৩টি দিক থেকে ভাঙ্গায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন

- আপডেট সময় : ০৬:৩৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫ ৩ বার পড়া হয়েছে
ভাঙ্গায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন হয়েছে “কৃষিই সমৃদ্ধি, দেশী ফল বেশী খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে। ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে এই ফল উৎসব। এ আয়োজন স্থানীয় কৃষকদের উৎসাহিত করবে দেশীয় ফল চাষে এবং জনসচেতনতা বাড়াবে পুষ্টিকর ফল খাওয়ার বিষয়ে।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
প্রশাসনিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতি
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ কৃষি অফিস সংলগ্ন চত্বরে মেলার উদ্বোধন করেন ভাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেশকাতুল জান্নাত রাবেয়া। তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “দেশীয় ফলের চাষ ও খাওয়ার প্রতি গুরুত্ব বাড়াতে এমন আয়োজন খুবই প্রশংসনীয়।”
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ
উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন:
-
ভাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোল্লা আল মামুন
-
নির্বাচন অফিসার মো. হাচেন উদদীন
-
সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ মোমিনুর রহমান
-
পৌর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কাওসার মাতুব্বর
-
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন
-
সাংবাদিক সরোয়ার হোসেন, এটিএম ফরহাদ নাননু, ও মামুনুর রশীদ
জাতীয় ফল মেলায় কী থাকছে?
দেশীয় ফলের প্রদর্শনী
ভাঙ্গায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির ফলের প্রদর্শনী রাখা হয়েছে। আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, জামরুলসহ বিভিন্ন মৌসুমি ও বারোমাসি ফল উপস্থাপন করা হচ্ছে।
ফলের গুণাগুণ ও সচেতনতা
প্রত্যেক ফলের পুষ্টিগুণ, চাষের উপযোগিতা ও স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে তথ্যপত্র ও প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে দর্শনার্থীদের জানানো হচ্ছে। এতে কৃষক এবং সাধারণ মানুষ ফল চাষ ও সঠিকভাবে ফল সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতন হচ্ছেন।
ফল চাষে আগ্রহ বাড়াতে এই মেলা
ভাঙ্গায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি একটি সচেতনতামূলক উদ্যোগ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২১ জুন পর্যন্ত এই মেলা চলবে। কৃষি অফিস আশা করছে, এই আয়োজনের মাধ্যমে এলাকার আরও বেশি মানুষ ফল চাষে উদ্বুদ্ধ হবেন।
এই ধরনের আয়োজন বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ ও উৎসাহ থেকে বোঝা যায়, ভাঙ্গায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন নিঃসন্দেহে একটি সফল উদ্যোগ। দেশের প্রতিটি উপজেলায় এমন আয়োজন হলে কৃষি খাত আরও সমৃদ্ধ হবে এবং দেশীয় ফলের চাহিদাও বাড়বে।