মোস্তফা জামান বিএনপি বক্তব্য: শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার রাজনীতি ছিল ত্যাগের প্রতীক

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান বলেছেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া ত্যাগের প্রতীক হয়ে আছেন। তাঁদের ছাড়া দেশের রাজনীতিতে আর কেউ নিঃস্বার্থভাবে দেশের জন্য কাজ করেনি।”

তিনি এসব কথা বলেন রবিবার রাতে রাজধানীর উত্তরার রেলগেট কাঁচাবাজারে আয়োজিত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের বিপুল উপস্থিতিতে মোস্তফা জামান বলেন, “মোস্তফা জামান বিএনপি বক্তব্য শুধু বক্তব্য নয়, ইতিহাসের দৃষ্টিভঙ্গি। এই জাতিকে বারবার যারা পথ দেখিয়েছেন, তাঁদের স্মরণ করা আমাদের কর্তব্য।”

তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় শহীদ জিয়াউর রহমান সেনা সদস্য ছিলেন। নিজের পরিবারকে অনিরাপদ অবস্থায় রেখে দেশের জন্য স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এমন সাহসিকতা ও দেশপ্রেম নজিরবিহীন।”

তিন বছর ক্ষমতায় থেকেও জিয়াউর রহমান কোনো আত্মীয়স্বজনকে রাজনৈতিক পদে বসাননি বলে জানান তিনি। “শেখ হাসিনার মত পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাস করেননি তিনি,” — বলেন মোস্তফা জামান।

মোস্তফা জামান বিএনপি বক্তব্য-এ উঠে আসে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার সংগ্রামের কথা। তিনি বলেন, “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বারবার জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমেছেন খালেদা জিয়া। তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এটি ইতিহাস।”

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বিএনপির কিছু সদস্যের কারণে আজ দল বদনামের শিকার হচ্ছে। যারা আওয়ামী লীগের দালালি করছে, তাদেরকে চিনে রাখা দরকার।” তিনি স্পষ্ট জানান, বিএনপিতে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও আওয়ামী লীগপন্থীদের ঠাঁই নেই।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হেলাল তালুকদার। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ বি এম রাজ্জাক, আফাজ উদ্দিন আফাজ এবং বিভিন্ন থানার নেতৃবৃন্দ।

তিনি বলেন, “এই উপমহাদেশে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মতো দেশপ্রেমিক নেতা আর নেই। তাঁর আদর্শ অনুসরণ করলে আমরা ভয়হীন হতে পারি। তরুণ প্রজন্মকে তার আত্মত্যাগ জানা উচিত।”