ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ25 ওসিকে ডাকাতদলের সর্দার বললেন বিএনপি নেতা25 ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যবই ছাপায় নিম্নমানের কাগজ ব্যবহৃত হয়েছে25 মোস্তফা জামান বিএনপি বক্তব্য: শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার রাজনীতি ছিল ত্যাগের প্রতীক এবি পার্টি ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৫ শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে এক দিনে ৯ জনের করোনা শনাক্ত25 পঞ্চগড় সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত25 বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত পরিচয়পত্র আলজেরিয়া25 হঠাৎ উত্তপ্ত প্রেস ক্লাব, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পুলিশের ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠকে রাজনীতিতে স্বস্তির পরিবেশ ফিরেছে

মোটরসাইকেল চুরির শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলে এই চক্র

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩ ৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন পেশার আড়ালে মোটরসাইকেল চুরির শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলে একটি চক্র। তারা দিনের বেলা রাস্তা-ঘাটে মোটরসাইকেল চুরির জন্য টার্গেট করত। এরপর পিছু নিয়ে রেকি করে ওই মোটরসাইকেলটির অবস্থান, গ্যারেজ ও বাসা শনাক্ত করত। পরে সময়-সুযোগ বুঝে তালা ভাঙা ও কাটার যন্ত্রপাতিসহ রেকি করে ওই স্থানে অবস্থান নিত। রাতের আঁধারে মোটরসাইকেলটি চুরি করে পালিয়ে যেত। শুধু তাই নয়, চোরাই গাড়িটি চক্রের গোপন গ্যারেজে নিয়ে রঙ, ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর পরিবর্তন করত। সেই সঙ্গে বিআরটিএর দালালের মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সেগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করত। এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩। শুক্রবার পৃথক অভিযান চালিয়ে যশোর জেলার কোতোয়ালি থানা ও রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি চোরাই মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চোর চক্রের অন্যতম মূলহোতা সৈয়দ মাহামুদ হাসান (৩৭) এবং তার প্রধান দুই সহযোগী মিরাজ হোসেন (৩২) ও মো. আল আমিন (৪৩)। তারা রঙমিস্ত্রী, গাড়ির চালকসহ বিভিন্ন পরিচয়ে বাইরে চললেও গাড়ি চুরিই ছিল তাদের প্রধান কাজ।

শনিবার রাজধানীর টিকাটুলীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, গত ২৯ এপ্রিল রাজধানীর সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা ওমর ফারুকের বাসার গ্যারেজ থেকে গভীর রাতে চোর চক্রের সদস্যরা দুটি অ্যাপাচি-ফোর ভি মোটরসাইকেল তালা ভেঙে নিয়ে যায়। পরদিন মালিকরা তাদের মোটরসাইকেলগুলো খুঁজে না পেয়ে সবুজবাগ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লে­খ করে মামলা করেন। বিষয়টি র‌্যাবের কাছে এলে সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সন্ধান পায়। চক্রটি কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেফতারদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে বিআরটিএর সুজন নামে একজন দালালের নাম উঠে আসে। সেও চোর চক্রটির একজন অন্যতম মূলহোতা। তার মাধ্যমেই মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর পরিবর্তন, ভুয়া ট্যাক্স টোকেন, রোড পারমিট, ফিটনেস সনদ, ইন্স্যুরেন্স ইত্যাদি যাবতীয় কাগজপত্র তৈরি করা হয়ে থাকে। এরপর মোটরসাইকেলটি চক্রের আরেকটি দলের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আল আমিন এবং মিরাজের নেতৃত্বে সেই দলটি চোরাই মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিক সেজে বিভিন্ন প্রতারণামূলক পন্থা অবলম্বন করে সাধারণ মানুষের কাছে তা বিক্রি করে। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই কাজ করে আসছিল।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মোটরসাইকেল চুরির শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলে এই চক্র

আপডেট সময় : ০৭:০৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন পেশার আড়ালে মোটরসাইকেল চুরির শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলে একটি চক্র। তারা দিনের বেলা রাস্তা-ঘাটে মোটরসাইকেল চুরির জন্য টার্গেট করত। এরপর পিছু নিয়ে রেকি করে ওই মোটরসাইকেলটির অবস্থান, গ্যারেজ ও বাসা শনাক্ত করত। পরে সময়-সুযোগ বুঝে তালা ভাঙা ও কাটার যন্ত্রপাতিসহ রেকি করে ওই স্থানে অবস্থান নিত। রাতের আঁধারে মোটরসাইকেলটি চুরি করে পালিয়ে যেত। শুধু তাই নয়, চোরাই গাড়িটি চক্রের গোপন গ্যারেজে নিয়ে রঙ, ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর পরিবর্তন করত। সেই সঙ্গে বিআরটিএর দালালের মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সেগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করত। এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩। শুক্রবার পৃথক অভিযান চালিয়ে যশোর জেলার কোতোয়ালি থানা ও রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি চোরাই মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চোর চক্রের অন্যতম মূলহোতা সৈয়দ মাহামুদ হাসান (৩৭) এবং তার প্রধান দুই সহযোগী মিরাজ হোসেন (৩২) ও মো. আল আমিন (৪৩)। তারা রঙমিস্ত্রী, গাড়ির চালকসহ বিভিন্ন পরিচয়ে বাইরে চললেও গাড়ি চুরিই ছিল তাদের প্রধান কাজ।

শনিবার রাজধানীর টিকাটুলীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, গত ২৯ এপ্রিল রাজধানীর সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা ওমর ফারুকের বাসার গ্যারেজ থেকে গভীর রাতে চোর চক্রের সদস্যরা দুটি অ্যাপাচি-ফোর ভি মোটরসাইকেল তালা ভেঙে নিয়ে যায়। পরদিন মালিকরা তাদের মোটরসাইকেলগুলো খুঁজে না পেয়ে সবুজবাগ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লে­খ করে মামলা করেন। বিষয়টি র‌্যাবের কাছে এলে সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সন্ধান পায়। চক্রটি কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেফতারদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে বিআরটিএর সুজন নামে একজন দালালের নাম উঠে আসে। সেও চোর চক্রটির একজন অন্যতম মূলহোতা। তার মাধ্যমেই মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর পরিবর্তন, ভুয়া ট্যাক্স টোকেন, রোড পারমিট, ফিটনেস সনদ, ইন্স্যুরেন্স ইত্যাদি যাবতীয় কাগজপত্র তৈরি করা হয়ে থাকে। এরপর মোটরসাইকেলটি চক্রের আরেকটি দলের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আল আমিন এবং মিরাজের নেতৃত্বে সেই দলটি চোরাই মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিক সেজে বিভিন্ন প্রতারণামূলক পন্থা অবলম্বন করে সাধারণ মানুষের কাছে তা বিক্রি করে। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই কাজ করে আসছিল।