ভিডিওবার্তা দেয়।
হত্যার ঘটনায় তাকবিরের মা আফরোজা ইসলাম সদর থানায় সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফকে প্রধান আসামি, জাহিদ হাসান, আনোয়ার হোসেন, মো. তারেক, বিধান চন্দ্র মোহন্ত, মো. নিশাদ ও মো. আরমান সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title