বাংলাদেশেরএভিয়েশন শিল্পে কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করতে চায় জার্মানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করতে চায় জার্মানি।

সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার (Achim Troster) জার্মানির এই আগ্রহের কথা জানান।

রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, অর্থনৈতিক,কারিগরি এবং প্রশিক্ষণের বিষয়ে আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে একত্রে কাজ করছি। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে আমরা কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করতে চাই। এই খাতে দক্ষ টেকনিক্যাল স্টাফ তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়টিও আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে। সরকার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাকে তরান্বিত করতে আমরা বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের ‘মর্ডান লজিস্টিক পার্টনার’ হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী।

এসময় জার্মানির রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা এবং সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ প্রদানের জন্য অভ্যন্তরীণ পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশী পর্যটক আকর্ষণে বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কেও জানতে চান।

প্রত্যুত্তরে মন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের প্রবৃদ্ধি হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এই শিল্পের যথাযথ বিকাশ এবং উন্নয়নে বর্তমান সরকার গুরুত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরে জার্মানির কারিগরি সহযোগিতা পাওয়ার প্রস্তাব আনন্দের। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো আলোচনা সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের বিকাশেও সরকার আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। সরকারের গৃহীত নানা ব্যবস্থার ফলে ইতিমধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বিদেশি পর্যটক আকর্ষণের জন্য আমরা বিশেষ পর্যটন অঞ্চল নির্মাণ, ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকে নিয়ে পর্যটন সার্কিট তৈরি সহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করছি। এছাড়া ইতোমধ্যেই পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। এবছরই এই মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে। আশাকরি, এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title