ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সদরপুরে সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদ খানের বিদায় সংবর্ধনা নেপালের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কার্কি শৈলকুপায় বেণীপুর স্কুলের ১২০ বছরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কার পর এবার নেপাল নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভারত ডাকসুতে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানাল পাকিস্তান জামায়াত সব সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের র‌্যাংকিং করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা পাঁচ ট্রলারসহ ৩০ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি হেলিকপ্টারের দড়িতে ঝুলে পালিয়েছেন নেপালের মন্ত্রীরা যেদিন রাস্তায় নামবো, সেদিন বন্দুকও কিছু করতে পারবে না: কাদের সিদ্দিকী ডাকসু নির্বাচন : ভোটের দিন ঢাবিতে মোতায়েন থাকবে ২০৯৬ পুলিশ সদস্য

মোটরসাইকেল চুরির শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলে এই চক্র

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩
  • / 36

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন পেশার আড়ালে মোটরসাইকেল চুরির শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলে একটি চক্র। তারা দিনের বেলা রাস্তা-ঘাটে মোটরসাইকেল চুরির জন্য টার্গেট করত। এরপর পিছু নিয়ে রেকি করে ওই মোটরসাইকেলটির অবস্থান, গ্যারেজ ও বাসা শনাক্ত করত। পরে সময়-সুযোগ বুঝে তালা ভাঙা ও কাটার যন্ত্রপাতিসহ রেকি করে ওই স্থানে অবস্থান নিত। রাতের আঁধারে মোটরসাইকেলটি চুরি করে পালিয়ে যেত। শুধু তাই নয়, চোরাই গাড়িটি চক্রের গোপন গ্যারেজে নিয়ে রঙ, ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর পরিবর্তন করত। সেই সঙ্গে বিআরটিএর দালালের মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সেগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করত। এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩। শুক্রবার পৃথক অভিযান চালিয়ে যশোর জেলার কোতোয়ালি থানা ও রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি চোরাই মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চোর চক্রের অন্যতম মূলহোতা সৈয়দ মাহামুদ হাসান (৩৭) এবং তার প্রধান দুই সহযোগী মিরাজ হোসেন (৩২) ও মো. আল আমিন (৪৩)। তারা রঙমিস্ত্রী, গাড়ির চালকসহ বিভিন্ন পরিচয়ে বাইরে চললেও গাড়ি চুরিই ছিল তাদের প্রধান কাজ।

শনিবার রাজধানীর টিকাটুলীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, গত ২৯ এপ্রিল রাজধানীর সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা ওমর ফারুকের বাসার গ্যারেজ থেকে গভীর রাতে চোর চক্রের সদস্যরা দুটি অ্যাপাচি-ফোর ভি মোটরসাইকেল তালা ভেঙে নিয়ে যায়। পরদিন মালিকরা তাদের মোটরসাইকেলগুলো খুঁজে না পেয়ে সবুজবাগ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লে­খ করে মামলা করেন। বিষয়টি র‌্যাবের কাছে এলে সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সন্ধান পায়। চক্রটি কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেফতারদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে বিআরটিএর সুজন নামে একজন দালালের নাম উঠে আসে। সেও চোর চক্রটির একজন অন্যতম মূলহোতা। তার মাধ্যমেই মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর পরিবর্তন, ভুয়া ট্যাক্স টোকেন, রোড পারমিট, ফিটনেস সনদ, ইন্স্যুরেন্স ইত্যাদি যাবতীয় কাগজপত্র তৈরি করা হয়ে থাকে। এরপর মোটরসাইকেলটি চক্রের আরেকটি দলের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আল আমিন এবং মিরাজের নেতৃত্বে সেই দলটি চোরাই মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিক সেজে বিভিন্ন প্রতারণামূলক পন্থা অবলম্বন করে সাধারণ মানুষের কাছে তা বিক্রি করে। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই কাজ করে আসছিল।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মোটরসাইকেল চুরির শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলে এই চক্র

আপডেট সময় : ০৭:০৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন পেশার আড়ালে মোটরসাইকেল চুরির শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলে একটি চক্র। তারা দিনের বেলা রাস্তা-ঘাটে মোটরসাইকেল চুরির জন্য টার্গেট করত। এরপর পিছু নিয়ে রেকি করে ওই মোটরসাইকেলটির অবস্থান, গ্যারেজ ও বাসা শনাক্ত করত। পরে সময়-সুযোগ বুঝে তালা ভাঙা ও কাটার যন্ত্রপাতিসহ রেকি করে ওই স্থানে অবস্থান নিত। রাতের আঁধারে মোটরসাইকেলটি চুরি করে পালিয়ে যেত। শুধু তাই নয়, চোরাই গাড়িটি চক্রের গোপন গ্যারেজে নিয়ে রঙ, ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর পরিবর্তন করত। সেই সঙ্গে বিআরটিএর দালালের মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সেগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করত। এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩। শুক্রবার পৃথক অভিযান চালিয়ে যশোর জেলার কোতোয়ালি থানা ও রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি চোরাই মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চোর চক্রের অন্যতম মূলহোতা সৈয়দ মাহামুদ হাসান (৩৭) এবং তার প্রধান দুই সহযোগী মিরাজ হোসেন (৩২) ও মো. আল আমিন (৪৩)। তারা রঙমিস্ত্রী, গাড়ির চালকসহ বিভিন্ন পরিচয়ে বাইরে চললেও গাড়ি চুরিই ছিল তাদের প্রধান কাজ।

শনিবার রাজধানীর টিকাটুলীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, গত ২৯ এপ্রিল রাজধানীর সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা ওমর ফারুকের বাসার গ্যারেজ থেকে গভীর রাতে চোর চক্রের সদস্যরা দুটি অ্যাপাচি-ফোর ভি মোটরসাইকেল তালা ভেঙে নিয়ে যায়। পরদিন মালিকরা তাদের মোটরসাইকেলগুলো খুঁজে না পেয়ে সবুজবাগ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লে­খ করে মামলা করেন। বিষয়টি র‌্যাবের কাছে এলে সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সন্ধান পায়। চক্রটি কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেফতারদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে বিআরটিএর সুজন নামে একজন দালালের নাম উঠে আসে। সেও চোর চক্রটির একজন অন্যতম মূলহোতা। তার মাধ্যমেই মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর পরিবর্তন, ভুয়া ট্যাক্স টোকেন, রোড পারমিট, ফিটনেস সনদ, ইন্স্যুরেন্স ইত্যাদি যাবতীয় কাগজপত্র তৈরি করা হয়ে থাকে। এরপর মোটরসাইকেলটি চক্রের আরেকটি দলের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আল আমিন এবং মিরাজের নেতৃত্বে সেই দলটি চোরাই মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিক সেজে বিভিন্ন প্রতারণামূলক পন্থা অবলম্বন করে সাধারণ মানুষের কাছে তা বিক্রি করে। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই কাজ করে আসছিল।