ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তুলা চাষে লাভবান কৃষক

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫ বার পড়া হয়েছে

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তুলা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। নদীর ধারে অনাবাদী জমিতে এক সময় তামাকের চাষ হতো। তামাক চাষে স্বাস্থ্য ঝুকি থাকায় ও কম খরচে তুলা চাষে বেশী লাভবান হওয়ায় তুলা চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষক। তুলার বীজ থেকে তৈল ও খৈল পাওয়া যায় । এছাড়া শুকনো তুলা গাছ কৃষক জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করে। তুলা চাষের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া,শিম,বরবটি,মরিচ,ভূট্টা,লাল শাক,পুঁইশাক সহ বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করে কৃষক বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করতে পারছে।

বিঘা প্রতি তুলা উৎপাদন খরচ ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা । প্রতি বিঘাতে তুলা উৎপাদন হয় প্রায় ১২ থেকে ১৪ মণ। প্রতি মণ তুলার মূল্য গত বছর পঁচিশ শত টাকা ছিলো। এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করছে স্থানীয় কৃষকরা। উৎপাদিত তুলা বিক্রি করতে কৃষককে কোন বেগ পেতে হয় না। চাষ থেকে বিপণন পর্যন্ত তাদের কে সকল সহযোগীতা করছে তুলা উন্নয়ন বোর্ড ।

পুখুরিয়া গ্রামের তুলা চাষী মো.আবুল হোসেন বলেন, জমিতে তামাক চাষ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া কম খরচে তুলা চাষে বেশী লাভবান হওয়ায় যায়। তুলার মরা গাছ জ্বালানী হিসেবে আমরা ব্যবহার করি ও চাষের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া,শিম,বরবটি,মরিচ,ভূট্টা,লাল শাক,পুঁইশাক সহ বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করে বাড়তি টাকা পাই। আগামী বছর অন্যান্য জমিতেও তুলা চাষ করার চেষ্টা করব।

পাকুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নে বাণিজ্যিক ভাবে প্রায় পাঁচশত বিঘা জমিতে এ বছর তুলা চাষ হচ্ছে। আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস তুলা চাষের উপযোগী সময়। বন্যায় পানি উঠে না এমন জমি তুলা চাষের উপযোগী। আন্তপরিচর্যার মধ্যে চারা পাতলাকরণ,আগাছা দমন ,ডগা কর্তন ও তুলার রোগ দমন সহ কিছু সাধারণ প্রক্রিয়া। লাভজনক ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় দিনদিন কৃষক তুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশে তুলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ত্রিশ লাখ বেল তুলার চাহিদা থাকলেও উৎপাদিত হচ্ছে মাত্র এক লাখ বেল। যা চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। আর এ চাহিদা মেটাতে তুলা আমদানি করতে হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ড দেশের আবহাওয়া-জলবায়ু উপযোগী বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল তুলা নিয়ে নিবিড় গবেষণা করছে। তুলার কাংক্ষিত উৎপাদন পেতে আমরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। অর্থকরী ফসল হিসাবে তুলা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তামাকের আগ্রাসন থেকে এ অঞ্চলকে মুক্ত করতে পারলে বিকল্প ফসল হতে পারে এই তুলা।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তুলা চাষে লাভবান কৃষক

আপডেট সময় : ০১:০২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তুলা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। নদীর ধারে অনাবাদী জমিতে এক সময় তামাকের চাষ হতো। তামাক চাষে স্বাস্থ্য ঝুকি থাকায় ও কম খরচে তুলা চাষে বেশী লাভবান হওয়ায় তুলা চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষক। তুলার বীজ থেকে তৈল ও খৈল পাওয়া যায় । এছাড়া শুকনো তুলা গাছ কৃষক জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করে। তুলা চাষের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া,শিম,বরবটি,মরিচ,ভূট্টা,লাল শাক,পুঁইশাক সহ বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করে কৃষক বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করতে পারছে।

বিঘা প্রতি তুলা উৎপাদন খরচ ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা । প্রতি বিঘাতে তুলা উৎপাদন হয় প্রায় ১২ থেকে ১৪ মণ। প্রতি মণ তুলার মূল্য গত বছর পঁচিশ শত টাকা ছিলো। এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করছে স্থানীয় কৃষকরা। উৎপাদিত তুলা বিক্রি করতে কৃষককে কোন বেগ পেতে হয় না। চাষ থেকে বিপণন পর্যন্ত তাদের কে সকল সহযোগীতা করছে তুলা উন্নয়ন বোর্ড ।

পুখুরিয়া গ্রামের তুলা চাষী মো.আবুল হোসেন বলেন, জমিতে তামাক চাষ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া কম খরচে তুলা চাষে বেশী লাভবান হওয়ায় যায়। তুলার মরা গাছ জ্বালানী হিসেবে আমরা ব্যবহার করি ও চাষের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া,শিম,বরবটি,মরিচ,ভূট্টা,লাল শাক,পুঁইশাক সহ বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করে বাড়তি টাকা পাই। আগামী বছর অন্যান্য জমিতেও তুলা চাষ করার চেষ্টা করব।

পাকুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নে বাণিজ্যিক ভাবে প্রায় পাঁচশত বিঘা জমিতে এ বছর তুলা চাষ হচ্ছে। আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস তুলা চাষের উপযোগী সময়। বন্যায় পানি উঠে না এমন জমি তুলা চাষের উপযোগী। আন্তপরিচর্যার মধ্যে চারা পাতলাকরণ,আগাছা দমন ,ডগা কর্তন ও তুলার রোগ দমন সহ কিছু সাধারণ প্রক্রিয়া। লাভজনক ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় দিনদিন কৃষক তুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশে তুলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ত্রিশ লাখ বেল তুলার চাহিদা থাকলেও উৎপাদিত হচ্ছে মাত্র এক লাখ বেল। যা চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। আর এ চাহিদা মেটাতে তুলা আমদানি করতে হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ড দেশের আবহাওয়া-জলবায়ু উপযোগী বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল তুলা নিয়ে নিবিড় গবেষণা করছে। তুলার কাংক্ষিত উৎপাদন পেতে আমরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। অর্থকরী ফসল হিসাবে তুলা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তামাকের আগ্রাসন থেকে এ অঞ্চলকে মুক্ত করতে পারলে বিকল্প ফসল হতে পারে এই তুলা।