বগুড়ায় শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোট গ্রহন চলছে ,কাউন্সিলর প্রার্থীকে জরিমানা

বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোট গ্রহন চলছে। তবে ভোট কেন্দ্রের সামনে প্রচার চালানোর দায়ে ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুর রহিমকে ১০ হাজার টাকার জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২৮ ফেব্রæয়ারি রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের সিটি স্কুল কেন্দ্রের সামনে ভ্রাম্যমান আদাল পরিচালনা করেন গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওনক জাহান এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের ঠনঠনিয়া মডেল সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিয়ম বহির্ভূতভাবে যাতায়াত করার অপরাধে আবু হাসান (৪৫) নামে ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোস্তাকিম রহমানের এজেন্টকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সময়ে ওই কেন্দ্রের সামনে দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন শাজাহানপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিক খান এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ওই আদালত পরিচালনা করেন।
রোববার সকাল ৮টা থেকে বগুড়া পৌরসভার ১১৩টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। কেন্দ্রগুলোতে পুরুষদের চেয়ে নারীদের উপস্থিতি বেশি। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দেওয়া হিসাব মতে দুপুর ১টা পর্যন্ত গড়ে ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।

দেশের বৃহত্তম বগুড়ার পৌরসভার আয়তনের দিকে প্রায় ৭০ বর্গ কিলোমিটারে মোট ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭০জন। মেয়র পদে ৪ জন এবং ২১ টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩০ জন এবং ৭টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে আরও ৫০ জন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আনসার, পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া যে কোন ধরনের অনিয়ম রুখতে ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ২৭ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডসহ ৮টি ওয়ার্ডের ৬০টি কেন্দ্রে ক্লোজ সার্কিট(সিসিটিভি) ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। এখন পর্যন্ত কোন কেন্দ্র থেকে একটি অভিযোগও আসেনি।
বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ্ জানান, সবগুলো কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
ইভিএমে ভোট গ্রহন নিয়ে বলেন, ‘ভোটারদের আইডি কার্ডের নম্বর দেখে একবার ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে ভোট গ্রহণ করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বলা হয়েছিল। কিন্তু অনেক কেন্দে ভোটারদের দু’বার করে ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া হচ্ছে। যে কারণে ভোট গ্রহনে মন্থর গতি হচ্ছে বলে দাবী করেন ওই রির্টানিং কর্মকর্তা।

দীপক কুমার সরকার
বগুড়া প্রতিনিধি

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title